ঢাকা, সোমবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

ফিচার

প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে সেক্স-স্ট্রাইক!

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২, ২০১৬
প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে সেক্স-স্ট্রাইক! ছবি: সংগৃহীত

আফ্রিকার দরিদ্র দেশ টোগো। দেশটির প্রেসিডেন্ট ফাউরে গানাসিংবে ও তার পরিবার পরিজন মিলে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতা আঁকড়ে আছেন।

সেখানে দেশ শাসনের নামে যা চলছে তাকে এককথায় বলা চলে পারিবারিক স্বৈরতন্ত্র। ক্ষমতা থেকে সরবার বা গণতান্ত্রিক শাসনের জন্য পথরচনার কোনো শুভলক্ষণ দেখাচ্ছেন না প্রেসিডেন্ট ফাউরে ও তার চামুন্ডার দল। এ অবস্থায় সেদেশের নারীরা নিয়েছেন এক অভিনব সিদ্ধান্ত। ফাউরে ক্ষমতা থেকে সরে না দাঁড়ানো পর্যন্ত টানা এক সপ্তাহ তারা স্বামী বা প্রেমিক পুরুষদের সঙ্গে কোনো রকম যৌনকর্মে অংশ নেবেন না। একটি সংবাদসংস্থা এখবরের শিরোনাম করেছে: ‘‘Togo have called a week-long sex strike to back their call for the resignation of the country's president.’’

নারীদের ডাকা এই অভিনব ‘যৌনধর্মঘটে’ সংহতি জানিয়েছে, পশ্চিম আফ্রিকান দেশটির বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর মোর্চা, বিভিন্ন সিভিক গ্রুপ ও সংগঠন।

এর আগে আন্দোলন দমন করার জন্য প্রেসিডেন্ট ফাউরে গানাসিংবের পেটোয়া পুলিশ বাহিনি বিরোধীদের ডাকা মিছিলের দু’দফা নির্বিচার নিপীড়ন চালায়। পুলিশ মিছিলকারীদের ওপর ব্যাপক নিপীড়ন চালানোর পাশাপাশি বহু লোককে গ্রেপ্তার ও গুম করেছে।

দেশের বিক্ষুব্ধ নারীরা ‘যৌন ধর্মঘট’ ডাকার পর বিরোধী মোর্চার নারী উইংয়ের নেতা ইসাবেল আমেগানভি কিছুটা আশার আলো দেখছেন। তিনি মনে করছেন রাজনৈতিক পট পরিবর্তন সূচনা করার ক্ষেত্রে ‘যৌন ধর্মঘট’ হয়ে  উঠতে পারে এক মোক্ষম হাতিয়ার। তার ভাষায়: ‘‘ টোগোর নারীরা কি চায় পুরুষদের সেটা বোঝানোর এবং জানান দেবার জন্য আমাদের কাছে অনেক উপায় আছে। ’’

আমেগানভি জানান, ‘যৌন ধর্মঘটের’ প্রেরণা তারা পেয়েছেন মূলত লাইবেরিয়ার নারীদের কাছ থেকে। ২০০৩ সালে লাইবেরিয়ান নারীরা শান্তির জন্য প্রচারণার অংশ হিসেবে অনুরূপ ‘যৌন ধর্মঘটের’ ডাক দিয়ে দুনিয়াজোড়া মনোযোগ কেড়েছিল।

আবলা তামেকলো নামের রাজধানী লোমের এক নারী বাসিন্দা মনে করেন,  ‘যৌন ধর্মঘট’ কিছু ইতিবাচক ফল বয়ে আনবেই। আর কিছু না হোক নিদেনপক্ষে সরকার জেলবন্দি শিশুদের তো মুক্তি দেবে! আমার কাছে এটি উপবাসের মতো। আর যতক্ষণ না তুমি উপবাস করবে ততক্ষণ ঈশ্বরের কাছ থেকে কিছু পাবার আশা করতে পারো না।

তার স্বামী এই যৌন ধর্মঘট মেনে নেবেন কিনা জানতে চাওয়া হলে আবলা বলেন, ‘‘ জানি না ও মেনে নেবে কিনা। কিন্তু এছাড়া আমার সামনে আর কোনো পথ আর খোলা নেই। ’’
 
বাংলাদেশ সময়: ০৯২৬ ঘন্টা, অক্টোবর ০২, ২০১৬
জেএম/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।