ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

ফিচার

ইতিহাসে এই দিন

বিশ্বের প্রথম ডাকটিকেটের প্রচলন

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৩ ঘণ্টা, মে ৫, ২০১৭
বিশ্বের প্রথম ডাকটিকেটের প্রচলন ‘পেনি ব্ল্যাক’

ঢাকা: ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ।

তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।

০৬ মে, ২০১৭, শনিবার। ২৩ বৈশাখ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ। একনজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

ঘটনা
১৮৪০- ইংল্যান্ডে প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে ডাকটিকেট চালু।
‘পেনি ব্ল্যাক’ বিশ্বের প্রথম ডাকটিকেট, যেটি যুক্তরাজ্যে সর্বপ্রথম চালু করা হয়। রানি ভিক্টোরিয়ার ছবি সংবলিত এই ডাকটিকেটটি চালু হয় ১৮৪০ সালের ১ মে। ঠিক তার কয়েকদিন পর ৬ মে অফিসিয়ালি প্রচলন ঘটে এর।
রোল্যান্ড হিল এটি ডিজাইন করেন, যিনি ব্রিটিশ ডাক ব্যবস্থার উন্নতির জন্য অনেক অবদান রাখেন। তাকে বলা হয় ‘ফাদার অব পোস্টেজ স্ট্যাম্প’। পেনি ব্ল্যাক ইস্যু করার পূর্বে প্রতিটি চিঠিপত্র নগদ অর্থের বিনিময়ে খোলা অবস্থায় পাঠাতে হতো। লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হতো মানুষকে এবং প্রতিটি চিঠির ক্ষেত্রে অনেক সময় ব্যয় হতো। কাগজের সংখ্যা ও দূরত্বের ওপর ভিত্তি করে অর্থ দিতে হতো। রোল্যান্ড হিল প্রথম উপস্থাপন করেন ইনভেলপের কথা, যাতে ডাকটিকেট লাগানো হবে অর্থের বিনিময়ে। এই ডাকটিকেটই হলো বিখ্যাত পেনি ব্ল্যাক। উইলিয়াম হুয়োনের আঁকা রানি ভিক্টোরিয়ার ছবি দেখা যায় পেনি ব্ল্যাকে। মাত্র এক বছর এই টিকেট ব্যবহার করা হয়, কারণ এর ওপর লাল রংয়ের স্বাক্ষর বোঝা যেত না। এখনও এই ডাকটিকেটের দুই কপি টিকে আছে যেগুলো আসলে গুপ্তধনের চেয়ে কোনো অংশে কম কিছু নয়। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের একটি নিলাম থেকে এর একটি বিক্রি হয় পাঁচ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে।

জন্ম
১৮৫৬- প্রখ্যাত অষ্ট্রীয় মনোবিজ্ঞানী সিগমুন্ড ফ্রয়েডের জন্ম।

মৃত্যু
১৫৮৯- সঙ্গীতজ্ঞ তানসেনর মৃত্যু।
১৯৩০- রজতকুমার সেন, বাঙালি, ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপ্লবী নেতা।
১৯৫২- রেবতী মোহন বর্মণ, বিংশ শতাব্দীর একজন সাম্যবাদী ধারার বাঙালি লেখক।
২০১১- কাজী নূরুজ্জামান, বীর উত্তম খেতাব প্রাপ্ত বাংলাদেশি মুক্তিযোদ্ধা, সেক্টর কমান্ডার।
কাজী নূরুজ্জামানের জন্ম ২৪ মার্চ ১৯২৫ সাল। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার তিনি। ১৯৭১ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ৭নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার মেজর নাজমুল হক ভারতে সড়ক দুর্ঘটনা মারা যাওয়ার পর কর্নেল নূরুজ্জামানকে এই সেক্টরের অধিনায়ক করা হয়। মুক্তিযুদ্ধে তার অবদানের জন্য তাকে বীর উত্তম উপাধিতে ভূষিত করা হয়। কাজী নূরুজ্জামানের জন্ম যশোরে। তার বাবার নাম খান সাহেব কাজী সদরুলওলা এবং মাতা রতুবুন্নেসা।

বাংলাদেশ সময়: ০০২২ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০১৭
আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।