ঢাকা, রবিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

ক্রিকেট

সাংবাদিকদের প্রশ্নের সুর বদলকেই সাফল্য বলছেন জ্যোতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৬ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২৪
সাংবাদিকদের প্রশ্নের সুর বদলকেই সাফল্য বলছেন জ্যোতি

নাহিদা আক্তার ও নিগার সুলতানা জ্যোতি বসেছেন পাশাপাশি চেয়ারে। বিসিবির ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের জন্য কোনো একটা ভিডিওর শ্যুট করবেন তারা।

দূর থেকে সাংবাদিকদের কৌতূহল তা নিয়ে। এর আগের সময়েও ক্যামেরার লেন্স খুঁজে ফিরেছে জ্যোতিদের অনুশীলন।  

বৃহস্পতিবার থেকে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ শুরু হচ্ছে বাংলাদেশের। এ সিরিজ নিয়ে আগ্রহও আছে বেশ ভালো। গত বছরখানেক ধরে ধারাবাহিক সাফল্য পাচ্ছে বাংলাদেশের মেয়েরা। গত বছরের শেষদিকে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ সমতা নিয়ে শেষ করে।  

এরপর পাকিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জেতে টাইগ্রেসরা। সবশেষ দক্ষিণ আফ্রিকা সফরেও প্রথমবারের মতো তাদের মাটিতে পেয়ে যায় জয়ের দেখা। এই সময়টাতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের ধরনে বদল এসেছে বলে মনে করেন জ্যোতি। এটিকেই তিনি দেখছেন সাফল্য হিসেবে।  

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামার আগে বুধবার মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘প্রথম যে বিষয় মেনশন করি, আমরা যখন ভারতের বিপক্ষে খেলি তখন সাংবাদিকদের কাছে প্রশ্নগুলো ছিল অন্য রকম। আপনারা জিততে পারবেন কি না, কী হতে পারে? এটাই আমার কাছে একটা সাফল্য মনে হচ্ছে, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলছি কেউ (ওরকম) প্রশ্ন করে নাই। এটা কিন্তু কাইন্ড অফ টিমের জন্য একটা সাফল্য। তার জন্য সবাইকে অনেক ধন্যবাদ। ’

বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জটা এবার আরও বড়। ছয়বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন তারা। নারী ক্রিকেটের সবচেয়ে শক্তিশালী দলও ভাবা হয় তাদের। এই চ্যালেঞ্জের কথা অজানা নয় বাংলাদেশ অধিনায়কেরও। তবে হোম কন্ডিশনের সুবিধা কাজে লাগাতে চান তিনি।

নিজেদের শক্তির জায়গা নিয়ে জ্যোতি বলেন, ‘প্রথমত হলো হোম কন্ডিশন। আমার কাছে মনে হয়, কন্ডিশনের দিক থেকে তারা অনেক বেশি অচেনা। কখনই যেহেতু খেলে নাই এখানে...। কিন্তু সম্প্রতি তাদের অনেক খেলোয়াড় কিন্তু আইপিএল খেলে আসছে। কমবেশি বাংলাদেশ এবং ইন্ডিয়ার উইকেট কিন্তু প্রায় একই থাকে। তারা একটু হলেও জানে যে কেমন কন্ডিশনে খেলা হবে। ’

‘আর যদি আমাদের দিক থেকে চিন্তা করি অবশ্যই দেখেন আমরা সম্প্রতি যখন দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলে আসছি আমাদের ব্যাটিংটা অনেক বেশি শক্তিশালী মনে হয়েছে। আবার হোমে যখন ভারত, পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলেছি তখন মনে হয়েছে বোলিংটা স্ট্রং। এটা আমাদের দলের জন্য ভালো দিক দুটি বিভাগই অনেক বেশি ভালো অবস্থায়। এখন গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে কালকে কোন ইউনিট দলের জন্য বেশি কন্ট্রিবিউট করতে পারে। ’

যদিও নিজেদের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিই মনে করছেন জ্যোতি, ‘তারা (অস্ট্রেলিয়া) বিশ্বের ভালো দল এবং ব্শ্বি চ্যাম্পিয়ন। তাদের বিপক্ষে খেলা আমাদের জন্য বলবো যে বড় একটা অভিজ্ঞতা পুরো দলের জন্য। এখন অবধি আমরাও যেভাবে খেলে আসছি গত ৬-৭ মাস ক্রিকেট খেলছি, তারা অবশ্যই হালকাভাবে আমাদেরকে নেয়নি। সেটা বোঝা যায় তাদের স্কোয়াড দেখেই। বিশ্বকাপও এখানে। তো সবকিছু মিলিয়ে অবশ্যই যতগুলো সিরিজ খেলছি ভারত, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা বলেন- তারা ভালো দল ছিল। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৬ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২৪
এমএইচবি/এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।