চট্টগ্রাম: নগরে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু কমাতে নগর পরিবহন মাস্টারপ্ল্যানে সড়ক নিরাপত্তার বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। পাশাপাশি বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুসরণ করে শহরে সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য চসিক একটি বিশেষায়িত সেল গঠন করবে।
ওয়ার্ল্ড রিসোর্সেস ইনস্টিটিউট (ডব্লিউআরআই) আয়োজিত নিরাপদ সড়ক ডিজাইনে প্রকৌশলীদের দক্ষতা বৃদ্ধির কর্মশালায় চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
সোমবার (১৪ জুলাই) চসিক সম্মেলন কক্ষে প্রকৌশলীদের জন্য ‘নিরাপদে বিদ্যালয় গমন’ শীর্ষক দিনব্যাপী সক্ষমতা বৃদ্ধি কর্মশালার উদ্বোধন করেন তিনি।
ডব্লিউআরআই’র পরামর্শক স্থপতি ফারজানা ইসলাম তমা ও সহকারী পরামর্শক স্থপতি আরিনা তাহনিম কর্মশালা পরিচালনা করেন।
বাংলাদেশের সড়কে শিশুরা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকে, তাই কর্মশালায় বিদ্যালয় এলাকায় নিরাপদ সড়ক ডিজাইনের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। নিরাপদ স্কুল জোনের গুরুত্ব এবং নকশা প্রক্রিয়া সম্পর্কে অংশগ্রহণকারীদের অবহিত করা হয়।
ফারজানা ইসলাম তমা বলেন, স্কুলের প্রবেশপথগুলোর নকশায় কিছু পরিবর্তন আনার মাধ্যমে শিশুদের জীবন বাঁচানো সম্ভব। আমরা সাধারণত শিশুদের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সড়ক নিরাপত্তা কেমন হতে পারে তা বোঝার চেষ্টা করি না। যদিও শিশুদের নিরাপত্তায় যখন কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়, তখন তাদেরও সেই প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি।
বিদ্যালয় এলাকায় সড়ক নিরাপত্তায় করণীয় সম্পর্কে শিশুদের দৃষ্টিভঙ্গি জানার জন্য কর্মশালার অংশ হিসেবে পাহাড়তলী বালিকা বিদ্যালয় পরিদর্শন করা হয়। অংশগ্রহণকারী প্রকৌশলীরা তিনটি দলে ভাগ হয়ে স্কুল এলাকা পরিদর্শন করে শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেন এবং তাদের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করেন। এরপর দলগুলো বিদ্যালয় এলাকার পুনঃনকশা করেন এবং তা সবার সামনে উপস্থাপন করেন। কর্মশালায় চসিকের পূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী, সহকারী প্রকৌশলী এবং উপ-সহকারী প্রকৌশলীরা অংশ নেন।
এর আগে ২০২৩ ও ২৪ সালে ডব্লিউআরআই নিরাপদ সড়ক ডিজাইনের ওপর তিনটি কর্মশালা আয়োজন করেছে। রোডক্র্যাশে মৃত্যু কমাতে ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিজ ইনিশিয়েটিভ ফর গ্লোবাল রোড সেফটি (বিআইজিআরএস) এর অধীনে এটি তাদের চতুর্থ কর্মশালা।
বিআইজিআরএস প্রোগ্রামের অংশীদার হিসেবে, ডব্লিউআরআই বিভিন্ন দেশে ভৌগোলিক ও স্থানীয় প্রেক্ষাপটে নিরাপদ সড়ক উন্নয়নে প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়ে থাকে।
এআর/পিডি/টিসি