ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

শিল্প-সাহিত্য

আলোচনায় মাসরুর আরেফিনের ‘ঈশ্বরদী, মেয়র ও মিউলের গল্প’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০১৯
আলোচনায় মাসরুর আরেফিনের ‘ঈশ্বরদী, মেয়র ও মিউলের গল্প’

ঢাকা: প্রকাশের দেড় যুগ পর নতুন করে আলোচনায় এসেছে কবি ও কথাসাহিত্যিক মাসরুর আরেফিনের বই ‘ঈশ্বরদী, মেয়র ও মিউলের গল্প’।

শনিবার (১৩ জুলাই) রাজধানীর বাংলামোটরে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের ‘বাতিঘর’-এ বইটির পুনঃপ্রকাশ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে ছিল বই নিয়ে আলোচনা, কবির স্মৃতিচারণ, বই থেকে পাঠ ও বুক সাইনিং।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ১৯৯৩ সালের জুলাই থেকে ২০০১ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে ‘ঈশ্বরদী, মেয়র ও মিউলের গল্প’ বইটি লেখা হয়েছে। ২০০১ সালের বইমেলায় এটি প্রথম প্রকাশ করে ‘দ’। রনি আহম্মেদের প্রচ্ছদে ৮৩ পৃষ্ঠার বইটির মূল্য ১০০ টাকা।

নিজের প্রথম বই প্রকাশের স্মৃতিচারণ করে মাসরুর আরেফিন অনুষ্ঠানে বলেন, আমার বন্ধু ব্রাত্য রাইসুর সঙ্গে পরিকল্পনা করে ‘ঈশ্বরদী, মেয়র ও মিউলের গল্প’ বইটি প্রকাশ করি। একইদিনে ব্রাত্য রাইসুর বইও প্রকাশ পায়। বইটি প্রকাশের পরপরই দেশের বাইরে চলে যাই। এর পর থেকে বইটি যেন একপ্রকার হারিয়ে যায়। কিন্তু দেশের বাইরে থাকলেও বইটির পাঠক প্রতিক্রিয়া পেয়েছিলাম ভালোই। সে কথা মনে করেই বইটির দ্বিতীয় খণ্ডের কাজ শুরু করেছিলাম।

তিনি বলেন, এবারের বইমেলায় ‘আগস্ট আবছায়া’ প্রকাশিত হওয়ার পর ‘ঈশ্বরদী, মেয়র ও মিউলের গল্প’ আবার আলোচনায় আসে। এ কারণে আমি বইটির কিছু অংশ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শেয়ার করেছি। বইটির শেষে লেখা আছে ‘প্রথম খণ্ড শেষ। বইটির দ্বিতীয় খণ্ডের কাজ ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে’।

নিজের লেখক জীবন প্রসঙ্গে মাসরুর আরেফিন বলেন, আমি কথা বলতে বিব্রতবোধ করি। কারণ, কথা বলা নয়, লেখকের কাজ লিখে যাওয়া। আমি নিজের লেখা নিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী। আমি পড়ার মতো লিখি। খুব খারাপ লিখি না। ‘ঈশ্বরদী, মেয়র ও মিউলের গল্প’ বইটির পুনঃপ্রকাশ অনুষ্ঠান।  ছবি: জিএম মুজিবুরবইটির আলোচনা করে গবেষক সাইমন জাকারিয়া বলেন, মাসরুর আরেফিনের এ বইটি একটি অভিনব আখ্যানকাব্য। তার এ বইটি আমাদের বারবার পাঠ করতে হবে। বাংলাদেশের নামক রাষ্ট্রের ক্ষমতা, রাজনীতি, অর্থনীতি, সংস্কৃতি, ইতিহাস, ধর্ম, শিক্ষা ও সভ্যতার সংকটকে বুঝে নিতে এ আখ্যানকাব্যটি গুরুত্বপূর্ণ।

মাসরুর আরেফিন সম্পর্কে কবি মারুফ রায়হান বলেন, লেখায় তিনি অন্যের কথা বলেন, সে কথাও বিশ্লেষণ করেন। নিজের কথাও তিনি লেখেন এবং বিশ্লেষণ করেন।

জহির হাসান বলেন, এতো বলপ্রয়োগ করে কাব্যগ্রন্থ কীভাবে লেখা যায়, তা একমাত্র পেশাদার লেখক না হলে সম্ভব নয়। অস্তিত্ববাদী লেখকের ভেতরে যা গল্প হয়ে আসে, লেখক তা এই বইটিতে তুলে ধরেছেন।  

ফারুক আব্দুল্লাহ বলেন, বইটিতে এতো নতুন নতুন শব্দ ব্যবহার করা হলেও মনে হয়নি কোনোটাই বাহুল্য। লেখক বইটিতে তার জেনারেশনের কথা তুলে ধরেছেন।  

কামরুজ্জামান কামু বলেন, বইটির লেখায় মাঝে মাঝে এমন এমন সব জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তাতে মনে হয়েছে সবকিছু রূপকথার মত। আমাদের সময়ের একজন ক্ষণজন্মা লেখক মাসরুর আরেফিন।  

আলতাফ শাহনেওয়াজ বলেন, বইমেলায় অনেক বই বের হয়। টোটাল বই বের হয় কয়টা? আমার কাছে মনে হয়েছে পুরো বিশ্বের একনায়ককেন্দ্রিক স্বৈরতন্ত্রের চিত্র এই বইটিতে তুলে ধরা হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭২১ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০১৯
এসই/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।