ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

শিল্প-সাহিত্য

স্বপন রায়ের কবিতা

কবিতা~শিল্প-সাহিত্য | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ৬, ২০২১
স্বপন রায়ের কবিতা

মিথোলিপিকা, রুয়ামের সঙ্গে

হামলা থেকে
অনিকেতের সুবেশ থেকে
ফুটে রইলো
নিয়ানডার্থাল কিসমিস
কী যে ঘোর
কী যে বুক ভরা টনক-কাশ্মীরি


-রুয়াম কোথায়?
-নেট প্র্যাকটিসে
-ডোন্ট মেক মি লাফ, তুমি নিজেই তো জাল, রুয়াম


মেঘ অল্পবয়েসী
নেভানিঝুম হ্রদের ঠোক্করে
তিল থেকে তাল
তিল থেকে টোল
খেয়ালে ঢালাও ভিনদেশি পেন্টাটনিক
স্কেলে রাখি
রু য়া ম


-ওন্ট ইউ ম্যারি, রুয়াম?
-ওহ ইয়া, আই ড্রেমট আ ম্যারেজ, হেভেনলি
-হেভেন? হোয়ার ইট ইজ?
-উইদিন, মে বি


ধুধুবালা এলো
শেহনাই নেমে এল লস্যিতটে
নাশ্তা
ঝিঁঝিঁশান কোমরে তাম্রে
এক ঈষৎ খরগোস
পরোটা থেকে পরান্ঠা অবধি
যাওয়া আর যাওয়া
বীজে বলো জীবে বলো সেঁজার আপেল
তবে ধুধুবালারও আপেল
পড়া না-পড়ায় আটকানো সেই ফল
মাংসে তারই প্রতিফল
শাদা প্লেট
স্থানীয় সংবাদের পরে নেমে আসা হিম
অবসন্ন তা তবে আপেলেরও
প্রভাময়
নিউটনিক
রুয়ামের হাতে ঠিক নয়
বা কারও বুকে
‘নয় নয় এ মধুর খেলা’ গাইছে
ঠিক নয় এসব রটনা


-নেহা, তুমি বলছ বাংলা জানো না অথচ এমনভাবে বলছ, যেন তুমি লাবণ্য
-আমি লাবণ্য নই কিন্তু রুয়াম তুমিও তো অমিত রায় নও, এনিওয়ে, বাঙালি
কবিদের খবর কী?
আর দে স্টিল ক্রাইং?
-বাঙালি কবিরা কাঁদুনে এটা তুমি জানলে কীভাবে?
-কেন, তোমার আনইউজুয়ালি লং কবিতাগুলো পড়ে, এত কাঁদো কেন তোমরা?


হাল্কাফোনিক একা
ভোরে মন্থরে
টিউবে হাওয়া ভরার সময়
কাউন্টার গোধূলিবেলায়
একা
গ্রামীণ হামিং বিচ্ছু
একা গিয়ার বদলানো
একা তার মাইলোমিটার
সঙ্গে আসঙ্গে একেকটা বৈশাখ
একাই যে রোদের ফোঁটায় উড়বে ফেজান্ট ফুরফুরে
ওই চোখ ওই খেয়ালঘাটায়
মিশলো ইশকুলে, মিশকুলে বলেও দিলাম
রাষ্ট্র হলো মোজা
নীতি, নীতি হলো নীতি মালহোত্রা, যে রেপড হয়েছিল
আঙুল সেই থেকে শালবন
সাবান খুঁজছে চিৎকার
একা, একাই এই নির্বাচিত হ্রদ
ওই আকাশদেয়ালা
একা
হাল্কাফোনিক


-নেহা, এই ঠাণ্ডায় মিল্কশেক, পাগল নাকি?
-ডালহৌসি হিলস্টেশন, ঠাণ্ডা তো আছেই, তবে আমিও তো আছি রুয়াম, অ্যাম
আই নট সাফিশিয়েন্টলি হট?


সেরা সময়, সেরা শিখর ধরলেই
নেহা নাধরাঅধরা শি
ফিমেল
নীতি’র বোনও হতে পারে বা মেঘে মেঘে মাজা অনুশীলনী
কথাহারা
আলো, আলো মানেই সূর্যোদয় নয়
পাখিদের ভাবুক থেকে পাখিনাশের পাল্টা গড়ন
আমায় দিল
একা করে দিল, সামনে গেট
নেহা খুব ব্যস্ত
ভাবলাম, এও ভাবলাম যে নেহা হয়ত নীতির বোন নয়
নেহা কেউ নয়
ঝুমকা মাত্র


-এত গাছ তোমার কোর্ট-ইয়ার্ডে, কিন্তু পাখি কোথায় নেহা?
-ডানা গজাক, আসবে একে একে
-আমার তো ডানা কবেই, একটু দেরি হলো আসতে, কী তাইতো?
-পাখিরা প্রশ্ন করে না। গাছ প্রশ্ন শোনে না।


তুমি আমায় পার করে চলে গেছ। পিঠে রাকস্যাক, এটা নয় কিন্তু।


তুমি পালিয়ে গিয়েছিলে!
-পুলিশ তাড়া করছিল। নেহা ইউ নো এভরিথিং
-জানি, তুমি একজন বিপ্লবী, সো হোয়াট এবাউট রেভোলিউশন? গন উইথ দ্য উইন্ড?
-ঠিক জানি না।


আমি সারেন্ডার করিনি। ওই টারবুলেন্ট সময় পার করে আমি দিশেহারা হয়ে যাই, একসময় টু ডু সামথিং ডিফারেন্ট অ্যান্ড টু কিপ মাইসেলফ ফার ফ্রম দ্য ম্যাডিং ক্রাউড, আমি আর্মি জয়েন করি।


নেহা আয়াম স্টিল আ সোলজার!
আচমকা ছুটির জলে জলে গাছের আনসান
তুমি জানো
শালবঁজুরের আমি জানি তোমাকে


চুপচাপ পড়ে আছে
পাইনাভিসার
জলপাই জামাকাপড়ের রাস্তা
কী থেকে কী যে হলো
রুয়ামও গাঢ় ইউনিফর্ম হলো
টপলেস রং
বেশ সেয়ানা অবধি গলফকোর্সের
চোখের চখি
উঁকির বোঁটা
তামাসুতরো রোদ পার করি এক নির্জন ধারাহ্নে


সঙ্গে থাকলে বলতাম, এইতো সময়, চুল এলো করে হাঁটো
যদি হাঁটত
হেমন্ত হতো ঝরাপাতার নিঝুম মাড়ানো হ্রেষা
চিৎকার মিশতো
হান্টার-শু, জংলা ট্রাউজার, চিণ্ময়-রাইফেল রেখে দিতাম
ওহে ফেলেই দিতাম


নেহা পুড়ছিল। লাস্ট-স্টেজ, লাং-ক্যান্সার।
মানে শিখছিলাম আমি, ঝরাপাতাদের...


বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০২১
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।