ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

ফিচার

ইতিহাসে এই দিন

কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের চিরপ্রস্থান

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১০ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৭
 কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের চিরপ্রস্থান কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য

ঢাকা: ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানব সভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ।

তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।

১৩ মে, ২০১৭, শনিবার। ৩০ বৈশাখ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ। একনজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

ঘটনা
৫৩৫ - ক্যাথলিক পোপ হিসেবে দায়িত্ব নেন সেন্ট অ্যাজেপিটাস।
১৫৬৮ - ল্যাংসাইড যুদ্ধে রিজেন্ট মোরে’র বাহিনীর কাছে পরাজয় বরণ করেন স্কটল্যান্ডের রানী ম্যারি।
১৫৮৮ - প্যারিস ছেড়ে পালিয়ে যান রাজা হেনরি তৃতীয়।
১৬০৮ - আবিষ্কারক জন স্মিথের নেতৃত্বে ইংরেজি ঔপনিবেশিকরা ভার্জিনিয়ায় জেমস নদীর কাছে পা রাখে।
১৭৮৭ - ব্রিটিশ নাবিক আর্থার ফিলিপ অপরাধী বোঝাই ১১টি জাহাজ নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বোটানি বে’র দিকে রওয়ানা হন। এখানেই পরে গড়ে ওঠে সিডনি নগরী।
১৮৩০ - প্রজাতান্ত্রিক ইকুয়েডর প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রথম প্রেসিডেন্ট হন হুয়ান হো ফ্লোরেস।
১৯৪০ - দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল হুংকার ছেড়ে বলেন, ‘আমার কাছে রক্ত, পরিশ্রম, কান্না ও ঘাম ছাড়া আর কিছুই নেই’।
১৯৮১ - পোপ জন পল দ্বিতীয় ভ্যাটিকান সিটির সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে এক বন্দুকধারীর গুলিতে গুরুতর আহত হন।
১৯৮৯ - চীনের বেইজিংয়ের তিয়েনআনমেন স্কয়ারে অনশন শুরু করে ২০০০ ছাত্র। গণতন্ত্রের দাবিতে ১৫ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া ছাত্রবিক্ষোভ গণবিক্ষোভে রূপ নেয় এ দিন থেকেই। সরকার এই অনশনকারীদের প্রতিবিপ্লবী আখ্যা দিয়ে দমনের জন্য সশস্ত্র বাহিনী পাঠায়। তাদের নির্বিচার হত্যাযজ্ঞে তিয়েনআনমেন স্কয়ার পরিণত হয় মৃত্যুপুরীতে। ৪ জুন একপ্রকারের দাঙ্গার মধ্য দিয়ে আন্দোলনের সমাপ্তি হয়। ওই দিনটি দিবস হিসেবে চীনের মূল ভূখণ্ডে প্রকাশ্যে পালন করতে দেওয়া না হলেও প্রতিবছরই বিশ্বব্যাপী এ দিবস পালন করে আসছে গণতন্ত্রকামীরা।

জন্ম
১৮৫৭ -  নোবেলজয়ী স্কটিশ চিকিৎসক রোনাল্ড রস।
১৯৬৬ - আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বাংলাদেশি দাবাড়ু নিয়াজ মোরশেদ। ঢাকার সন্তান নিয়াজ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো থেকে প্রথম গ্র্যান্ড মাস্টার খেতাবধারী হওয়ার বিরল সৌভাগ্যবান। ক্রীড়াক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখায় ১৯৮৯ সালে তিনি বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক স্বাধীনতা দিবস পুরস্কারে ভূষিত হন।

মৃত্যু
১৯৪৭ - কিশোর কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য। তিনি বাংলা সাহিত্যের মার্কসবাদী ভাবধারায় বিশ্বাসী এবং প্রগতিশীল চেতনার অধিকারী কবি ছিলেন।   ১৯২৬ সালের ১৫ আগস্ট কলকাতায় মাতুলালয়ে জন্ম নেওয়া সুকান্তের পৈতৃক নিবাস ছিল গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায়। সুকান্তের সাহিত্য-সাধনার মূল ক্ষেত্র ছিল কবিতা। সাধারণ মানুষের জীবনসংগ্রাম, যন্ত্রণা ও বিক্ষোভ তার কবিতার প্রধান বিষয়বস্তু ছিল। সুকান্তের রচনাকর্মে গণমানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার বাণীসহ শোষণহীন এক নতুন সমাজ গড়ার অঙ্গীকার উচ্চারিত হয়েছে। রবীন্দ্রোত্তর বাংলা কবিতার বৈপ্লবিক ভাবধারাটি যাদের সৃষ্টিশীল রচনায় সমৃদ্ধ হয়েছে, সুকান্ত তাদের অন্যতম। তার কবিতার ছন্দ, ভাষা, রচনাশৈলী এত স্বচ্ছন্দ, বলিষ্ঠ ও নিখুঁত যে, বয়স বিবেচনায় এরূপ রচনা বিস্ময়কর ও অসাধারণ বলে মনে হয় বোদ্ধাদের কাছে। সুকান্তের রচনাগুলির মধ্যে রয়েছে- ছাড়পত্র, পূর্বাভাস, মিঠেকড়া, অভিযান, ঘুম নেই, হরতাল ও গীতিগুচ্ছ। ‘হে মহাজীবন’ কবিতার ‘ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী-গদ্যময়:/পূর্ণিমা-চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি’ দুই লাইন তাকে সংগ্রামী মানুষের কবি বলে পরিচিতি দিয়ে চলেছে যুগের পর যুগ। মাত্র ২১ বছর বয়সে এই বিস্ময়কর প্রতিভা পৃথিবীকে চিরবিদায় দেন।

বাংলাদেশ সময়: ০০০৮ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৭
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।