ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৬ মে ২০২৪, ০৭ জিলকদ ১৪৪৫

ফিচার

নানা দেশে ভ্যালেন্টাইনস ডে উদযাপনের রীতিনীতি

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৬
নানা দেশে ভ্যালেন্টাইনস ডে উদযাপনের রীতিনীতি

ঢাকা: ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। সারাবিশ্বের বিভিন্ন স্থানে দিনটিকে নানাভাবে ও নানা আঙ্গিকে উদযাপন করা হয়।

দেশ ও সংস্কৃতিভেদে কোথাও কোথাও বছরের ভিন্ন মাস ও তারিখে উদযাপিত হয় ভালোবাসা দিবস। সেক্ষেত্রে অঞ্চলভেদে এ দিন উদযাপনের রীতিনীতিও যায় পাল্টে।

দেখে দেওয়া যাক আটটি দেশের ভ্যালেন্টাইনস ডে উদযাপনের রীতিনীতি-

১. আর্জেন্টিনা
আর্জেন্টাইনরা ভ্যালেন্টাইনস ডে কেবলই ঘটা করে উদযাপন করেন না, তারা জুলাই মাসে পুরো এক সপ্তাহজুড়ে উদযাপন করেন ‘সুইটনেস উইক’। যেখানে প্রেমিক-প্রেমিকারা চুমুর বিনিময়ে মিষ্টি আদান-প্রদান করেন।

২. বুলগেরিয়া
ফেব্রুয়ারির ১৪ তারিখ বুলগেরিয়ানরা সেন্ট ট্রাইফর জারেজান ডে উদযাপন করেন। এটি আঙুর উৎপাদনকারী ও ওয়াইন প্রস্তুতকারকদের ছুটির দিন। এ দিনটি প্রেমিক-প্রেমিকারা সুস্বাদু ওয়াইন নিয়ে উদযাপন করেন।

৩. ফ্রান্স
ফেব্রুয়ারির ১২ থেকে ১৪ তারিখ বাড়িগুলো সাজানো হয় গোলাপ ফুলে, গাছে লাগানো হয় লাভ নোট, এ সময়টিতে অনেকেই বিয়ের প্রস্তাব দেন ও পান। অনেকেই নিজের ভালোবাসার প্রমাণস্বরূপ গাছ লাগান।

৪. ফিলিপাইন
ভ্যালেন্টাইনস ডে’র এ দিনে ফিলিপাইনে বিয়ের ধুম পড়ে। এদিন একসঙ্গে একশো বা এক হাজার দম্পতি বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন। সরাকার নিজ থেকেই পাবলিক সার্ভিস হিসেবে এ বিয়ের আয়োজন করে।

৫. রোমানিয়া
রোমানিয়াতে ভালোবাসা দিবস উদযাপিত হয় ২৪ ফেব্রুয়ারি। এ দিনটি তাদের কাছে দ্য বার্ডস অ্যান্ড থর্নড ডে নামে পরিচিত। ভ্যালেন্টাইনস ডে ও বসন্ত উৎসবের সম্মিলিত রূপ এ দিনটি। এদিন কপত-কপতিরা বনে গিয়ে ফুল তোলেন। সুখ ও সুস্বাস্থ্যের প্রত্যাশায় তুষার দিয়ে মুখ ধুয়ে নেন তারা।

৬. ব্রাজিল
ব্রাজিলে ভালোবাসা দিবসের নাম ‘দিয়া ডোস নামোরাডোস’। এটি ১২ জুন। সেন্ট অ্যান্থনি’স ডে নামেও পরিচিত এ দিনটি। এ দিনে অবিবাহিত নারীরা নিজেদের দ্রুত বিয়ের জন্য কিছু আচার পালন করেন যার নাম সিম্প্যাটিয়াস।

৭. দক্ষিণ কোরিয়া
দক্ষিণ কোরিয়ার জনগণ বুঝি একটু বেশিমাত্রায় রোমান্টিক। তারা প্রতি মাসের ১৪ তারিখ ভালোবাসা দিবস উদযাপন করেন। এর মধ্যে মে মাসের রোজ ডে, জুনের কিস ডে, ডিসেম্বরের হাগ ডে আর এপ্রিলের ব্ল্যাক ডে তো রয়েছেই।

৮. ঘানা
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি কোকো উৎপাদনকারী দেশগুলোর একটি হচ্ছে ঘানা। ২০০৭ সাল থেকে ঘানা ১৪ ফেব্রুয়ারিকে জাতীয় চকলেট দিবস হিসেবে উদযাপন করে অ‍াসছে। এদিন সারাদেশে বিশেষ চকলেটের মেন্যু প্রস্তুত করা হয় ও প্রদর্শন করা হয়।

তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।

বাংলাদেশ সময়: ০১৪১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৬
এসএমএন/আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।