চট্টগ্রাম: ঈদের সকালটা ছিল মা-বাবার জন্য বিষাদময়। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলেকে হারিয়ে তাদের কান্না থামছেই না।
কালুরঘাট সেতুতে পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া সিএনজি অটোরিকশার চালক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম তুষারের (২৭) মৃত্যুতে গ্রামের বাড়ি বোয়ালখালীর পূর্ব গোমদণ্ডী বাংলাপাড়ায় তার পরিবারকে সমবেদনা জানাতে আসছেন এলাকার মানুষ।
তুষারের মা রিজিয়া বেগম (৫০) ছেলেকে আগেই বলে রেখেছিলেন- নামাজ পড়ে এসে কোরবানির জন্য কেনা গরু জবাইয়ের পর সবকিছু দেখভাল করতে। সে কথা বলে বারবার বিলাপ করছিলেন তিনি। দুই বোনের বিয়ে হয়েছে। তুষার তার বাবার কিনে দেওয়া অটোরিকশা চালিয়ে সংসার চালাতো।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) রাত ১০টার দিকে কালুরঘাট সেতুর পূর্ব প্রান্তে দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা তুষারকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান অসুস্থ বাবা আবুল মনছুর। হাসপাতাল থেকে ভোরে ছেলের মরদেহ নিয়ে ফিরেন গ্রামে। শুক্রবার (৬ জুন) সকালে বাড়ির পাশে ছেলেকে দাফন করা হয়।
আবুল মনছুর বলেন, ‘২০১৪ সালে দুবাই থেকে ফিরে এসে জমানো টাকা আর ঋণ নিয়ে সংসার চালানোর জন্য সিএনজি অটোরিকশা কিনেছিলাম। তুষার অটোরিকশাটি চালাতো। কিন্তু সেটিই যে তার মৃত্যুর কারণ হবে, তা ভাবিনি। জানলে সেটা কিনতাম না, বুকের মানিককে এভাবে হারাতাম না’।
এসি/টিসি