চট্টগ্রাম: জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য, মহানগর নায়েবে আমির, ছাত্র শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, সাহিত্য-সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষক ও লেখক ড. আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
শনিবার (১০ মে) দিবাগত রাত ১২টা ৫০ মিনিটে নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
রোববার সকাল ১১টায় চট্টগ্রামের প্যারেড ময়দানে প্রথম জানাজা সম্পন্ন হয়েছে।
ড. আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ’র প্রথম নামাজে জানাজাপূর্ব সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জামায়াতের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ শাহজাহান, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও মহানগর আমির শাহজাহান চৌধুরী, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও চট্টগ্রাম অঞ্চল টিম সদস্য অধ্যাপক আহছানউল্লা ভুইঁয়া, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলী আজাদী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নায়েবে আমির ড. অ্যাডভোকেট হেলাল উদ্দিন, ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সহকারী সেক্রেটারি দেলাওয়ার হোসেন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আমির আলাউদ্দিন শিকদার, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন, দক্ষিণ জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ বদরুল হক, বাইতুশ শরফ কামিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ ড. মাওলানা সাইয়েদ আবু নোমান, ড. আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ’র বড় ছেলে মোছান্না প্রমুখ।
জানাজায় এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী এক মেধাবী নেতাকে হারালো। এই শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়। আল্লাহ ড. আ জ ম ওবায়েদুল্লাহকে জান্নাতবাসী করুন।
জানাজায় আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও দক্ষিণ জেলা জামায়াতের আমির আনোয়ারুল আলম চৌধুরী, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম অঞ্চল টিম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ আমিরুজ্জামান, জাফর সাদেক ও অধ্যাপক নুরুল আমিন চৌধুরী, দৈনিক কর্ণফুলীর সম্পাদক আফসার উদ্দিন চৌধুরী, নায়েবে আমির মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের সাবেক প্রো-ভিসি ড. আবু বকর রফিক, চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান, কুমিল্লা মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি মাহবুবুর রহমান, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা খাইরুল বাশার, মুহাম্মদ উল্লাহ, ফয়সাল মুহাম্মদ ইউনুছ ও মোরশেদুল ইসলাম চৌধুরী, কুমিল্লা মহানগর জামায়াতের এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি কামারুজ্জামান সোহেল, চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক, সাবেক কাউন্সিলর ও চট্টগ্রাম-১০ আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী, শ্রমিক কল্যাণ চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি এস এম লুৎফর রহমান, চট্টগ্রাম-১১ আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ও সাবেক কাউন্সিলর শফিউল আলম, চট্টগ্রাম-৮ আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ডা. আবু নাছের, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, দেশীয় সাংস্কৃতিক সংসদ কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি রফিকুল হায়দার, ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় শিক্ষা সম্পাদক আব্দুল মোহাইমিন, ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর সভাপতি তানজির হোসেন জুয়েল, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোহাম্মদ ইব্রাহিম, মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন রনি, বিশিষ্ট শিল্পপতি মুহাম্মদ ইউসুফ, ডা. এটিএম রেজাউল করিম, অধ্যাপক লিয়াকত আলী ছিদ্দিকি প্রমুখ।
এদিকে ড. আ জ ম ওবায়েদুল্লাহর ইন্তেকালে গভীর শোক জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও মহানগর আমির শাহজাহান চৌধুরী এবং কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও মহানগর সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন।
শোক বাণীতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ড. আ জ ম ওবায়েদুল্লাহর ইন্তেকালে আমরা ইসলামী আন্দোলনের একজন নিবেদিত প্রাণ ভাইকে হারালাম। তিনি ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে গিয়েছেন এবং ইসলামী আন্দোলনের প্রচার ও প্রসারে তার অনেক অবদান রয়েছে। আমরা তার ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করছি।
শোকবাণীতে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা তাকে ক্ষমা ও রহম করুন এবং তার কবরকে প্রশস্ত করুন। তার গুনাহখাতাগুলোকে ক্ষমা করে দিয়ে নেকিতে পরিণত করুন। কবর থেকে শুরু করে পরবর্তী প্রত্যেকটি মঞ্জিলকে তার জন্য সহজ, আরামদায়ক ও কল্যাণময় করে দিন। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাকে জান্নাতে উচ্চ মাকাম দান করুন এবং তার শোকাহত পরিবার-পরিজনদেরকে এ শোক সহ্য করার তাওফিক দান করুন।
ভোলার চরফ্যাশনে জন্মগ্রহণ করা ড. আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ চট্টগ্রাম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। পরে কমনওয়েলথ এক্সিকিউটিভ এমবিএ সম্পন্ন করেন। তিনি আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠাকালীন রেজিস্ট্রার ছিলেন। সবশেষ তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, মে ১১, ২০২৫
পিডি/টিসি