ঢাকা, রবিবার, ৬ আশ্বিন ১৪৩২, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

স্বাস্থ্য

মসুর ডাল বেশি খেলে হতে পারে যে সমস্যা

স্বাস্থ্য ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২:২১, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৫
মসুর ডাল বেশি খেলে হতে পারে যে সমস্যা পর্যাপ্ত আমিষ পেতে হলে ডাল একটু ঘন করেই খাওয়া উচিত।

অফিসে যাওয়ার তাড়ায় মাছ-মাংস রাঁধা সম্ভব হয় না। প্রতি দিন ডিম খাওয়াও ভালো নয়।

তাই শরীরে পর্যাপ্ত পুষ্টির জোগান দিতে মসুর ডালই ভরসা। সহজপাচ্য তো বটেই, রান্না করাও সহজ। তাই সাধারণ গেরস্ত বাড়িতে মসুর ডাল অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি পদ। অন্যান্য ডালের চেয়ে মসুর ডালে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি। তাছাড়া ডাল উদ্ভিজ্জ প্রোটিন। একটা বয়সের পর প্রাণিজ প্রোটিন বেশি খেলে শারীরিক নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই অনেকেই প্রোটিনের এই উদ্ভিজ্জ উৎসটির ওপর ভরসা করেন।  

পুষ্টিবিদরা বলেন, এক কাপ সেদ্ধ মসুর ডাল থেকে পাওয়া যায় ১৮০ ক্যালোরি। এতে প্রোটিনের পরিমাণ প্রায় ১০ গ্রাম এবং ফাইবার রয়েছে ছয় গ্রাম। অন্যান্য খাবারের সঙ্গে দুই বেলা দুই বাটি ডাল খেলেও প্রোটিনের ঘাটতি মেটানো যায়। নিরাপদ ভেবে মসুর ডাল বেশি খেয়ে ফেললেও কিন্তু বিপদ।

মসুর ডাল বেশি খেলে কী ধরনের সমস্যা হতে পারে?

* ইউরিক অ্যাসিড

যারা ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় ভুগছেন, তাদের প্রতিদিন এই ডাল না খাওয়াই ভালো। প্রোটিনের পাশাপাশি মসুর ডালে রয়েছে পিউরিন নামক একটি উপাদান। এই উপাদানটিই রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে। আর্থ্রাইটিস ছাড়া অস্থিসন্ধির ব্যথা বেড়ে যাওয়ার পেছনে কিন্তু মুসুর ডালের ভূমিকা রয়েছে।

* কিডনির সমস্যা

যাদের কিডনির সমস্যা রয়েছে, তাদেরও মসুর ডাল খেতে বারণ করেন পুষ্টিবিদরা। অতিরিক্ত মুসুর ডাল খেলে অক্সালেটের পরিমাণ বেড়ে যায়। কিডনিতে পাথর তৈরি হওয়ার মূল উপাদান হলো অক্সালেট।

* অ্যালার্জি

অনেকেরই ডাল খেলে অ্যালার্জি হয়। তেমন সম্ভাবনা থাকলে কিন্তু ডাল না খাওয়াই ভালো। না হলে গায়ে র‌্যাশ বেরোতে পারে, সারা গা ফুলে যেতে পারে। কারও কারও আবার চুলকানির সমস্যাও দেখা যায়। অ্যালার্জিজনিত সমস্যা বাড়াবাড়ির পর্যায়ে পৌঁছলে শ্বাসকষ্ট পর্যন্ত হতে পারে।

এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।