ঢাকা, বুধবার, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চবির হলে আসন পেতে কেউ করলেন ১১ বার আবেদন, কারও সিজিপিএ ৪.৫

মোহাম্মদ আজহার, ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৬, ২০২৪
চবির হলে আসন পেতে কেউ করলেন ১১ বার আবেদন, কারও সিজিপিএ ৪.৫ ...

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: দীর্ঘ ৭ বছর পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আবাসিক হলগুলোতে আসন বরাদ্দ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। প্রথমবারের মতো আসনের জন্য আবেদন প্রক্রিয়া এবং ফলাফল প্রকাশের বিষয়টি অনলাইনে সম্পন্ন করা হয়েছে।

 

এদিকে নতুন প্রক্রিয়ায় অনেকে অভ্যস্ত  না হওয়ায় করেছেন নানান রকম ভুল। কেউ আবার ইচ্ছাকৃতই চেষ্টা করেছেন নানান কূটকৌশল অবলম্বনের।

যার প্রমাণ মিলেছে ডাটাবেজ অনুসন্ধানে।  

বিশ্ববিদ্যালয় আইসিটি সেল সূত্রে জানা গেছে, অনেকে স্নাতকের ফলাফল লিখতে গিয়ে ভুল করেছেন। সিজিপিএ ৩.৩৫ লিখতে গিয়ে ৩:৩৫, ৩*৩৫, ৩'৩৫ বা ৩=৩৫ এরকম বিভিন্ন ভুল ফরম্যাটে সিজিপিএ উল্লেখ করেছেন। যার ফলে আসন বরাদ্দের অটোমেশন প্রক্রিয়ায় নানান জটিলতা তৈরি হয়েছে। এছাড়া অনেকেই আবার ভুয়া রেজাল্ট দিয়ে সিটের জন্য আবেদন করার সম্ভাবনাও রয়েছে জানিয়েছে আইসিটি সেল। শুধু তাই নয়, একটি আইডি থেকেই সর্বোচ্চ ১১টি ফর্ম ফিলাপেরও অভিযোগ উঠেছে। অপরদিকে যেখানে সর্বোচ্চ সিজিপিএ ৪.০০, সেখানে ৪.৫০ এবং ৪.৩৩ দিয়েও আবেদন করেছেন দুইজন। যার ফলে আসন বরাদ্দে বেশকিছু জটিলতা দেখা দেয়।  

চবির আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক সাইদুর রহমান চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, আমি একটা ডাটাবেজ অনুসন্ধান করেছিলাম। এটা দেখার জন্য যে, কোন আইডি থেকে কতটা ফর্ম সাবমিট করা হয়েছে। তাতে সর্বোচ্চ একটি আইডি থেকে  ১১টি ফর্ম সাবমিট পেলাম। তাই ওই আইডির সর্বশেষ ফর্মটা রেখে বাকি আবেদনগুলো বাদ দেওয়া হয়েছে।  

তিনি আরও বলেন, মূলত একজনের আইডি ভুলে আরেকজন ব্যবহার করে ফেলায় প্রচুর ফোন আসছিল শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে। তাই আমাদের তাৎক্ষণিক একই আইডি দিয়ে একাধিক আবেদনের অপশন চালু করতেই হয়েছে। তবে এক আইডি থেকে একাধিক ফর্ম সাবমিট করায় আমাদের অনেক কষ্ট হয়েছে, মূল আবেদনটা রেখে ফেইক আবেদনগুলো মুছতে। এমনকি অনেক শিক্ষার্থীকে ফোন করে করে নিশ্চিত হতে হয়েছে এটা।  

অধ্যাপক সাইদুর রহমান আরও বলেন, এই কাজগুলো একজনই করেছে নাকি একাধিক মানুষ মিলে করেছে সেটা এখন আর জানতে পারবো না। কারণ আমি আইপি ট্রেস রাখিনি। বিনা দরকারে অন্যের আইপি ট্রেস রাখা আমার নীতিবিরুদ্ধ। তবে যেই ছাত্রের রেজাল্ট ৪ এর বেশি সেটা আমি চেক করেছি, সে আবেদনের সময় দুইটা সিজিপিএ ৪ এর উপরে দিয়েছে। সে হয়তো ৩ লিখতে গিয়ে ৪ লিখে ফেলেছে। তবে নিয়মানুযায়ী এটা 'ভুল তথ্য দিয়ে আবেদন' হিসেবে বিবেচিত হবে।  

এর আগে গত শুক্রবার (৪ অক্টোবর) চবির ১১টি হলের আসন বরাদ্দের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। ফলাফল প্রকাশের পর নানান অসঙ্গতি নিয়ে শুরু হয় আলোচনা সমালোচনা। এ বিষয়ে শনিবার (৫ অক্টোবর) চবি উপ-উপাচার্যের (প্রশাসনিক) দফতরে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের আবেদন সংক্রান্ত বিভিন্ন ত্রুটির বিষয়টি তুলে ধরেন আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক সাইদুর রহমান চৌধুরী।

বাংলাদেশ সময়: ২২২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০২৪
এমএ/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।