ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

ফুটবল

মে মাসে শুরু হতে পারে নারী ফ্র্যাঞ্চাইজি ফুটবল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২৩
মে মাসে শুরু হতে পারে নারী ফ্র্যাঞ্চাইজি ফুটবল

বাংলাদেশের নারী ফুটবলের ঘরোয়া লিগের কাঠামোর বেহাল দশা। নারী লিগে দেশের সব ক্লাবের আগ্রহ নেই বললেই চলে।

দেশের বড় ক্লাবগুলোর মধ্যে বসুন্ধরা কিংসই একমাত্র নারী এবং পুরুষ ফুটবল লিগে সমান আগ্রহ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। নড়বড়ে কাঠামোর নারী ফুটবলে হঠাৎ করেই চমক ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ! দেশের ফুটবলে প্রথমবারের মত আয়েজিত হতে যাওয়া ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের নাম দেয়া হয়েছে ‘ওমেন্স সুপার লিগ’ (ডব্লিউএসএল)।  

বাংলাদেশের ফুটবলের এখন সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন নারী ফুটবল। একের পর এক সাফল্য বয়ে আনছেন তারা। সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর নারী ফুটবলের প্রতি সকলের আগ্রহ তুঙ্গে। ছেলেদের ফুটবলে ভারতের আদলে হবে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ, এমনটা শোনা যাচ্ছিল গত কয়েক বছর ধরে। ধুঁকতে থাকা ছেলেদের ফুটবল থেকে নজর সরিয়ে দিয়ে চমক হয়ে এসেছে ওমেন্স সুপার লিগ। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন ও স্পোর্টস ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান কে-স্পোর্টসের যৌথ উদ্যোগে যে টুর্নামেন্টের প্রস্তাবিত সূচি আগামী মে মাসে।  

আজ (১৩ মার্চ) সোমবার রাজধানীর একটি পাচঁতারকা হোটলে টুর্নামেন্টের ঘোষণা এবং লোগো উন্মোচন করেছে বাফুফে। মে মাসে এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে চায় বলে জানিয়েছে বাফুফে। মাস নির্ধারিত হলেও তারিখ এবং কয় দল নিয়ে টুর্নামেন্ট আয়োজিত হতে পারে তা নির্ধারিত হয়নি। তবে পাঁচ থেকে ছয়টি দল নিয়ে আসরটি আয়োজনে ইঙ্গিত দিয়েছেন কে স্পোর্টসের কর্ণধার ফাহাদ এম এ করিম।  

গত বছর নেপালে নারী সাফ জয়ের পর বাংলাদেশের ফুটবল যেন এখন কেবল নারী কেন্দ্রিক। তাই কে-স্পোর্টসের ফ্র্যাঞ্চাইজি ফুটবলের আয়োজন নারী ফুটবলকে ঘিরে। বাফুফে এবং কে স্পোর্টসের দাবি বাংলাদেশের নারী ফুটবলের অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে ওমেন্স সুপার লিগ! 

প্রস্তাবিত ম্যাচের সংখ্যা ১৯ থেকে ২৪ টি। ভেন্যু হতে পারে ঢাকা ও সিলেট। বাফুফে নারী উইংয়ে চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ চলছে। সেখানে ম্যাচ আয়োজন করা সম্ভব বলে মনে হয় না। ঢাকার ম্যাচগুলোর জন্য আমাদের বিবেচনায় রয়েছে বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্স এবং ঢাকার বাইরে সিলেটে ম্যাচ আয়েজিত হতে পারে। ’

ঘরোয়া ফুটবলে বিদেশি ফুটবলারের খোঁজ না থাকলেও ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে আনা হবে বিদেশি ফুটবলার। কোটা পদ্ধতিতে ফুটবলার আসবে দক্ষিণ এশিয়া ও ফিফাভুক্ত দেশ থেকে। কে-স্পোর্টসের সত্বাধিকারী ফাহাদ এম এ করিম আজ লোগো উন্মোচন অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন এসব। প্রতিটি দলে ১৮ জন ফুটবলার থাকবে। ১৩ জন দেশি ফুটবলার এবং পাঁচ জন বিদেশী ফুটবলার। এর মধ্যে তিন জন বিদেশি ফুটবলার ড্রাফটের ভেতর থেকে নিতে হবে। বাকি দুই জন ফুটবলার ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকরা নিজেদের পছন্দ মত নিতে পারবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২৩
এআর/এএইচএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।