ঢাকা, শুক্রবার, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৭ মে ২০২৪, ০৮ জিলকদ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

র‌্যাব-পুলিশ-বিজিবি’র পাহারায় মহাসড়ক পার হবে গাড়ি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৮, ২০১৫
র‌্যাব-পুলিশ-বিজিবি’র পাহারায় মহাসড়ক পার হবে গাড়ি ছবি: উজ্জ্বল ধর/ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: অবরোধের মধ্যে মহাসড়কে গাড়ি চলাচলে নিরাপত্তা দিতে সমন্বিতভাবে কাজ করবে র‌্যাব, পুলিশ ও বিজিবি। সিএমপি, ডিআইজি চট্টগ্রাম রেঞ্জ এবং জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে নিরাপত্তার বিষয়টি সার্বক্ষণিকভাবে মনিটরিং করা হবে।



বৃহস্পতিবার নগর পুলিশ কমিশনার আব্দুল জলিল মন্ডলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়েছে। এতে র‌্যাব, জেলা ও রেঞ্জ পুলিশ, নগর পুলিশ, বিজিবি, পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।


সভা শেষে আব্দুল জলিল মন্ডল সাংবাদিকদের বলেন, মহাসড়কে যাতে গাড়ি ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ কিংবা অন্য কোন নাশকতার ঘটনা না ঘটে সেজন্য পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবি মিলে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে। এক্ষেত্রে পর্যাপ্ত সংখ্যক ফোর্স টেকনাফ থেকে ঢাকা পর্যন্ত মহাসড়কে মোতায়েন থাকবে। সার্বক্ষণিকভাবে আমরা বিষয়টি মনিটরিং করব।

উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আসলাম চৌধুরীকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে ইঙ্গিত করে পুলিশ কমিশনার সভায় বলেন, ‘সীতাকুণ্ডের সীতাকে তো আমরা ধরে ফেলেছি। সুতরাং নাশকতা দমনে আমরা অনেকটাই এগিয়ে আছি। ’

সভায় পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতারা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, ২০১৩ সালে রাজনৈতিক অস্থিরতার সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ডসহ বিভিন্ন এলাকায় বিপুল সংখ্যক গাড়ি ভাঙচুর ও পোড়ানো হয়েছিল। অনেক শ্রমিক শাররিকভাবে আহত হয়েছেন।

তারা বলেন, ওই সময় সরকার ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ি মালিক-শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার আশ্বাস দিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গাড়ি মালিকদের ক্ষতিপূরণের জন্য বেশ কিছু টাকাও দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই টাকা চট্টগ্রামের কোনো গাড়ি মালিক-শ্রমিক পাননি।

জবাবে পুলিশ কমিশনার আবদুল জলিল মন্ডল জানান, ক্ষতিপূরণ না পাবার বিষয়টি তিনি সরকারের উচ্চ পর্যায়ে অবহিত করবেন। আর কোন গাড়ি যাতে নাশকতায় ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকে তিনি খেয়াল রাখবেন।

সভায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নাশকতার জন্য স্পর্শকাতর ৯টি পয়েন্ট চিহ্নিত করা হয়। এসব পয়েন্টে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে বিজিবির উপ-অধিনায়ক মেজর তানভীর মাহমুদ, সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (অর্থ, প্রশাসন ও ট্রাফিক) একেএম শহিদুর রহমান, অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) বনজ কুমার মজুমদার, অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) নাইমুল হাছান, বাংলাদেশ কাভার্ডভ্যান ট্রাক ও পণ্য পরিবহন সমিতির মহাসচিব আবু মোজাফফর, পূর্বাঞ্চলীয় সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মৃণাল চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।