দক্ষিণ আফ্রিকার গতি-তারকা কাগিসো রাবাদা, যিনি বর্তমানে টেস্ট বোলিং র্যাংকিংয়ে দ্বিতীয় স্থানে, স্বীকার করেছেন যে তিনি একটি বিনোদনমূলক মাদক গ্রহণ করেছিলেন এবং এর ফলে মাদক পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছেন। আইপিএলের মাঝপথে হঠাৎ করে দেশে ফিরে যাওয়ার পেছনের আসল কারণ এটাই, যা এতদিন ধোঁয়াশায় ছিল।
গুজরাট টাইটান্স তখন জানিয়েছিল, তিনি ‘ব্যক্তিগত কারণে’ দেশে ফিরেছেন। কিন্তু এখন জানা গেল, সেই ব্যক্তিগত কারণটি ছিল একটি ‘অ্যাডভার্স অ্যানালাইটিক্যাল ফাইন্ডিং’—যা মূলত মাদক সংক্রান্ত ব্যর্থতা।
পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়ার পর রাবাদার সরল স্বীকারোক্তি: “আমি জানি, এই ভুলের জন্য আমি অনেককেই হতাশ করেছি। তবে এটা আমাকে সংজ্ঞায়িত করবে না। আমি আগের মতোই কঠোর পরিশ্রম করে যাব এবং আমার দেশের হয়ে খেলাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেব। ”
তিনি আরও বলেন—“জাতীয় দলের জার্সি পরা শুধুমাত্র ব্যক্তিগত অর্জন নয়—এটা একটা সম্মান, যা আমি কখনো হালকাভাবে নিইনি। ”
অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা, তবে এখনই শাস্তি নয়
আইপিএল বা আইসিসি এখনও রাবাদাকে নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক শাস্তি ঘোষণা করেনি। রাবাদা নিজে জানিয়েছেন যে, তিনি এখন ‘অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা’-এ রয়েছেন। এ অবস্থায় তিনি খেলার জন্য নির্বাচিত হতে পারবেন না, যতক্ষণ না তদন্ত ও পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পন্ন হয়।
সামনে রয়েছে বিশাল মঞ্চ
দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য এই সময়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আগামী ১১–১৫ জুন ইংল্যান্ডের লর্ডসে প্রথমবারের মতো ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল খেলবে তারা, যেখানে প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া। রাবাদা দলের প্রধান পেসার এবং তার অংশগ্রহণ নিয়েই এখন তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।
তবে ইতোমধ্যে ভারতে ফিরে এসেছেন রাবাদা, এবং অনুশীলনে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানা গেছে।
এমএইচএম