ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

বরগুনায় হাসপাতালে ধারণক্ষমতার তিনগুণ ডায়রিয়া রোগী

জাহিদুল ইসলাম মেহেদী, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ৯, ২০২২
বরগুনায় হাসপাতালে ধারণক্ষমতার তিনগুণ ডায়রিয়া রোগী

বরগুনা: বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েই চলেছে। হাসপাতালে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে শয্যা সংখ্যার চেয়ে তিনগুণ বেশি রোগী ভর্তি রয়েছে।

রোগী সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা।  

শনিবার (৯ এপ্রিল) সকালে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, শয্যা সংখ্যা কম থাকায় মেঝেতে বিছানা পেতে বাচ্চাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৭ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে। সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছে ১৯ জন। গতকাল শুক্রবার সারাদিনে নতুন ১৩ জন ভর্তি হয়েছে। বর্তমানে রোগী ভর্তি আছে ৪০ জন, সেখানে শয্যা সংখ্যা ১৩টি। বাকি রোগী মেঝেতে শয্যা পেতে চিকিৎসা নিচ্ছে। এ মাসে এই বিভাগে আক্রান্তের সংখ্যা মার্চের তুলনায় চারগুণ বেড়েছে।

হাসপাতালে সরেজমিনে দেখা যায়, নিচতলার মেঝেতে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে গাদাগাদি করে অবস্থান নিতে হয়েছে রোগীদের। এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাধারণত এপ্রিল মাসে দেশে ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। কিন্তু এ বছর মার্চের শুরুতেই রোগী বাড়তে শুরু করে আশঙ্কাজনক হারে। এ অবস্থায় রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকসহ স্বাস্থকর্মীদের।

কয়েকজন রোগী ও রোগীর স্বজনের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, পাতলা পায়খানা শুরু হওয়ার পর প্রথমে ঘরোয়াভাবে চিকিৎসা করি পরে অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালে ভর্তি করি। প্রত্যন্ত এলাকায় প্রায় ঘরে ঘরে এমন রোগী আছে। তবে যাদের পরিস্থিতি গুরুতর হয় তাদের এখানে নিয়ে আসে।

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক (আবাসিক) সোহরাব উদ্দীন বাংলানিউজকে জানান, গরমের মৌসুম শুরু হওয়ায় ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। হাসপাতালে জনবল কম থাকার কারণে আমরা চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছি। রোগীদের যে পরিমাণে যত্নের প্রয়োজন আমরা শতভাগ না পারলেও সাধ্যমত চেষ্টা চালাচ্ছি। গত মাসের তুলনায় অধিক সংখ্যক রোগী ভর্তি হচ্ছে এ মাসে। তবে আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার স্যালাইন ও ওষুধ মজুত রয়েছে।

বরগুনা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ফজলুল হক বাংলানিউজকে জানান, রোগীদের সেবা নিশ্চিত করতে আমরা সাধ্যমত চেষ্টা চালাচ্ছি। ডায়রিয়াজনিত রোগ বিলুপ্ত হয়ে যায়নি। আমরা একে মোকাবিলা করতে চাই। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশুদ্ধ পানির অভাব রয়েছে। খাবার পানির বিষয়টা তো আমরা দেখি না, এটা স্থানীয় সরকার দেখে। তারা নিশ্চয়ই সেটা দেখছে। যতক্ষণ পর্যন্ত শতভাগ বিশুদ্ধ পানি দেওয়া না যাবে, সেটা খাবারের পানি হোক আর নিত্য ব্যবহারের হোক ততক্ষণ পর্যন্ত ডায়রিয়া থেকে আমাদের রেহাই নেই।

বাংলাদেশ সময়: ১০৫৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।