ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

লকডাউন জবরদস্তি ও দমনমূলক নয়, সেবামূলক দায়বদ্ধতা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৭ ঘণ্টা, জুলাই ৭, ২০২০
লকডাউন জবরদস্তি ও দমনমূলক নয়, সেবামূলক দায়বদ্ধতা উত্তর কাট্টলীতে সফল লকডাউন শেষে দোয়া মাহফিল

চট্টগ্রাম: করোনাকালে অবনতিশীল পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকার ঘোষিত লকডাউন কার্যকর করা কঠিন কাজ উল্লেখ করে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, জনস্বার্থ বিবেচনায় লকডাউন জবরদস্তি ও দমনমূলক নয়, এটি সেবামূলক দায়বদ্ধতা।

এ বোধ জাগ্রত করে নগরের উত্তর কাট্টলীতে প্রথমবারের মতো এলাকাভিত্তিক লকডাউনের অর্জিত সফল অভিজ্ঞতা পরবর্তীতে অন্যান্য এলাকায় প্রয়োগ করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অবশ্যই ইতিবাচক সুফল বয়ে আনবে।

তিনি গত ১৬ জুন থেকে উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডে টানা ২১দিন লকডাউনের সমাপনী দিনে মঙ্গলবার (৭ জুলাই) সকালে সিটি গেট সংলগ্ন সুজানা স্কয়ারে খতমে কোরআন ও দোয়া মাহফিল শেষে এসব কথা বলেন।

 

মেয়র বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগ, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, স্বাস্থ্যকর্মী ও প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে চসিকের সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানে লকডাউন চলাকালে সংশ্লিষ্টরা সাধারণ মানুষের মন জয় করে নিজেদের দায়িত্ব পালন করেছেন। সেজন্য সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।

অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, এলাকাটি আবাসিক এবং এখানে গার্মেন্টসসহ ছোট-বড় শিল্প ও কলকারখানা রয়েছে। তাই প্রথমদিকে লকডাউন কার্যকর করতে গিয়ে এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার বেশ বেগ পেতে হয়েছে। তবে দুই-একদিন পর থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য এবং স্বেচ্ছাসেবকরা এলাকাবাসীর চাহিদা এবং দৈনন্দিন চাওয়া পাওয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে সেবা দিতে সচেষ্ট হওয়ার পর একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়। লকডাউন চলাকালীন এখানে কোন হতদরিদ্র অভুক্ত ছিলেন না। প্রতিদিন প্রায় ২ হাজার মানুষের মুখে খাবার তুলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও প্রয়োজন অনুযায়ী এলাকাবাসীকে চিকিৎসাসেবাও দেওয়া হয়েছে। রোগের নমুনা পরীক্ষার জন্য বুথ ও রোগী পরিবহনের জন্য সার্বক্ষণিক অ্যাম্বুলেন্স সেবাও চালু রাখা হয়েছিল।

লকডাউন শুরু হওয়ার আগে এ এলাকায় করোনা সংক্রমণে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১১৪ জন। আজ পর্যন্ত এখানে আক্রান্তের সংখ্যা মাত্র ১১ জন। ইতোমধ্যে ৫৮ করোনা আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরে গেছেন। এতে বোঝা যায় পরিকল্পিত এলাকাভিত্তিক লকডাউন চলাকালীন স্বাস্থ্য বিধি সামাজিক দূরত্ব এবং অন্যান্য নিষেধাজ্ঞা যথাযথভাবে আরোপিত হলে পরিস্থিতি যাই হোক না কেন  ভয়, উদ্বেগ, উৎকণ্ঠার অবসান হবে।

এ সময় কাউন্সিলর নিছার উদ্দিন আহমদ মঞ্জু, মহিলা কাউন্সিলর আবিদা আজাদ, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, জেলা প্রশাসকের পক্ষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আলী হাসান, সহকারী পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আরিফ, পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(তদন্ত)রাশেদুল হক, আকবরশাহ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সোলতান আহমদ চৌধুরী, আবু সুফিয়ান, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ ইকবাল চৌধুরী, সহ সভাপতি লোকমান আলী, সহ সম্পাদক রোকন উদ্দিন চৌধুরী, যুবলীগের আবুল কালাম আবু, মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ ও ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন মসজিদে ইমাম ও খতিবরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৭ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০২০
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।