ঢাকা, বুধবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

১৫ থেকে ৩৯ বয়সীদের মধ্যে ক্যান্সারের প্রবণতা বেশি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৯
১৫ থেকে ৩৯ বয়সীদের মধ্যে ক্যান্সারের প্রবণতা বেশি ঢাকা ক্যান্সার সামিট ২০১৯। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: বাংলাদেশে ১৫ থেকে ৩৯ বছর বয়সীদের মধ্যে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। এরমধ্যে ৩৬ দশমিক ৫০ শতাংশ রোগী প্রাইমারি স্কুল পাস, ৫০ দশমিক ৫০ শতাংশ দরিদ্র, ২৫ দশমিক ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী, ৬৪ দশমিক ৫০ শতাংশ গ্রামে বসবাস করে এবং ৩৯ দশমিক ৫০ ও ৩৩ শতাংশ রোগী ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার তিন ও চার নম্বর ধাপে চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নিতে আসে। 

দেশের জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ২০১৬ সালে পরিচালিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।  

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে মেডিক্যাল অনকোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশ আয়োজিত ‘ক্যান্সার সামিট ২০১৯’-এ বক্তারা এ কথা জানান।

 

সংগঠনটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. পারভীন শাহিদা আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।  

তিনি বলেন, দেশে উত্তম পরিবেশে জনগণ সেবা পায় না। তারা টাকা-পয়সা খরচ করে, প্রাপ্তির আশাও অনেক বেশি থাকে। সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের কাছে জনগণের উচ্চ মাপের আশা থাকে। এই আশাকে অসম্মান করা যাবে না। দেশে প্রতিদিন অনেক মানুষ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যান। আমাদের হাসপাতালগুলোতে উচ্চমানের সেবা দেওয়ার সুযোগ আছে। তাদের সেভাবে সেবা দিতে হবে। তাদের সঙ্গে আচরণগত কোসো ঘাটতি রাখা যাবে না। এটা করতে পারলে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হবে। আমাদের সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সম্পূর্ণরূপে গণমুখী করা সম্ভব হবে।  

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. খান আবুল কালাম আজাদ, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (মিটফোর্ড) অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. বিল্লাল খান, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া, ঢাকা ক্যান্সার সামিট ২০১৯-এর চিফ পেট্রোন অধ্যাপক ডা. এম এ হাই প্রমুখ।  

বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ হওয়ায় উচ্চতর শিক্ষার ক্ষেত্রে অনেক বাধা রয়েছে। প্রতিবছর মাত্র চারজন চিকিৎসক বিএসএমএমইউতে মেডিক্যাল অনকোলজি পোস্ট গ্রাজুয়েট করার সুযোগ পান। তাছাড়া, মেডিক্যাল অনকোলজি বিভাগ সরকারের মাত্র দু’টি গবেষণা প্রতিষ্ঠানে রয়েছে। সেগুলো হলো- জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল এবং শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। এছাড়া, সেনাবাহিনীর সিএমএইচে মেডিক্যাল অনকোলজি বিভাগ চালু হয়েছে।  

এসময় মেডিকেল অনকোলজিস্টদের দাবিগুলো সম্পর্কে তারা বলেন, বিএসএমএমইউসহ দেশের সব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পদ সৃষ্টি করতে হবে অথবা এই বিভাগ চালু করতে হবে, সংশ্লিষ্ট পোস্ট গ্রাজুয়েটের সুযোগ আরও বাড়াতে হবে। হাসপাতালগুলোতে মলিক্যুলার ল্যাবরেটরি সুবিধা সরবরাহ করতে হবে। কারণ, ক্যান্সার নির্ণয়ের ক্ষেত্রে এই ল্যাবরেটরি অপরিহার্য। আরও দক্ষ হয়ে উঠতে চিকিৎসকদের বিদেশে উচ্চতর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৯
এমএএম/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।