ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

ফিচার

ইতিহাসের এই দিনে

জগদীশচন্দ্র ও বুদ্ধদেব বসুর জন্ম

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৯
জগদীশচন্দ্র ও বুদ্ধদেব বসুর জন্ম

ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার আশীর্বাদ-অভিশাপ।

তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সব সময় গুরুত্ব বহন করে। এ গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।

৩০ নভেম্বর ২০১৯ শনিবার। ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪২৬ বঙ্গাব্দ। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

ঘটনা
১৭৭৬- ক্যাপ্টেন কুক প্রশান্ত মহাসাগরে তৃতীয় ও শেষ অভিযান শুরু করেন।
১৭৮২- ইংল্যান্ড মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা স্বীকার করে।
১৮৩৮- মেক্সিকো ফ্রান্সের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।
১৮৬৩- উমাচরণ ভট্টাচার্য মুদ্রিত মাসিক পত্রিকা ‘সচিত্র ভারত সংবাদ’ প্রকাশ।
১৮৬৬- শিকাগোতে প্রথম পানির নিচে হাইওয়ে টানেল তৈরির কাজ শুরু।
১৯৬৬- বারবাডোজ স্বাধীনতা লাভ করে।

জন্ম
১৪৮৫- ইতালিয়ান কবি ভোরোনিকা গামবারা।
১৬৬৭- বিখ্যাত আইরিশ লেখক জোনাথন সুইফট।
১৮১৭- বিখ্যাত জার্মান গবেষক ও ঐতিহাসিক থিওডর মমজেন।
১৮৩৫- মার্কিন রম্য লেখক, সাহিত্যিক ও প্রভাষক স্যামুয়েল ল্যাঙ্গহোর্ন ক্লিমেন্স। তিনি ‘মার্ক টোয়েইন’ নামে বেশি পরিচিত।
১৮৫৮- বাঙালি পদার্থবিদ, উদ্ভিদবিদ ও জীববিজ্ঞানী এবং প্রথম দিকের একজন কল্পবিজ্ঞান রচয়িতা স্যার জগদীশচন্দ্র বসু।

তিনি ১৮৫৮ সালের ৩০ নভেম্বর ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি অঞ্চলের ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণ করেন। তার গবেষণা উদ্ভিদবিজ্ঞানকে সমৃদ্ধ করে তোলে এবং ভারতীয় উপমহাদেশে ব্যবহারিক ও গবেষণাধর্মী বিজ্ঞানের সূচনা করে। ইনস্টিটিউট অব ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার্স তাকে রেডিও বিজ্ঞানের জনক বলে অভিহিত করে। বিজ্ঞানে অবদানের জন্য তিনি ব্রিটিশ সরকারের ‘নাইট’ উপাধিও পেয়েছেন। ১৯৩৭ সালের ২৩ নভেম্বর এই বিশ্ববরেণ্য বিজ্ঞানী মৃত্যুবরণ করেন।

১৮৭৪- ইংরেজ রাজনীতিবিদ ও লেখক উইনস্টন চার্চিল।
১৯০৮- বিশ শতকের বাঙালি কবি বুদ্ধদেব বসু।

কুমিল্লায় জন্ম নেওয়া এ ভারতীয় বিংশ শতাব্দীর বিশ ও ত্রিশের দশকের নতুন কাব্যরীতির সূচনাকারী অন্যতম কবি হিসেবে সমাদৃত। তবে সাহিত্য সমালোচনা ও কবিতা পত্রিকার প্রকাশ ও সম্পাদনার জন্য তিনি বিশেষভাবে সম্মানীয়। প্রগতি ও কল্লোল নামে দু’টি পত্রিকায় লেখার অভিজ্ঞতা সম্বল করে যে কয়কজন তরুণ লেখক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবদ্দশাতেই তার প্রভাবের বাইরে দাঁড়াবার দুঃসাহস করেছিলেন বুদ্ধদেব তাদের অন্যতম। ইংরেজি ভাষায় কবিতা, গল্প, প্রবন্ধাদি রচনা করে তিনি ইংল্যান্ড ও আমেরিকায়ও প্রশংসা অর্জন করেছিলেন। তার অজস্র রচনার মধ্যে রয়েছে- কাব্য ‘মর্মবাণী’, ‘বন্দীর বন্দনা’, ‘পৃথিবীর পথে’, ‘কঙ্কাবতী’, ‘দময়ন্তী’, ‘দ্রৌপদীর শাড়ি’, ‘মরচেপড়া পেরেকের গান’, ‘একদিন: চিরদিন’, ‘স্বাগত বিদায়’; উপন্যাস ‘সাড়া’, ‘সানন্দা’, ‘লাল মেঘ’, ‘পরিক্রমা’, ‘কালো হাওয়া’, ‘তিথিডোর’, ‘নির্জন স্বাক্ষর’, ‘মৌলিনাথ’, ‘নীলাঞ্জনের খাতা’, ‘পাতাল থেকে আলাপ’; গল্প ‘রজনী হ'ল উতলা’, ‘হাওয়া বদল’ প্রভৃতি। সাহিত্যে অনন্য অবদানের জন্য তিনি ১৯৭০ সালে ভারত সরকারের ‘পদ্মভূষণ’ উপাধি লাভ করেন। ১৯৭৪ সালের ১৮ মার্চ কলকাতায় মৃত্যু হয় বুদ্ধদেবের।

মৃত্যু
১৭৫৯- মোগল সম্রাট দ্বিতীয় আলমগীর।
১৯০০- ব্রিটিশ নাট্যকার ও ঔপন্যাসিক অস্কার ওয়াইল্ড।
১৯৩৩- কবি মোজাম্মেল হক।
১৯৮৪- অভিনেত্রী ও সংগীতশিল্পী ইন্দুবালা দেবী।
১৯৮৮- মিশরের প্রখ্যাত ক্বারি আবদুল বাসেত মোহাম্মাদ আবদুস সামাদ।
১৯৯৮- প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞান লেখক ও বিজ্ঞান কর্মী আবদুল্লাহ আল মুতী শরফুদ্দিন।
২০১৪- স্বনামধন্য চিত্রশিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী।

বাংলাদেশ সময়: ০০৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৯
টিএ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad