ঢাকা, রবিবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৯ মে ২০২৪, ১০ জিলকদ ১৪৪৫

কৃষি

পশুরহাটে বাড়ছে বিক্রি কমছে দাম

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১৭
পশুরহাটে বাড়ছে বিক্রি কমছে দাম পশুরহাটে বাড়ছে বিক্রি কমছে দাম, ছবি: বাংলানিউজ

ফেনী: দোরগোড়ায় কড়া নাড়ছে ঈদুল আজহা, আর মাত্র তিনদিন বাকি থাকায় হাটগুলোতে পুরোদমে জমে উঠেছে পশুর বিকিকিনি।

গত কয়েকদিনের হাটের চিত্র আর বুধবারের (৩০ আগস্ট) চিত্র পুরোটাই ভিন্ন।

মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) ফেনীর ফাজিলপুর এলাকার লস্কর হাট বাজারে গিয়ে দেখা ক্রেতা-বিক্রেতা দামা-দামীতেই ব্যস্ত ছিলো, দিন শেষে পশু বিক্রির সংখ্যা ছিলো নিতান্তই কম।

কিন্তু আজ হাটগুলোতে পশুর বিক্রির দৃশ্য চোখে পড়ার মতো। পশুরহাটে বাড়ছে বিক্রি কমছে দাম, ছবি: বাংলানিউজজেলার সোনাগাজী মো. সাবের মডেল পাইলট হাইস্কুলের পৌর পশুর হাটে গিয়ে দেখা যায়, দুপুর সাড়ে ১২টা থেকেই পশু নিয়ে আসতে শুরু করেছে ব্যাপারী এবং সাধারণ বিক্রেতারা। দুপুর দেড়টা থেকেই জমে উঠতে থাকে বাজার। হাটের মধ্যে ক্রেতারা ঘুরে ঘুরে পশু দেখছেন, পছন্দ হলে আর দামা-দামীতে মিলে গেলে কিনতে দেরি করছেন না।

এ বাজারে দেশীয় খামারি ও ব্যক্তি পর্যায়ে পালিত গরুর চাইতে ব্যাপারীদের আমাদানি করা গরুর বিক্রি বেশি হচ্ছে। কারণ হিসেবে ক্রেতারা মনে করছেন এসব গরু দেশীয় গরুর চাইতে দামে তুলনামুলক কম। ব্যাপারীদের আমদানি করা ছোট সাইজের গরু বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫ ০ হাজারের মধ্যে, মাঝারি সাইজ ৭০ থেকে ৮০ এবং বড় সাইজের গরুগুলো বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ টাকা থেকে শুরু করে দেড় লাখ টাকায়।

এদিকে ব্যাপারীদের গরু বেশি বিক্রি হওয়ায় হতাশায় ভুগছেন স্থানীয় খামারি এবং গৃহস্থালী গরুর মালিকরা।

সফিক পাটোয়ারী নামে একজন বলেন, তিনি তার গৃহস্তে দু'টি গরু দীর্ঘদিন লালন-পালন করে আজ হাটে তুলেছেন-যে দাম উঠছে তাতে উনার কিছুতে পোষায়না। গরুর খাদ্য এবং অন্যান্য খরচ হিসেব করলে লাভ তেমনটা থাকেনা। তবে দাম কমের দিকে যাওয়ায় বেশ ফুরফুরে মেজাজে আছেন সাধারণ ক্রেতারা।

একই চিত্র জেলার অপর প্রান্তের ছাগলনাইয়া পাইলট মডেল হাইস্কুল মাঠের পৌর পশুর হাটেও। এ হাটে গিয়ে কথা হয় ব্যাপারী নুরুল আলমের সঙ্গে।

তিনি বাংলানিউজকে জানান, আজ হাটে ০৮টি গুরু নিয়ে এসেছেন তিনি ইতোমধ্যেই দু'টো বিক্রি হয়ে গেছে, আরো দু'টো বিক্রি করার আশা করছেন। ঈদের আর বেশিদিন না থাকায় অল্প লাভেই ছেড়ে দিতে হচ্ছে। কারণ যতোদিন পশুগুলো রাখা হবে খাওয়া ধাওয়াসহ খরচ অনেক। তাই বিক্রি হয়ে গেলেই ভাল।

আশফাক হোসেন নামে এক ক্রেতা বাংলানিউজকে জানান, আজকের হাটে পশুর দাম মোটামুটি সহনীয় রয়েছে। অন্যদিনের চেয়ে পশুর দাম অনেকটাই কম। তিনি আশাবাদ করেন আজকের হাটেই তিনি পশু কিনে বাড়ি ফিরতে পারবেন। পুরো হাট ঘুরে দেখা যায় এখানে গরুর চাইতে মহিষই বেশি এবং এসব মহিষ ভালো বিক্রিও হচ্ছে। ৫০ হাজার থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১ লাখ ৫ হাজারে বিক্রি হচ্ছে মহিষ।

হাটগুলোতে গরু, মহিষের পাশাপাশি ছাগলে বিক্রিও ছিল চোখে পড়ার মতো। ১০ হাজার থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৪ হাজারের মধ্যে বিক্রি হচ্ছে একেকটি ছাগল। সোনাগাজী ও ছাগলনাইয়ার এ দু'টি হাটের কমিটির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আজকের হাটেই বেশি পশু বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে। ঈদের আর মাত্র দু’দিন থাকায় দামও কমে এসেছে। ব্যাপারীরা পোষালেই ছেড়ে দিচ্ছেন। আর ক্রেতারা কিনে নিচ্ছেন তাদের পছন্দের পশু।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৭ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১৭
এসএইচডি/এএটি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।