ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

শিল্প-সাহিত্য

রাজনীতিতে উচ্চমার্গীয় ভাষার ব্যবহার বাড়াতে হবে: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২২
রাজনীতিতে উচ্চমার্গীয় ভাষার ব্যবহার বাড়াতে হবে: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা: উচ্চমার্গীয় ও সমৃদ্ধ ভাষার প্রয়োগ রাজনীতিতে এখন তেমন একটা দেখা যায় না উল্লেখ করে এর ব্যবহার বাড়ানোর পক্ষে মত দিয়েছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ

প্রতিমন্ত্রী শনিবার (১৭ সেপ্টেস্বর) রাজধানীর বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘আনন্দে বিস্ময়ে হৃদয়ের অনুদিত স্বর’ শিরোনামে আবৃত্তি সংগঠন ‘স্বনন’ এর ৩৭ বছর পূর্তি উৎসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, উচ্চমার্গীয় ও সমৃদ্ধ ভাষার প্রয়োগ রাজনীতিতে এখন তেমন একটা দেখা যায় না।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন ত্যাগ-তিতিক্ষা ও সংগ্রামের পাশাপাশি তার হৃদয়গ্রাহী ভাষাশৈলী, শব্দচয়ন, উচ্চমার্গীয় ও সমৃদ্ধ ভাষা প্রয়োগের মাধ্যমে আপামর জনসাধারণকে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ ও সুসংগঠিত করেছিলেন। জাতীয় চার নেতার অন্যতম সৈয়দ তাজউদ্দীন আহমদও উচ্চমার্গীয় ভাষা ব্যবহারের মাধ্যমে রাজনীতিকে সমৃদ্ধ করেছিলেন। সমৃদ্ধ ও উচ্চমার্গীয় ভাষা প্রয়োগ ও ব্যবহারের অন্যতম মাধ্যম আবৃত্তি চর্চা। তাই রাজনীতিতে উচ্চমার্গীয় ভাষার ব্যবহার বাড়াতে হবে।

তিনি বলেন, ভাষার বহুবিধ ব্যবহারের অন্যতম মাধ্যম কবিতা। আর কবিতাকে শিল্পরূপে যিনি চর্চা বা আবৃত্তি করেন তিনিই আবৃত্তিশিল্পী। মহান মুক্তিযুদ্ধ সহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বাচিক ও আবৃত্তিশিল্পীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। আবৃত্তিশিল্পীরা তাদের ভাষার প্রয়োগ ও মুন্সিয়ানার মাধ্যমে সমাজে যেকোনো বার্তা সহজে পৌঁছে দিতে পারেন যা অন্যদের পক্ষে সম্ভব হয় না।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আবৃত্তি সংগঠন স্বনন বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন একটি আবৃত্তি সংগঠন। হাঁটি হাঁটি পা পা করে সংগঠনটি ৩৭ বছর পূর্ণ করেছে। তিনি এসময় সংগঠনটির ৩৭তম বর্ষপূর্তিতে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান এবং এর সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করেন।

বিশিষ্ট কবি মারুফুল ইসলামের সভাপতিত্বে উৎসব উদ্বোধন করেন বরেণ্য আবৃত্তি ও অভিনয় শিল্পী জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন কবি নাসির আহমেদ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান ও বিশিষ্ট আবৃত্তি শিল্পী রূপা চক্রবর্তী।

বাংলাদেশ সময়: ১১২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২২
এইচএমএস/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।