ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

উপদ্রুত এলাকায় সেনাবাহিনী নামানোর দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৮, ২০১৪
উপদ্রুত এলাকায় সেনাবাহিনী নামানোর দাবি ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরবর্তী সহিংসতায় উপদ্রুত এলাকায় সেনাবাহিনী নামানোর দাবি জানিয়েছেন চট্টগ্রামের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ। একই সঙ্গে সংখ্যালঘুদের উপর হামলায় জড়িত সাম্প্রদায়িক ও উগ্র মৌলবাদিদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে সরকারের কাছে দাবি জানান তারা।



বুধবার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি পরিষদ ও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত এক মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন।

দেশব্যাপী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদে এবং জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।


বক্তারা বলেন,‘মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ এখনই গ্রহণ করতে হবে। প্রয়োজন হলে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসীদের দেখা মাত্র গুলির নির্দেশ দিতে হবে এবং উপদ্রুত এলাকায় জনগণের নিরাপত্তা জোরদার করতে সেনাবাহিনী নামাতে হবে। ’

তারা বলেন,‘স্বাধীন বাংলাদেশে আমরা ফের ১৯৭১ কিংবা ২০০১-এর পুনরাবৃত্তি দেখতে চাই না। আমাদের মহান সংবিধানের যাত্রা সমুন্নত রাখা প্রতিটি বাঙালির দায়িত্ব ও কর্তব্য। তাই সংবিধানের মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখতে নির্বাচনের বিকল্প ব্যবস্থা ছিল না। ’

মানববন্ধনে তৃতীয় শক্তির আগমনী বার্তা প্রচারকারীদের চিহ্নিত করার দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন,‘‘সুশীল নামধারী ‘কুশীল’রা সাংবিধানিক নির্বাচনকে বয়কট করে অসাংবিধানিক সরকারের পথ তৈরির দিবাস্বপ্ন দেখেছিলেন। তাদেরকে বয়কট করতে সচেতন দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাই। ’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি পরিষদের নির্বাহী সদস্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন শহীদ জায়া বেগম মুশতারী শফি, বিজিসি ট্রাস্ট্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সরোজ সিংহ হাজারী, মুক্তিযুদ্ধ গবেষক একেএম নাসিমুল কামাল,  দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ সভাপতি অধ্যাপক ডা. একিউএম সিরাজুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহফুজুর রহমান, মাহবুবুল আলম চৌধুরী, যোদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ বীরবিক্রম, প্রবীণ সাংবাদিক অরুণ দাশগুপ্ত, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবু সুফিয়ান, সাংবাদিক অঞ্জন কুমার সেন, সিইউজের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মহসিন চৌধুরী, সিইউজে’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজিমুদ্দীন শ্যামল, চৌধুরী ফরিদ, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক হাছিনা জাকারিয়া, নারী নেত্রী নুরজাহান খান, জেসমিন সুলতানা পারু, নাট্যজন সাবিরা সুলতানা বীণা, সুচরিত চৌধুরী টিংকু, জেলা পিপি অ্যাডভোকেট মো. আবুল হাশেম, প্রকৌশলী আলী আশরাফ, প্রফেসর ড. গাজী সালেহ উদ্দিন, অধ্যাপক ড. মাহবুবুল হক, অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, শিক্ষক নেতা মুক্তিযোদ্ধা লকিতুল্লাহ এবং প্রদীপ কানুনগো।

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক শওকত বাঙালির সঞ্চালনায় সমাবেশে সূচনা বক্তব্য রাখেন পরিষদের সদস্য সচিব ও জেলা নির্মূল কমিটির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সীমান্ত তালুকদার।

সমাবেশে বক্তারা বলেন,‘স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিকে পুরোপুরি পর্যুদস্ত করে, রুখে দিয়ে এ বছর এগিয়ে যাওয়ার কঠিন চ্যালেঞ্জ নিয়েছে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনৈতিক অস্তিরতা অনিশ্চয়তা কাটিয়ে সংবিধান ও গণতন্ত্র রক্ষার শপথ নিয়েছে বাংলাদেশ। ’

তারা বলেন,‘মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীরা সারাদেশে তাণ্ডব চালাচ্ছে। রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে জীবন্ত মানুষ পুড়িয়ে মারা হচ্ছে। ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়া হচ্ছে। লুট করা হচ্ছে সম্পদও। ’

এ ধরনের নির্মম ঘটনা থেকে পরিত্রাণ পেতে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান তারা।

মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন অংশ নেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৪
সম্পাদনা: তপন চক্রবর্তী, ব্যুরো এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।