প্যারিসের জমকালো মঞ্চে ফুটবলের সবচেয়ে বড় ব্যক্তিগত পুরস্কার হাতে নিয়েছেন ওসমান দেম্বেলে। ক্যারিয়ারের শুরুতে ইনজুরি আর সমালোচনায় ভরা দিনগুলোকে পেছনে ফেলে তিনি পেলেন সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত স্বীকৃতি—প্রথম ব্যালন ডি’অর।
পুরস্কার জয়ের পরপরই সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করেন দেম্বেলে। ফেসবুকে ব্যালন ডি’অরের ছবি দিয়ে লিখলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ! আলহামদুলিল্লাহ! আলহামদুলিল্লাহ!’
ভেজা চোখের একটি ছবি পোস্ট করে দেম্বেলে লিখেছেন, ‘এই হাসির আড়ালে আমি একাই জানি কত ইনজুরি, কত ব্যথা, কত ত্যাগ লুকিয়ে আছে। এই ব্যালন ডি’অর আমার উত্তর। আমার চোখের জল থামছে না। শুধু আমি জানি, এই মুহূর্তের জন্য আমি কত দোয়া করেছি। ’
সমালোচনা আর অবমূল্যায়নের দিনগুলো স্মরণ করে দেম্বেলে লিখেছেন, “তারা বলেছিল আমি শেষ হয়ে গেছি। আমি পড়ে গেলে হাসাহাসি করত, আমাকে ভঙ্গুর আর অপচয় বলত। কিন্তু তারা জানত না, নীরব রাতে আমি কেমন কেঁদেছি, কতটা যন্ত্রণা বয়ে বেড়িয়েছি, কতবার হাল ছাড়ার কথা ভেবেছি। রিহ্যাবের দীর্ঘ সময়, একাকিত্ব, সন্দেহ—সবকিছু মিলিয়ে ভাঙার মতো অবস্থায় পৌঁছে গিয়েছিলাম। এই ব্যালন ডি’অর শুধু একটি ট্রফি নয়, এটি আমার টিকে থাকার প্রতীক। ”
পুরস্কার মঞ্চে মা এগিয়ে এসে জড়িয়ে ধরলে দেম্বেলে আর আবেগ চেপে রাখতে পারেননি। পরে সামাজিক মাধ্যমে লিখলেন, ‘আমি মাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। মা, তুমি সবসময় আমার পাশে ছিলে। এই অর্জন তোমার জন্যও। ’
২০২৪–২৫ মৌসুম দেম্বেলের ক্যারিয়ারের সেরা সময়। পিএসজি’র হয়ে জিতেছেন লিগ ওয়ান, ফরাসি কাপ ও চ্যাম্পিয়নস লিগ। খেলেছেন ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালও। পুরো মৌসুমে তার অবদান ছিল ৩৫ গোল ও ১৪ অ্যাসিস্ট। মৌসুমের শুরুটা নীরব থাকলেও নতুন বছরের পর থেকে তিনি ছিলেন ইউরোপের সবচেয়ে ফর্মে থাকা ফরোয়ার্ড।
এ অর্জন সহজে আসেনি। প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন মোহামেদ সালাহ, কিলিয়ান মবাপ্পে, লামিনে ইয়ামাল কিংবা রাফিনহার মতো তারকারা। কিন্তু সবাইকে পেছনে ফেলে দেম্বেলে প্রমাণ করেছেন, তিনিই যোগ্যতম।
এমএইচএম