ঢাকা, সোমবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

শিল্প-সাহিত্য

ধারাবাহিক উপন্যাস

মানুষখেকোর দ্বীপ | পর্ব-২

আলম শাইন | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০২৩
মানুষখেকোর দ্বীপ | পর্ব-২

আনুমানিক সকাল সাড়ে আটটা। রোববার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০০৪ সাল।

কোনো ধরনের সতর্কতা সংকেত না দেখিয়েই শান্ত সমুদ্র হঠাৎ উত্তাল হয়ে উঠল। মুহূর্তে বিশাল বিশাল ঢেউ আছড়ে পড়ল সৈকতের কোলে। মূলত ভারত মহাসাগরে সৃষ্ট সুনামির তাণ্ডবে এমনি এক ভয়ানক ঘটনা ঘটল ছেঁড়া দ্বীপসহ বিশ্বের অন্যান্য সৈকত প্রান্তরে। ভারত মহাসাগর, আন্দামান সাগর আর বঙ্গোপসাগরসহ আশপাশের বহু দেশের সমুদ্র সৈকতে লাখ লাখ পর্যটক প্রাতভ্রমণ করতে এসে আনন্দে মেতে ছিলেন সেই সময়। ঠিক তেমনি সময় সৈকতে বিশাল বিশাল ঢেউ আছড়ে পড়ে কয়েক লাখ পর্যটকের প্রাণ কেড়ে নিয়ে গেল সঙ্গে সঙ্গে। কেউই বুঝতে পারেনি হঠাৎ করে প্রকৃতির রোষানলে কেন পড়েছেন তারা। কেনই বা আজ সমুদ্র হঠাৎ উত্তাল হয়ে পড়েছে। চিরতরে হারিয়ে যাওয়া পর্যটকদের কাছে সেই রহস্যটা চিরতরের জন্য অজানাই থেকে গেল। আসলে এই ধরনের ভয়ংকর দুর্যোগের সঙ্গে বর্তমান সভ্য সমাজের কেউই পূর্ব পরিচিত নয়। পর্যটকরা সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে এলেও সমুদ্রের অমন রুদ্র রূপ আর কখনো দেখেননি তারা। ঝড় জলোচ্ছ্বাসের কথা শুনেছেন যদিও, কিন্তু সমুদ্রের তীরে দাঁড়িয়ে অনেকেই প্রত্যক্ষভাবে দুর্যোগ দেখেননি। বিশেষ করে সমুদ্রের জল হঠাৎ কমে গিয়ে উঁচু উঁচু ঢেউ সৃষ্টির ঘটনা খুবই বিরল। ফলে এ ধরনের মহাদুর্যোগের ঘটনায় অবগত নন বেশির ভাগ পর্যটকেরা। যার ফলে এই দুর্যোগের ধরন বা নাম সম্পর্কেও অবগত নন কেউই।

আসলে এ মহাদুর্যোগের মূল কারণ ভূমিকম্প বৈ অন্য কিছু নয়। ভারত মহাসাগরের তলদেশে ছিল এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল। এ ধরনের ভূমিকম্পকে অনেকে ‘জলকম্প’ বলে থাকেন। জাপানি ভাষায় বলা হয় ‘সুনামি’। আট হাজার বছর আগে বিশ্বে বড় ধরনের সুনামি একবার আঘাত হেনেছিল আটলান্টিক মহাসাগরে। যার ফলে ইউরোপের মূল ভূখণ্ড থেকে ইংল্যান্ড আলাদা হয়ে গিয়েছিল বলে ধারণা করেন ভূবিজ্ঞানীরা। সেই সময় না কি ৪০ মিটার উচ্চতার ঢেউ সৃষ্টি হয়েছিল আটলান্টিকের বুকে।

মূলত কয়েকটি কারণেই জলকম্পের সূত্রপাত হয়। যেমন, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত, বড় ধরনের ভূমিধস, ভূমিকম্প ইত্যাদি। সমুদ্রের তলদেশে রিখটার স্কেলে ৯-৯.৫ মাত্রার ভূমিকম্প ঘটলে এমন তাণ্ডব ঘটে উপকূলীয় অঞ্চলে বা সৈকত প্রান্তরে। সমুদ্রতলের টেকটোনিক প্লেট চ্যুতির কারণে সমুদ্রের জল হঠাৎ নেমে গিয়ে পুনরায় স্ফীত হলে বিশাল আকারের ঢেউ বা জলোচ্ছ্বাস সৃষ্টি হয়ে মহাদুর্যোগ ঘটিয়ে ফেলে, যা ঘটেছিল আজ সকালে। কেন অমন ঘটেছে তার সঠিক সমাধান খুঁজে পায়নি তিয়াস। কারণ ওর জন্মের পর মাঝারি ধরনের জলকম্প হলেও এই ধরনের মহাদুযোর্গের মুখোমুখি হয়নি আর বিশ্ববাসী। ফলে বিষয়টা অজ্ঞাত থেকে গেছে বর্তমান সভ্য সমাজের কাছে।

আজকে সমুদ্রে বয়ে যাওয়া ঢেউয়ের গতি এতটাই ক্ষিপ্র ছিল যে, কেউ ঘাড় ফেরানোরও সুযোগ পায়নি। উত্তাল ঢেউয়ের আঘাতে পর্যটকদের কেউ কেউ ভাগ্যচক্রে বেঁচে গেলেও, অনেকেই তীব্র স্রোতের টানে দূর সমুদ্রে ভেসে গেছে। তেমনি ভাগ্যচক্রের খেলায় জিতে যাওয়া দু’জন হচ্ছে তিয়াস-অর্পিতা। ওরা সমুদ্রের তীব্র স্রোতের তোড়ে ছেঁড়া দ্বীপ থেকে দক্ষিণে ভেসে যেতে লাগল মুহূর্তেই। কয়েক সেকেন্ড দু’জন সামনে পেছনে ভেসে থাকলেও তীব্র স্রোতের তোড়ে অর্পিতা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঘুরপাক খেতে খেতে ক্রমশ দূরে সরে গেল। এদিকে তিয়াসের গতিপথও পাল্টে গেল, স্রোত ভিন্ন দিকে মোড় নেওয়ায়। কেয়া ঝোপের কাছাকাছি চলে এলো সে। এমতাবস্থায় স্রোতের গতিপথ যদি আর পরিবর্তন না হয়, তাহলে তিয়াসের বেঁচে থাকার সুযোগ আছে। মাথা উঁচিয়ে তিয়াস দেখতে পেল অর্পিতা নাকানি চুবানি খেতে খেতে তীরবেগে ভেসে যাচ্ছে। দ্বীপের ভূখণ্ড থেকে সে মাত্র কয়েক ফুট দূরে এখনো। এ মুহূর্তে ওকে ঠেকাতে না পারলে আর ঠেকানো সম্ভব হবেও না। সঙ্গে সঙ্গে বাম হাতে কেয়া ঝোপ সরিয়ে ডান হাত প্রসারিত করে অর্পিতাকে ধরতে চেষ্টা করল তিয়াস। ধরতে না পেরে তিয়াস পরিশেষে চেঁচিয়ে বলল, ‘অর্পিতা আমার হাত ধরো; দ্রুত তোমার হাতটা এদিকে বাড়িয়ে দাও। ’

তিয়াসের কথা অর্পিতার কানে গেলেও চেষ্টা করেও হাত বাড়ানোর সুযোগ পায়নি। জবাবে শুধু বলেছে, ‘বাঁচাও তিয়াস, বাঁচাও; আমি ভেসে গেলাম; আমাকে ধরো। ’

সঙ্গে সঙ্গে জাম্প দেওয়ার মতো করে সামনে খানিকটা ঝুকলো তিয়াস, অমনি পুনরায় স্রোতের টানে সাগরমুখী হলো সেও। ততক্ষণে অর্পিতা আরও দূরে সরে গেল। ভেসে যেতে লাগল তিয়াসও। ওর পায়ের নিচে এখন পাথর বা বালুকণার অস্তিত্ব নেই। দাঁড়াতে চেষ্টা করেও দাঁড়াতে পারেনি। প্রবল স্রোতের টানে অর্পিতার পেছন পেছন সে-ও ভেসে যেতে লাগল দূর অজানায়। ততক্ষণে ঢেউয়ের প্রবাহ কমে এসেছে। এখন ওদের পেছনে ঢেউয়ের তাড়া না থাকলেও স্রোতের গতি প্রচণ্ড। যার সঙ্গে মোকাবিলা করা মোটেই সম্ভব নয়। সুবিধা হচ্ছে, ভেসে থাকতে পারছে দু’জন, লাইফ জ্যাকেট গায়ে থাকায়। স্রোত না থাকলে ভেসে থাকতে পারত না। তার ওপর ঢেউ তেড়ে এলে এতক্ষণে পানির নিচে চাপা পড়ে যেত দু’জন। এক্ষেত্রে সাঁতার জানা থাকলেও যা, না থাকলেও পরিণতি হতো একই। যেখানে নোঙরবিহীন বিশাল জাহাজ সমুদ্র স্রোতে টিকতে পারে না, সেখানে মানুষের মতো অতি নগণ্য প্রাণীর সাঁতার বা লাইফ জ্যাকেট পরার উদাহরণ না টানাই ভালো। তবে সমুদ্র শান্ত থাকলে ভিন্ন কথা, লাইফ জ্যাকেট বাঁচিয়ে রাখতে পারে। সেক্ষেত্রেও উদ্ধারকারীদের নজরে পড়তে হবে অবশ্যই; নচেৎ পরিণতি হবে ভয়াবহ।

প্রবলবেগে বয়ে যাওয়া স্রোত দু’জনকে ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে দক্ষিণে। সমুদ্র থেকে তেড়ে আসা ঢেউ ছেঁড়া দ্বীপের ওপর দিয়েই বয়ে যাচ্ছে। ছেঁড়া দ্বীপ ততক্ষণে সম্পন্ন তলিয়ে গেছে। আয়তনে দ্বীপটা ছোট হওয়ায় চোখের পলকেই সারি সারি ঢেউ ধ্বংসলীলা চালাতে চালাতে পশ্চিম হয়ে দক্ষিণে প্রবাহিত হতে লাগল। যেদিকে বাংলাদেশের আর কোনো ভূখণ্ড নেই, ঠিক সেদিকেই পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটে চলছে স্রোত। তিয়াস পেছনে থাকায় অর্পিতাকে বারকয়েক দেখতে পেয়েছিল। অর্পিতা যে বেঁচে আছে, তা সে মালুম করতে পেরেছিল। এদিকে অর্পিতার ঘাড় ঘুরানোরও সুযোগ নেই। পেটে প্রচুর নোনাজল ঢুকেছে, জলের ঝাপটায় চোখ খুলতে পারছে না; জ্বলছে রি রি করে। অন্যদিকে নিশ্বাসও ভারী হয়ে আসছে। সব মিলিয়ে বলা যায়, জ্ঞান হারিয়ে ফেলার মতো অবস্থা হলো অর্পিতার।

পলকেই অর্পিতা দূর সমুদ্রে হারিয়ে গেল। চেষ্টা করেও তিয়াস হবু স্ত্রীকে চোখের নিশানায় আটকে রাখতে পারল না আর। চিৎ হয়ে ভেসে থাকায় ঘাড়টাও ঘুরানোর সুযোগ পায়নি সে। এমতাবস্থায় ঘুরপাক খেতে খেতে তিয়াসও ভেসে যাচ্ছে দূর সমুদ্রে। স্রোতের এতটাই গতি যে, শ্বাস-প্রশ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছে। বেঁচে আছে এটাও ভাবতে পারছে না, এতটাই ভয়ংকর পরিস্থিতে আছে এখন। তীব্র স্রোতের টানে তিয়াসকে ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে অজানার উদ্দেশে।

বৈরী পরিবেশকে মোকাবিলা করে সমুদ্রে ভেসে আছে তিয়াস। ঘণ্টাখানেক পেরিয়ে গেছে ইতোমধ্যে। উঁচু ঢেউ আগের মতো নেই, মাঝে মধ্যে স্বাভাবিক ঢেউ বইলেও স্রোতের গতি কমছে না। গতির হিসাবে ২০-২৫ নটিক্যাল মাইলের কম নয় স্রোতের গতি। তিয়াস ভেসে যাচ্ছে তীর গতিতে। সমুদ্র জলের উষ্ণতায় শরীর ততটা ঠাণ্ডা না হলেও ধীরে ধীরে বোধশক্তি হারিয়ে ফেলছে। মাঝে একবার শুধু চোখের সামনে ভেসেছিল অর্পিতার ছবি। স্রোতের টানে পাশকেটে ভেসে গেল প্রিয়জন, অথচ চেয়ে দেখা ছাড়া আর কিছুই করতে পারেনি সে। আহ্ কী দুভার্গ্য!

প্রবল স্রোতের ভয়ংকর ঘূর্ণিতে ঘুরপাক খেতে খেতে দুর্বল হয়ে পড়েছে তিয়াস। বহু কষ্টে হাত-পা ছড়িয়ে রাখার চেষ্টা করছে। সে জানে একবার স্রোতের নিচে মাথা চলে গেলে পরিস্থিতি অন্যদিকে মোড় নেবে। তখন কোনোমতেই আর নাক উঁচিয়ে রাখতে পারবে না। লাইফ জ্যাকেট কোনো কাজেই আসবে না। বিষয়টা আবছা খেয়াল থাকায় মাথাটা উঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করছে তিয়াস। নাকানি চুবানি খেতে খেতে ভেসে গেলেও সাহস হারায়নি। ভয়াবহ বিপদের মুখোমুখি হয়েও তিয়াস চেষ্টা করছে মাথাটা ঠাণ্ডা রাখতে। হায়-হুতাশ করলে বেঁচে থাকা কঠিন হবে। ওর বিশ্বাস ভেসে থাকতে পারলে সমুদ্রগামী জাহাজ অথবা কোস্টগার্ডের নজরে পড়বে।

স্রোত আর ঢেউয়ের সঙ্গে বলপ্রয়োগ করে তিয়াস প্রচণ্ড দুর্বল হয়ে পড়ছে, অসুস্থবোধ করছে। শরীরের তাপমাত্রাও নেমে গেছে। গায়ের লাইফ জ্যাকেটাই এখন বড় ভরসা। দ্বীপে দু’জনের পায়ে স্লিপার জুতা পরা থাকায় সুবিধা হয়েছিল। ঢেউয়ের ধাক্কায় সঙ্গে সঙ্গে জুতা খুলে গেছে। পায়ে কেডস জুতা থাকলে এখন বিপাকে পড়ত। খুলতে পারত না ফিতা। ফলে পায়ের পাতা ভারী হয়ে যেতো। ভেসে থাকতেও সমস্যা হতো।

ইতোমধ্যে বেশ খানিকটা সময় পেরিয়ে গেছে। তিয়াস অচেতন প্রায়। সামান্য খেয়াল আছে সে যে, সমুদ্রের জলে ভাসছে; এ পর্যন্তই। আর বিশেষ কিছু মনে আসছে না তিয়াসের। অনেকটা স্বপ্নের ঘোরের মতো অবস্থা ওর। বাঁচতে হবে বা বাঁচার চেষ্টা করতে হবে, সেসব এখন মোটেই মাথায় নেই। ঢেউয়ের জাম্পে আর জলের ঝাপটায় চোখ খুললেও সঙ্গে সঙ্গে আবার চোখের পাতা জড়ো হয়ে আসছে। এভাবে আরও কিছু সময় পেরিয়েছে। এখন হাত-পা সম্পূর্ণ অবশের মতো হয়ে গেছে, নাড়তে পারছে না আর।

সম্পূর্ণ অচেতন অবস্থায় তিয়াস স্রোতের টানে ভেসে যাচ্ছে দূর অজানায়। ভাসতে ভাসতে দুপুর গড়িয়ে গেল। স্রোতের তীব্র প্রবাহ অনেকটাই কমে এসেছে দুপুরের পরে। গতি হ্রাস পেয়ে দিক পরিবর্তন হয়েছে, দক্ষিণ থেকে উত্তর-পূর্ব দিকে স্রোতধারা বইছে এখন। সমুদ্র অনেকটাই শান্ত। কে বলবে সকালে অমন তাণ্ডব চালিয়েছে সমুদ্র! ভেসে থাকার জন্য এখন উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হলেও হঠাৎ স্রোতের গতি শূন্যে নেমে আসায় আরেক দিকে বিপদ বেড়ে গেছে। কারণ শান্ত সমুদ্রে হিংস্র প্রাণীরা অবাধে বিচরণ করতে পারে। জলের ওপরে ভেসে ওঠার সুযোগ পায় ওরা। তীব্র স্রোত বা উত্তাল ঢেউ থাকলে সামুদ্রিক প্রাণীরা সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়। সমুদ্রে ভেসে থাকার অনুকূল পরিবেশ তৈরি হতেই হিংস্র প্রাণীদের আনাগোনা বেড়ে যেতে লাগল। একজোড়া হাঙর দাপিয়ে বেড়াতে লাগল তিয়াসের কাছ থেকে আনুমানিক ২৫০ মিটার দূরত্বে। শিকারের গন্ধ পেয়ে হাঙর দুটি হন্নে হয়ে শিকার খুঁজছে। ওদের নাকের সেন্সরে শিকারের গন্ধ এলেও এখনো স্থান শনাক্ত করতে পারেনি। তবে রক্তের গন্ধ পেলে এতক্ষণে ঠিকই তিয়াসের কাছে চলে আসতে পারত। কারণ সামুদ্রিক প্রাণীদের মধ্যে হাঙরের ঘ্রাণশক্তি খুবই তীব্র। রক্তের গন্ধ না কি ওরা এক কিলোমিটার দূর থেকেও শনাক্ত করতে পারে। তিয়াসের শরীর থেকে রক্ত না ঝরায় সহজে শিকার শনাক্ত করতে পারেনি হাঙররা। ওরা হন্নে হয়ে এদিক-সেদিক ছোটাছুটি করছে। কিছুক্ষণের চেষ্টায় এক পর্যায়ে হাঙর দুটি শিকারের অবস্থান শনাক্ত করতে পারল। তারপর দাঁত কেলিয়ে প্রতযোগিতা দিয়ে হাঙররা তিয়াসের দিকে ছুটে আসতে লাগল। সে এক ভীবৎস দৃশ্য! যখন হাঙরগুলো ছুটে আসছে ওকে লক্ষ্য করে তখনো তিয়াস অচেতন, যার কারণে তার পরবর্তী পরিণতি নিয়ে ভাবতে পারেনি সে। চলবে...

মানুষখেকোর দ্বীপ | পর্ব-১

আলম শাইন: কথাসাহিত্যিক, পরিবেশ ও জলবায়ুবিষয়ক কলামিস্ট

বাংলাদেশ সময়: ১০০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০২৩
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।