ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে ভারত সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করে আসছে। দুই দেশের সম্পর্ক ক্রমেই তলানিতে গিয়ে ঠেকে।
এই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির মধ্যেও দুই পরমাণু শক্তিধর দেশে চলছিল ক্রিকেটের রঙিন আয়োজন—ভারতে আইপিএল, পাকিস্তানে পিএসএল। খেলায় মত্ত ছিল বিশ্বের নানা দেশের শতাধিক ক্রিকেটার। তবে দিন দিন বাড়তে থাকা হামলার হুমকি ছায়া ফেলতে শুরু করে মাঠের ক্রিকেটেও। পাকিস্তানে অবস্থানরত বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে নিরাপত্তাহীনতার আতঙ্ক।
বাংলাদেশের দুই উদীয়মান ক্রিকেটার রিশাদ হোসেন ও নাহিদ রানাও খেলছিলেন পিএসএলে। শুরুতে তাঁদের পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছিল, পাকিস্তানে তাঁরা নিরাপদেই আছেন। রিশাদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হাসিমুখে পোস্ট করেছেন, লিখেছেন ‘সব ঠিকঠাক চলছে!’—দেওয়া হয়েছে জিমের মুহূর্ত, ভাইয়ের মতো সঙ্গী নাহিদের সঙ্গে তুলেছে ‘ভ্রাতৃত্ব’ ছবিও।
কিন্তু আজ বদলে যায় সবকিছু। পিএসএলের গুরুত্বপূর্ণ ভেন্যু রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামের কাছেই ভারতের ড্রোন হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় একটি ভবন। এতে স্থগিত হয়ে যায় আজকের ম্যাচ, যেখানে কাল মাঠে নামার কথা ছিল রিশাদের দল লাহোর কালান্দার্স ও নাহিদের দল পেশোয়ার জালমির।
ড্রোন হামলার পর জরুরি বৈঠকে বসেন পিএসএলে অংশ নেওয়া বিদেশি ক্রিকেটাররা ও পিসিবি কর্মকর্তারা। আশ্বাস মিললেও সন্তুষ্ট হতে পারেননি অনেকে। বিসিবি নিশ্চিত করেছে, রিশাদ ও নাহিদ রানা দেশে ফিরছেন। পাকিস্তানে অবস্থানরত বাংলাদেশ হাইকমিশনের সহযোগিতায় ক্রিকেটারদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে বোর্ড।
তবে পাকিস্তান ত্যাগ এত সহজও নয়। আকাশসীমা–সংক্রান্ত জটিলতা নিয়ে পিসিবির মুখপাত্র আমির মীর বলেন, ‘বিদেশি ক্রিকেটারদের এখন পাকিস্তান ছাড়ার কোনো সুযোগ নেই, তবে তাঁদের পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কঠোর নিরাপত্তায় রাখা হয়েছে। ’
এর আগে বিসিবির সঙ্গে যোগাযোগের পর বোর্ড সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেছিলেন, রিশাদ ও নাহিদ জানিয়েছেন তাঁরা ভালো আছেন। কিন্তু সরাসরি যুদ্ধাবস্থার মধ্যে আর কতোটা ‘ভালো’ থাকা সম্ভব, সেটা এখন বড় প্রশ্ন। "
এমএইচএম