ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

ফিচার

ইতিহাসের এই দিনে

ইউনিসেফের শুরু, খান আতার জন্ম

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৮
ইউনিসেফের শুরু, খান আতার জন্ম অভিনেতা খান আতার জন্ম

ঢাকা: ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সে সব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ।

তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।

১১ ডিসেম্বর ২০১৮, মঙ্গলবার। ২৭ অগ্রহায়ণ, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এ দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

ঘটনা

১৬৮৭- ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সর্বপ্রথম মাদ্রাজে পৌরসভা প্রতিষ্ঠায় সনদ তৈরির অনুমোদন দেয়।

১৮১৬- ইন্ডিয়ানা যুক্তরাষ্ট্রের ১৯তম অঙ্গরাজ্যে পরিণত হয়।

১৮২৩- ইংরেজি শিক্ষা প্রসারে রামমোহন রায় নিজ ব্যয়ে অ্যাংলো হিন্দু স্কুল স্থাপন করেন।

১৮৬৮- প্যারাগুয়ের সঙ্গে যুদ্ধে সেদেশের সেনাবাহিনীকে পরাজিত করে ব্রাজিল বাহিনী।

১৯৩০- ইতালি জাতিসংঘ ত্যাগ করে।

১৯৪১- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পোল্যান্ড জাপান সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।

১৯৪৬- জাতিসংঘের বিশেষ সংস্থা ইউনিসেফ প্রতিষ্ঠা। শিশুদের উন্নতি ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত কর্মসূচি পরিচালনা করে সংস্থাটি। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের প্রথম অধিবেশনে এ সংস্থা গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। এর সদর দফতর নিউইয়র্কে। ১৯৬৫ সালে ইউনিসেফ তাদের কল্যাণমুখী ভূমিকার কারণে নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হয়।

জন্ম

১৮১০- ফরাসি নাট্যকার ও কবি আলফ্রেদ দ্য ম্যুসস।

১৮৪৩- নোবেলজয়ী জার্মান জীববিজ্ঞানী রবার্ট কখ।

১৯১১- নোবেলজয়ী মিশরীয় সাহিত্যিক নাগিব মাহফুজ।

১৯১৮- নোবেলজয়ী রুশ লেখক আলেকজান্দার সোলঝেৎসিন।

১৯২৪- বাঙালি কথাসাহিত্যিক সমরেশ বসু। ‘কালকূট’ ও ‘ভ্রমর’ ছদ্মনামে তিনি লিখতেন। ১৯৮০ সালে তিনি সাহিত্য একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।

১৯২৮- চলচ্চিত্র অভিনেতা, গীতিকার, সুরকার, সংগীত পরিচালক, গায়ক, চলচ্চিত্র নির্মাতা, চিত্রনাট্যকার, কাহিনীকার এবং প্রযোজক খান আতাউর রহমান। খান আতা নামেই তিনি বহুল পরিচিত। ১৯২৮ সালের ১১ ডিসেম্বর মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গাইর উপজেলার রামকান্তপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ১৯৫৯ সালে পাকিস্তানি পরিচালক আখতার জং কারদার পরিচালিত উর্দু ভাষার চলচ্চিত্র ‘জাগো হুয়া সাভের’তে মূল ভূমিকায় অভিনয়ের মাধ্যমে তার চলচ্চিত্র জীবনের শুরু। ‘এ দেশ তোমার আমার’ তার অভিনীত প্রথম বাংলা চলচ্চিত্র। ‘নবাব সিরাজ উদ-দৌলা’ (১৯৬৭) এবং ‘জীবন থেকে নেয়া’ (১৯৭০) চলচ্চিত্র দিয়ে তিনি পরিচিতি লাভ করেন। ‘সুজন সখী’ (১৯৭৫) চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার হিসেবে প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ‘এখনো অনেক রাত’ (১৯৯৭) চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক ও শ্রেষ্ঠ গীতিকার হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হন। তার প্রথম পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘অনেক দিনের চেনা’। তিনি ‘বাংলার কবি জসীম উদ্‌দীন’, ‘গঙ্গা আমার গঙ্গা’, ‘গানের পাখি আব্বাস উদ্দিন’সহ বেশকিছু তথ্যচিত্রও তৈরি করেছেন। ১৯৯৭ সালের ১ ডিসেম্বর তিনি ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।

১৯৩৫- ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি।

১৯৬৯- ভারতীয় দাবা গ্র্যান্ডমাস্টার বিশ্বনাথন আনন্দ।

মৃত্যু

১৯৭১- বাংলাদেশি সাংবাদিক আ. ন. ম. গোলাম মোস্তফা।

বাংলাদেশ সময়: ০০১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৮
টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।