ঢাকা, শুক্রবার, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২, ১০ অক্টোবর ২০২৫, ১৭ রবিউস সানি ১৪৪৭

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে দুই সপ্তাহ ধরে ডিসি’র চেয়ার খালি

সৈয়দ বাইজিদ ইমন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩:১৫, অক্টোবর ৯, ২০২৫
চট্টগ্রামে দুই সপ্তাহ ধরে ডিসি’র চেয়ার খালি ...

চট্টগ্রাম: জেলা প্রশাসক ফরিদা খানমকে বদলির ১৮ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও নতুন ডিসি যোগদান করেননি। জেলায় সিভিল প্রশাসনের প্রধান হলেন জেলা প্রশাসক।

স্থানীয় প্রশাসন তদারকি এবং জনসেবা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তিনি। এখন চট্টগ্রাম জেলার কাজ সামলাতে হচ্ছে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের।

গত ২১ সেপ্টেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব আমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে ফরিদা খানমকে বদলির আদেশ জারি করা হয়। এরপর নতুন জেলা প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ পান নওগাঁর ডিসি মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল। কিন্তু নানান কারণে দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও তিনি চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনে যোগদান করতে পারেননি।  

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ফরিদা খানমকে প্রত্যাহারের পর এক সপ্তাহের মধ্যে তিনটি মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়। ২১ সেপ্টেম্বর তাঁকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব হিসেবে বদলি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ২৫ সেপ্টেম্বর বদলি করা হয় সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে। তিনি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে যোগ দেননি। এরপর গত রোববার তাঁকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়েছে। চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এলএ) মো. কামরুজ্জামান ডিসির দায়িত্বে আছেন।  

মো. কামরুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ বলতে পারবে। কারণ, মন্ত্রিপরিষদের অনুমোদনের পর নতুন ডিসি নিয়োগ হয়।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডিসি (জেলা প্রশাসক) না থাকায় জনসেবা ব্যাহত হচ্ছে। জেলা প্রশাসকরা স্থানীয় সরকারের প্রধান হিসেবে বিভিন্ন প্রশাসনিক ও উন্নয়নমূলক কাজ তদারকি করেন। ডিসি না থাকলে জেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা কঠিন হয়ে পড়ে। জরুরি সিদ্ধান্ত গ্রহণ, সরকারি নীতিমালা বাস্তবায়ন ও বিভিন্ন প্রকল্পের তদারকিতে বিঘ্ন ঘটে। জেলার উন্নয়ন প্রকল্পগুলো সঠিকভাবে তদারকি করার জন্য একজন ডিসির উপস্থিতি জরুরি। তাদের অনুপস্থিতিতে প্রকল্প বাস্তবায়নে দেরি হতে পারে বা মানসম্মত কাজ নাও হতে পারে।
 
তিন দপ্তরের কর্মচারী বদলি

ফরিদা খানমের বদলির সাত দিন পর ২৮ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের দপ্তরের কর্মচারীদের বদলি করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার। চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ নুরুল্লাহ নূরী স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাদের বদলি করা হয়। এর মধ্যে জেলা প্রশাসনের নাজির মোহাম্মদ জামাল উদ্দিনকে নোয়াখালী জেলার কবিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে বদলি করা হয়। তিনি  নতুন কর্মস্থলে যোগদানের জন্য বুধবার (৮ অক্টোবর) অপরাহ্নে তিনি অবমুক্ত হন। এছাড়া সার্টিফিকেট শাখার উপসহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাশকে খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে বদলি করা হয়। তিনি চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন কার্যালয় থেকে ( ৮ অক্টোবর) বুধবার অপরাহ্নে অবমুক্ত হয়েছেন। চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহকারী মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন চৌধুরীকে রাঙামাটির কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে বদলি করা হয়। গেল ৫ অক্টোবর তিনি চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে অবমুক্ত হন। তাদের বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) মধ্যে নতুন কর্মস্থলে যোগ দিতে বলা হয়। না হলে ওইদিন বিকেল থেকে তাৎক্ষণিক অবমুক্ত হবেন বলে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. জিয়াউদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ নিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কাজ করছে। খুব শিগগিরই চট্টগ্রামে ডিসি নিয়োগ দেওয়া হবে।

বিই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।