ঢাকা, শুক্রবার, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৭ মে ২০২৪, ০৮ জিলকদ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে বিকাশে জালিয়াতি, ৩৪ সিমসহ গ্রেফতার ৩

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০২৩
চট্টগ্রামে বিকাশে জালিয়াতি, ৩৪ সিমসহ গ্রেফতার ৩ ...

চট্টগ্রাম: মুঠোফোনে আর্থিক সেবা দেওয়া প্রতিষ্ঠান বিকাশে জালিয়াতি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) মহানগর গোয়েন্দা (উত্তর-দক্ষিণ) বিভাগ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩৪টি সিম ও সাতটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।

সেপ্টেম্বরেই চক্রটি জালিয়াতির মাধ্যমে চার লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। আট মাস ধরে এই কাজ করছে।
 

মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে মনসুরাবাদের ডিবি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সিএমপি মহানগর গোয়েন্দা (উত্তর-দক্ষিণ) বিভাগের উপ কমিশনার নিহাদ আদনান তাইয়ান এ তথ্য জানান। গ্রেফতার হয়েছে কামরুল ইসলাম (৩৩), বিল্লাল হোসেন (৩৪) ও ফিরোজ  শেখ (৩৩)।

নিহাদ আদনান তাইয়ান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোয়েন্দা পুলিশ জানতে পারে বায়েজিদে একটি প্রতারক চক্র অবস্থান করছে, যারা বিকাশের মাধ্যমে প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। সোমবার (৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার কুয়াইশ রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩৪টি সিমকার্ড ও সাতটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, বিকাশের মাধ্যমে জালিয়াতির সঙ্গে তারা সরাসরি জড়িত। এ রকম অসংখ্য ঘটনা তারা ঘটিয়েছে। তারা মূলত এসেছে ফরিদপুর ও মাগুরা থেকে। বায়েজিদে তারা একটি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকে। প্রতি মাসের পাঁচ তারিখ থেকে ১২ তারিখ তারা টার্গেট করে। কারণ এ সময় চাকরিজীবীরা বেতন পায়। গার্মেন্টস শ্রমিকরা যেখানে বেশি বসবাস করে, সে সব এলাকার বিকাশ দোকানকে তারা টার্গেট করে।  

তিনি জানান, চক্রটি এরপর বিকাশে লেনদেনকারী ব্যক্তিকে কল দিয়ে কৌশলে ওটিপি নিয়ে প্রতারিত ব্যক্তির হিসাব হ্যাক করে ফেলে। এরপর বিকাশের দোকানের সামনে অবস্থান করে ঘোরাঘুরি করে সারাদিন। আপনি যদি উক্ত তথ্যগুলো সঠিকভাবে দিতে পারেন তাহলে আপনার নম্বরটি পুনরায় সচল করে দেওয়া হবে। গত মাসেই তারা জালিয়াতির মাধ্যমে চার লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। আট মাস ধরে তারা এ কাজ করছে। আট মাস আগে ঢাকার লক্ষ্মীবাজার এলাকায় বাংলালিংকের এক বিক্রয় প্রতিনিধির থেকে অন্য ব্যক্তির নামে রেজিস্ট্রেশন করা ১৮টি সিমকার্ড ও অন্যান্য মোবাইল কোম্পানির এসআর থেকে বাকি সিমকার্ডগুলো কিনেছিল।  

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০২৩
এমআই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।