ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

ফুটবল

ফুটবলের উন্নয়নে বাংলাদেশের পাশে আর্জেন্টিনা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৩
ফুটবলের উন্নয়নে বাংলাদেশের পাশে আর্জেন্টিনা

কাতার বিশ্বকাপে না খেলেও আলোচনায় ছিল বাংলাদেশ। সেটা লাল সবুজের পাগলাটে সমথর্কদের জন্য।

সেই গর্জন পৌঁছে গেছে মধ্যপ্রাচ্য ছাপিয়ে লাতিন আমেরিকায়। বিশ্বকাপ ফুটবলকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে আর্জেন্টাইন সমর্থকদের আবেগ ছুঁয়েছে দেশটির সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে নীতিনির্ধারক মহল পর্যন্ত।  

বিশ্বকাপ জয়ের পর আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্টকে অভিনন্দন জানিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশটির প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেস আর্জেন্টিনা ও বাংলাদেশের পতাকার ছবিসহ টুইট করে পাল্টা ধন্যবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশের মানুষ ও প্রধানমন্ত্রীকে।  

দুই দেশের মধ্যে তৈরি হওয়া সুসম্পর্ককে ফুটবল উন্নয়নে কাজে লাগাতে চায় বাংলাদেশ। যে কারণে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় আর্জেন্টিনা সরকারের সঙ্গে চার বছরের একটি চুক্তিতে যাওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। চুক্তিতে কি কি থাকছে তার খসড়াও তৈরি হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি এই খসড়া চূড়ান্ত হলে চুক্তিপত্রে সই করবেন দুই দেশের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা। মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে এই বিষয়ে সভা হয়েছে।

কি থাকবে এই চুক্তির আওতায়? মাঠ ও মাঠের বাইরের সহযোগিতার বিচারে তৈরি হয়েছে খসড়া। যার মূলে বাংলাদেশের ফুটবলের মান উন্নয়ন, ক্রীড়া শিক্ষা, বয়সভিত্তিক দলগুলোর সুযোগ সুবিধা, নারী ফুটবলের উন্নত প্রশিক্ষণ থাকবে। ডোপিং রোধেও সহায়তা করবে আলবিসেলেস্তেরা। এছাড়া কোচিং ডেভেলপমেন্ট, বিভিন্ন পর্যায়ের ক্লাব ফুটবল ও জাতীয় দলের জন্যও থাকবে পারস্পরিক নানা সুযোগ বিনিময়ের সুবিধা।

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব পরিমল সিংহ বাংলানিউজকে বলেছেন, ‘চুক্তির একটা খসড়া এরই মধ্যে হয়ে গেছে। এই খসড়া চুক্তি নিয়ে মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ে সভাও হয়েছে। সেখানে খসড়া চুক্তি নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ শেষে চূড়ান্ত হওয়ার অপেক্ষায় আছে। মন্ত্রী মহদোয় সম্মতি দিলেই আমরা চুক্তি বাস্তবায়নের দিকে এগোতে পারবো। আমরা চুক্তিপত্রে আমাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ের ওপরই বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। ওরা (আর্জেন্টিনা) ওদের সুবিধামতো করতে চাইবে। আমরা দেখবো আমাদের স্বার্থের বিষয়টি। ’

প্রথমত চুক্তিটি হবে চার বছরের জন্য। চুক্তিপত্রে দুই দেশের স্বাক্ষরের পর চার বছর পর্যন্ত কার্যক্রম থাকবে। তবে কোন পক্ষের আপত্তি না থাকলে চুক্তিটি পরবর্তীতে সমান মেয়াদের জন্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাড়তে থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৩
এআর/আরইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।