ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

ফিচার

বারীণ মজুমদারের প্রয়াণ

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০২০
বারীণ মজুমদারের প্রয়াণ

ঢাকা: ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে।

প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়— যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানব সভ্যতার আশীর্বাদ-অভিশাপ।

ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এ গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।

০৩ অক্টোবর ২০২০, শনিবার। ১৮ আশ্বিন ১৪২৭ বঙ্গাব্দ। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

ঘটনা
১৭৯১- ভারতীয় উপমহাদেশের প্রথম মাসিক পত্রিকা ‘ক্যালকাটা ম্যাগাজিন অ্যান্ড ওরিয়েন্টাল মিউজিয়াম’ প্রকাশিত হয়।
১৮৬৬- ভিয়েনায় অস্ট্রিয়া ও ইতালির মধ্যে ঐতিহাসিক ভিয়েনা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
১৯৩২- ইরাক ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ থেকে নিজেদের স্বাধীনতা ঘোষণা করে।
১৯৪৫- বিশ্ব ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন (ডব্লিউএফটিইউ) প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৫২- যুক্তরাজ্য প্রথম পারমাণবিক পরীক্ষা চালায়।
১৯৭৮- বিশ্বের দ্বিতীয় ও ভারতের প্রথম টেস্ট টিউব শিশুর জন্ম।
১৯৮৮- সিউল অলিম্পিক শুরু।
১৯৯০- পূর্ব ও পশ্চিম জার্মানি একীভূত হয়। ১৯৯০ সালের ১৮ মার্চ পূর্ব জার্মানিতে প্রথম মুক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর পূর্ব ও পশ্চিম অংশ আলোচনার মাধ্যমে পুনঃএকত্রিকরণের ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছায়।

জন্ম
১৮৯৫- রাশিয়ান কবি সের্গেই ইয়েসেনিন।
১৮৯৭- ফরাসি কবি লুই আরাগন।
১৯০৪- নোবেলজয়ী মার্কিন রসায়নবিদ চার্লস জন পেডারসেন।
 
মৃত্যু
১৯২৩- কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রথম ভারতীয় নারী।

২০০১- বারীণ মজুমদার, বাংলাদেশি সংগীত-অধ্যক্ষ, রাগসংগীত বিশারদ ও উচ্চাঙ্গ সংগীতশিল্পী।

১৯৪৩ সালে তিনি মরিস কলেজ অব মিউজিক থেকে ‘সংগীত বিশারদ’ ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৬৫ সাল থেকে তিনি নিয়মিত ঢাকা টেলিভিশনের বিশেষ শ্রেণির শিল্পী হিসেবে রাগসংগীত পরিবেশন করতেন। ১৯৬৮ সালে তিনি ডিগ্রি ক্লাসের সিলেবাস তৈরি করে সংগীত মহাবিদ্যালয়কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজে পরিণত করেন এবং ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিষয়ক পরীক্ষা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সংগীতে অসামান্য অবদানের জন্য তিনি অনেক সম্মাননা ও পদকে ভূষিত হন। ১৯৮৩ সালে তাকে একুশে পদক দেওয়া হয়। ১৯৯৩ সালের জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মেলন পরিষদ তাকে রবীন্দ্রপদকে ভূষিত করে। ২০০১ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার দেয়।

বাংলাদেশ সময়: ০০১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০২০
টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।