বাংলাদেশ অ্যাডভার্টাইজিং অ্যাজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন (এএএবি) আয়োজন করেছে নেটওয়ার্কিং হাব।
সোমবার (১৮ আগস্ট) বনানী ক্লাব ব্যাংকোয়েট হলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের অতিথি হিসেবে ছিলেন গ্রামীণফোনের সিইও ইয়াসির আজমান। এতে দেশের শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞাপন সংস্থা ও ব্র্যান্ডের নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তিরা অংশ নেন। তারা বাজারের পরিবর্তন, সৃজনশীলতার প্রভাব এবং সহযোগিতার সুযোগ নিয়ে আলোচনা করেন। ৩৫টি বিজ্ঞাপন সংস্থা থেকে ৬৫ জন প্রতিনিধি এ অনুষ্ঠানে যোগ দেয়। গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সিএমও ফারহা নাজ ও অন্যান্য মূল মার্কেটিং বিভাগের প্রতিনিধিরা।
এএএবির নির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি সানাউল আরেফিন, সহ-সভাপতি নাজিম ফারহান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আহসানুল আপন, যুগ্ম সম্পাদক এম এ মারুফ, সদস্য ড. মোহাম্মদ রিসালাত সিদ্দিকী এবং সদস্য মেহেরুন ইসলাম কনকা।
অনুষ্ঠান শুরু হয় এএএবির যুগ্ম সম্পাদক এম এ মারুফের স্বাগত বক্তব্য দিয়ে। এরপর সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আহসানুল আপন একটি প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তুলে ধরেন বিজ্ঞাপন শিল্পের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ— যার মধ্যে ছিল ভ্যাট ও ট্যাক্স ইস্যু, মেধাস্বত্ব সুরক্ষা, অ্যাজেন্সি পিচ ফি ইত্যাদি।
তিনি বর্তমান নির্বাহী কমিটির অধীনে এএএবির সাম্প্রতিক সাফল্যের দিকগুলোও তুলে ধরেন। এর মধ্যে রয়েছে—বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে সমন্বয় করে বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্মে (গুগল, ফেসবুক, ইউটিউব) বিজ্ঞাপনের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা পরিশোধ প্রক্রিয়া সহজ করা, এনবিআরের সঙ্গে সমন্বিতভাবে ভ্যাট সংস্কার উদ্যোগ এবং বিজ্ঞাপন-আইটিইএস খাতের জন্য একশ শতাংশ ট্যাক্স ছাড় পুনর্বহাল।
তিনি সদস্যদের আসন্ন কর্মশালায় অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান, যেখানে কানে পুরস্কারজয়ী মানের কাজ তৈরির দিকনির্দেশনা দেওয়া হবে। একইসঙ্গে তিনি বিজ্ঞাপন শিল্পে নতুন প্রতিভা বিকাশের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং নতুন যোগ দেওয়া ২৩টি সদস্য এজেন্সিকে স্বাগত জানান।
গ্রামীণফোনের সিইও ইয়াসির আজমান ভোক্তাদের বদলে যাওয়া আচরণ, সৃজনশীলতার প্রভাব, বড় ব্র্যান্ডের বাজেট ব্যবহারের পদ্ধতি এবং কনটেন্ট তৈরিতে এআই ব্যবহারের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। এরপর প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশগ্রহণকারীরা তাকে নানা প্রশ্ন করেন।
আলোচনার শেষ পর্যায়ে তিনি বলেন, এই দ্রুত বদলে যাওয়া সময়ে মানিয়ে নিতে হবে, না হলে প্রতিদিন আরও পিছিয়ে পড়তে হবে।
এএএবির এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে, সি-লেভেল পেশাজীবী ও বিজ্ঞাপনের সৃজনশীলরা একসঙ্গে ভাবনা-চিন্তার মাধ্যমে এই চ্যালেঞ্জের কার্যকর সমাধান বের করতে পারবেন বলে মন্তব্য করেন গ্রামীণফোনের সিইও।
শেষে এএএবির সভাপতি সানাউল আরেফিন অতিথিকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
তিনি বলেন, আমরা শুধু কাগজপত্রে সীমাবদ্ধ নই; আমরা কাজ করছি এমন একটি পরিবেশ গড়ে তুলতে চাই, যেখানে সৃজনশীলতা বিকশিত হবে, ব্যবসা সম্প্রসারিত হবে এবং বাংলাদেশের বিজ্ঞাপন শিল্প বৈশ্বিক বাজারে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান অর্জন করবে।
রাত ৯টায় আনুষ্ঠানিক সেশন শেষ হয়। এরপর নৈশভোজের মাধ্যমে আয়োজনটি সৌহার্দ্যপূর্ণ মিলনমেলায় রূপ নেয়।
এএটি