ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

ফিচার

ইতিহাসের এই দিনে

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৮
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা

ঢাকা: ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সে সব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ।

তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন।

১৮ নভেম্বর, ২০১৮, রোববার। ০৪ অগ্রহায়ণ, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এ দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

ঘটনা
•    ১৭২৭ - মহারাজা দ্বিতীয় জয় সিং রাজস্থানের জয়পুর শহর প্রতিষ্ঠা করেন।
•    ১৮৪৩ - সা সুসি রঙ্গমঞ্চে ‘হ্যান্ডসাম হাজব্যান্ড’ নাটকের অভিনয় চলাকালে তৎকালীন কলকাতার অন্যতম শ্রেষ্ঠ ও জনপ্রিয় মঞ্চাভিনেত্রী মিসেস লিচ অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান।
•    ১৮৫৭ - চট্টগ্রামে ৩৪ দেশীয় পদাতিক বাহিনীর সিপাহীদল বিদ্রোহ করে।
•    ১৯৪৮ - ভারতের পাটনার কাছে গঙ্গায় নৌকাডুবিতে ৫০০ যাত্রীর প্রাণহানি হয়।
•    ১৯৬৬ - চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। ভারতবর্ষ ভাগের আগে এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আলোচনা হয়। রাওয়ালপিণ্ডিকেন্দ্রিক শাসনকালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান প্রশাসন চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে। সবুজ পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে গড়ে ওঠা এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান আচার্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। আর উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী।

ব্যক্তি
•    ১০৫৩ - বৌদ্ধ পণ্ডিত, ধর্মগুরু ও দার্শনিক অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞানের প্রয়াণ (অনুমিত)। দশম-একাদশ শতকের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বাঙালি পণ্ডিত বলে পরিচিত দীপঙ্কর ৯৮০ খ্রিস্টাব্দে বিক্রমপুরের (বর্তমানে মুন্সিগঞ্জ) বজ্রযোগিনী গ্রামে এক রাজপরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাল্যনাম ছিল চন্দ্রগর্ভ। তিনি বিখ্যাত বৌদ্ধ গুরু জেতারির নিকট বৌদ্ধধর্ম ও শাস্ত্রে উচ্চশিক্ষা লাভ করেন। দীপঙ্কর বৌদ্ধশাস্ত্রের আধ্যাত্মিক গুহ্যবিদ্যায় শিক্ষালাভ করে ‘গুহ্যজ্ঞানবজ্র’ উপাধিতে ভূষিত হন। মগধের ওদন্তপুরী বিহারে মহাসাংঘিক আচার্য শীলরক্ষিতের নিকট দীক্ষা গ্রহণের পর তার নতুন নামকরণ হয় ‘দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান’। মগধের তৎকালীন শ্রেষ্ঠ আচার্যদের নিকট কিছুকাল শিক্ষালাভ করে শূন্য থেকে জগতের উৎপত্তি এ তত্ত্ব (শূন্যবাদ) প্রচার করেন। বৌদ্ধ ধর্ম প্রচারের জন্য আমন্ত্রিত হয়ে দীপঙ্কর তিব্বতে গমন করেন। সেখানেই বাকি জীবন শাস্ত্র চর্চা ও ধর্ম প্রচারের কাজ করেন তিনি। তিববতি ভাষায় তিনি বৌদ্ধশাস্ত্র, চিকিৎসাবিদ্যা এবং কারিগরি বিদ্যা সম্পর্কে অনেক বই রচনা করেন বলে তিববতিরা তাকে ‘অতীশ’ উপাধিতে ভূষিত করে। দীর্ঘ ১৩ বছর তিববতে অবস্থানের পর দীপঙ্কর ৭৩ বছর বয়সে তিববতের লাসা নগরের নিকটস্থ লেথান পল্লীতে দেহত্যাগ করেন। তার সমাধিস্থল লেথান তিববতিদের তীর্থক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। ১৯৭৮ সালের ২৮ জুন দীপঙ্করের পবিত্র দেহভস্ম চীন থেকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় ঢাকায় আনা হয় এবং তা বর্তমানে ঢাকার ধর্মরাজিক বৌদ্ধ বিহারে সংরক্ষিত আছে।
•    ১৭৭৭ - জার্মান নাট্যকার হিনরিখ ফন কিশের মৃত্যু।
•    ১৯২২ - ফরাসি ঔপন্যাসিক মারসেল প্রুস্তর মৃত্যু।
•    ১৯৪১ - নোবেলজয়ী জার্মান রসায়নবিদ হেরমান নের্নস্টের মৃত্যু।
•    ১৯৫২ - ফরাসি কবি পল এল্যুয়ারের মৃত্যু।

বাংলাদেশ সময়: ০০০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৮
এএ

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।