ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

করোনা সংক্রমণ ২০ শতাংশ ছাড়িয়েছে: স্বাস্থ্যের ডিজি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২২
করোনা সংক্রমণ ২০ শতাংশ ছাড়িয়েছে: স্বাস্থ্যের ডিজি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। ফাইল ফটো

ঢাকা: দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের হার ২০ শতাংশ ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।

সোমবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে একটি ভিডিও কনফারেন্সে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, দুই সপ্তাহ আগেও আমাদের সংক্রমণের হার দুই শতাংশের নিচে ছিল। সেটা আজ সোমবার ২০ দশমিক ৮৮ শতাংশে পৌঁছে গেছে। দুই সপ্তাহের মধ্যেই সংক্রমণ অনেকখানি বেড়ে গেছে। এই আক্রান্তের হার বেড়ে যাওয়াটা আমাদের জন্য অশুভ ইঙ্গিত। আমরা যদি এটাকে প্রতিহত করার কাজগুলো শক্তিশালী না করি, তাহলে সমূহ বিপদের সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, করোনার নতুন যে ধরন, ওমিক্রন। সেই ওমিক্রন ভাইরাসের সংক্রমণ আগের থেকে বেড়েছে। কিন্তু আমাদের জনমনে এরকম একটা ধারণা প্রচলিত রয়েছে যে, ওমিক্রন সংক্রমিত হলে ভয়ের কোনো কারণ নেই। ওমিক্রনে খুব বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার বা সমস্যা হয়না। কিন্তু জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন পর্যন্ত ডেল্টা ধরনে আক্রান্তের হার সর্বাধিক। ওমিক্রন বাড়ছে, তবে সেটা ডেল্টার মত নয়। ঢাকায় ওমিক্রন বাড়ছে, কিন্তু ঢাকার বাইরে অন্যান্য শহরে ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাব নেই বললেই চলে। অন্যান্য শহরে যেটা বাড়ছে, তা হচ্ছে ডেল্টা ভাইরাস। এর আগে আপনারা দেখেছেন, ডেল্টা ভাইরাসের ভয়াবহতা কেমন ছিল।

করোনা ভাইরাসের বর্তমান ঊর্ধ্বমুখী পরিস্থিতিতে লকডাউন দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কি না জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, লকডাউন দেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের জীবন ও জীবিকার বিষয়টি ভাবতে হয়। সংক্রমণ দ্রুত বাড়ছে আমরা সেদিকে লক্ষ রাখছি। সমস্ত কিছু বিচার বিশ্লেষণ করেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এখন পর্যন্ত লকডাউনের কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি।

তিনি আরও বলেন, আমরা পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা যেন এমন পরিস্থিতি তৈরি না করি, যেন লকডাউন দিতেই হয়। আমরা যদি আমাদের অর্থনৈতিক কার্যক্রম বজায় রাখতে চাই, আমাদের ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাতে চাই, গত দু’বছর আমরা যে কঠিন অবস্থা পার করেছি, সেই অবস্থায় যদি আবার না যেতে চাই, তাহলে আমাদের সবাইকে সঠিকভাবে মাস্ক পড়তে হবে। স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। তাই আসুন আমরা সব ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠান বন্ধ এবং অংশগ্রহণ করাও পরিহার করি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২২
আরকেআর/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।