ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ হাতে পেলে জানান, কঠোর ব্যবস্থা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৩ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৯
মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ হাতে পেলে জানান, কঠোর ব্যবস্থা ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনে সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ঢাকা: ভোক্তাদের ওষুধ কেনার সময় মেয়াদ দেখে কেনার পরামর্শ দিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ হাতে পেলে আমাদের জানান, কঠোরতম শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সচিবালয়ে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনে সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী একথা জানান।
 
ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে রাজধানীর প্রায় ৯৩ শতাংশ ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৮ জুন হাইকোর্ট বাজার থেকে এসব ওষুধ জব্দ করে ধ্বংস করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

পাশাপাশি এসব ওষুধ বিক্রি, সরবরাহ ও সংরক্ষণের সঙ্গে জড়িতদের শনাক্তে কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়।
 
সংবাদ সম্মেলনে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের পদক্ষেপ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা জনগণের স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত। এমন ওষুধ আপনাদের দেবো না যেখানে জনগণ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ে। আমাদের দেশে লাইসেন্সপ্রাপ্ত এক লাখ ২৩ হাজার ফার্মেসি রয়েছে। আমাদের যা জনবল আছে তা দিয়ে ইন্সপেকশন করি। মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ যদি বিক্রি হয় তাহলে এ বিষয়ে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছি, ব্যবস্থা আরো জোরদার করবো, আমরা সচেতন হয়েছি।
 
মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষুধ বিক্রি হয়- এ কথাটি যেহেতু এসেছে এবং জেল-জরিমানা হচ্ছে, আমরা বসে নেই। আমরা এটা জোর গলায় বলছি। এ বিষয়ে আমরা আরো সচেতন হবো, আরো কঠোর হবো। আমরা জনগণের স্বাস্থ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেবো না। ফার্মেসি কাউন্সিলকে এ বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছি, ওষুধ শিল্প সমিতিকে জানিয়েছি তাদের দায়িত্ব মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধগুলো সময়মতো ফেরত নেওয়ার জন্য। ’
 
ভোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, জনগণ যখন কোনো ওষুধ কেনে মেয়াদটা যেন দেখে নেয়। মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সেখানে থাকতে পারে, এটা তো শতভাগ গ্যারান্টি দিতে পারবো না।
 
‘যদি কোনো ব্যক্তি মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ হাতে পায় ওষুধ প্রশাসনকে অবহিত করবেন, আমাদের অবহিত করবেন, আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেবো। আইন-শৃঙঙ্খলা বাহিনী যারা আছে তাদেরও অবিহিত করবেন। কঠোরতম শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’
 
ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান বলেন, ওষুধের মেয়াদটা কনটিনিয়াস। মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে ফার্মেসিতে আলাদা জায়গায় রাখা হয়। লেখা থাকে যে ‘বিক্রির জন্য নহে’।
 
ব্যবস্থা নেওয়া প্রসঙ্গে মহাপরিচালক বলেন, গত ছয় মাসে ৩৭০টি মামলা দায়ের করেছি। ৫৮ লাখ ৭৫ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা এবং কয়েকজনকে জেল দিয়েছি। ব্যবস্থপনা নিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়েছি। এক লাখ ৩০ হাজার ফার্মেসি রয়েছে। আমরা জিরো টলারেন্স এটার বিরুদ্ধে। দোকানের শেলফে যেন না থাকে। আদালতের রায়ের কপি হাতে পেলে শতভাগ কাজ করবো। মেয়াদোত্তীর্ণ ও নকল, ভেজাল ওষুধের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নিচ্ছি। প্রতিনিয়ত অভিযান হচ্ছে। এক শতাংশও যেন শেলফে না থাকে। একটা মানুষও যেন অ্যাফেকটেড না হয়।
 
নার্সিং কাউন্সিলে কয়েকজন শিক্ষার্থী অবৈধভাবে ভর্তির বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, কোনো অনিয়ম হয়ে থাকলে খতিয়ে দেখবো। যদি অনিয়ম হয় অবশ্যই দেখবেন যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৭ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৯
এমআইএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।