চট্টগ্রাম: সারাদেশের মত চট্টগ্রামেও শুরু হয়েছে টাইফয়েডের টিকাদান কর্মসূচি। চট্টগ্রাম নগর ও ১৫ উপজেলার ২৪ লাখ ৬১ হাজার ৩৪২ জন শিশুকে টাইফয়েডের টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
রোববার (১২ অক্টোবর) সকাল ১১টায় চন্দনপুরার গুল-এজার বেগম মুসলিম সিটি করপোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
এসময় তিনি বলেন, ব্যক্তিগতভাবে এই ভ্যাকসিন দিতে হলে ১৪০০ টাকা খরচ হয়, কিন্তু আমরা এটি বিনামূল্যে দিচ্ছি। টাইফয়েড প্রতিরোধের সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো টিকা গ্রহণ। নগরের প্রতিটি শিশু যেন এই টিকার আওতায় আসে, সে বিষয়ে অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে। চট্টগ্রাম নগরীর প্রতিটি নাগরিকের জন্য উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা সিটি করপোরেশনের অঙ্গীকার। সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনের সমন্বয়ে আমরা একটি সুস্থ ও সচেতন সমাজ গড়ে তুলতে চাই।
স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যানুযায়ী, ২৪ লাখ ৬১ হাজার ৩৪২ জন শিশুর মধ্যে সিটি করপোরেশন এলাকায় ৮ লাখ ২৯ হাজার ৩০১ জন এবং ১৫ উপজেলায় ১৬ লাখ ৩২ হাজার ৪১ জন শিশুকে টিকা দেওয়া হবে। টিকা কর্মসূচিতে ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী সব শিশু এবং প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে এই টিকা নিতে পারবে।
জানা যায়, নগরের ১ হাজার ৫৪৬টি স্কুলে ও ৭৮৩টি আউটরিচ সাইডে টিকা দেওয়া হবে। এর মধ্যে স্কুল শিক্ষার্থী রয়েছে ৫ লাখ ৩১ হাজার ১৬৭ জন, স্কুল বহির্ভূত শিশু ২ লাখ ৯৬ হাজার ৭৮৪ জন। নগরে টিকাদান কার্যক্রম পরিচালনায় স্কুল ক্যাম্পেইনে টিকাদান কর্মী আছেন ৪২০ জন, কমিউনিটি ক্যাম্পেইনে টিকাদান কর্মী ২১৫ জন, স্কুল ও কমিউনিটি ক্যাম্পেইনে স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন ৬২৫ জন করে।
অন্যদিকে, উপজেলায় স্কুল ও মাদ্রাসাসহ মোট ৬ হাজার ৫৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১১ লাখ ৩৪ হাজার ৭১ জন শিক্ষার্থী এবং কমিউনিটিতে ৪ লাখ ৯৭ হাজার ৯৭০ জনকে টিকা দেওয়া হবে। জেলার ১৫ উপজেলার ২০০ ইউনিয়নের ৬০০ ওয়ার্ডে ১ হাজার ২১৫ জন প্রশিক্ষিত কর্মী, ১ হাজার ৮০০ জন স্বেচ্ছাসেবক, ৬০০ জন প্রথম সারির পরিদর্শক এবং ৬০ জন দ্বিতীয় সারির পরিদর্শক টিকাদান ক্যাম্পেইনে নিয়োজিত থাকবেন।
এমআর/টিসি