ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

ফিচার

খুলছে বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক রাস্তা

আতাউর রহমান রাইহান, ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮০৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০১৫
খুলছে বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক রাস্তা

পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়াবহ ও বিপজ্জনক হাঁটার রাস্তাটি শিগগিরই খুলে দেওয়া হচ্ছে। শিগগির বলতে এপ্রিলের প্রথমদিকে।

অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয়দের জন্য খবরটি নিঃসন্দেহে আনন্দের। তবে অন্যদের জন্য এই রাস্তা দিয়ে হাঁটার ভাবনাটাই যেন ভয়ের।
 
স্পেনের দক্ষিণাঞ্চলের মালাগা প্রদেশের ওয়াদী নদীর কয়েকশ’ মিটার ওপরে স্থাপিত এ পথটি। অঞ্চলটি হাঁটা ও পর্বাতোরহণ, বাঙ্গি ঝাঁপ, স্কাই ডাইভিং, হ্যাং গ্লাইডিং, ফ্রি ডাইভিংসহ বেশকিছু খেলাধুলার জন্য বেশ জনপ্রিয়। আবার পৃথিবীর যে কোনো স্থানের চেয়ে বিপজ্জনকও বটে।

মিটারখানেক চওড়া ক্যামিনিটো ডে রেই নামের এ হাঁটাপথ নির্মিত হয় ১৯০৫ সালে। পথটি তৈরি করতে সময় লেগেছিল প্রায় চার বছরের মতো। কাছাকাছি অবস্থিত জলপ্রপাতে জলবিদ্যুৎ প্লান্টে যাতায়াত সহজ করতে নির্মাণ করা হয় পথটি। পরবর্তীতে রাজা তেরোতম আলফনসো ১৯২১ সালে পথটি সবার জন্য খুলে দেন। তখন এটিকে ডাকা হতো কিং লিটল পাথ।

কিন্তু নব্বইয়ের দশকের পরে এ পথে হাঁটতে গিয়ে বেশ ক’জন পরিব্রাজকের প্রাণহানি ঘটে। সম্প্রতি পথটির অবস্থা খুব বেহাল ও নাজুক হয়ে পড়ায় বন্ধ রেখে সংস্কার করতে হয়েছে।

পথটি খুবই অনির্ভরযোগ্য, দুর্গম। হাঁটতে হাঁটতে যে কোনো মুহূর্তে ঘটে যেতে প্রাণঘাতি বিপদ। তাই পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাণনাশক পথ হিসেবে দুনিয়াজুড়ে এটির দুর্নাম রয়েছে।

কিন্তু রোমাঞ্চকর অ্যাডভেঞ্চারের বাইরে যারা জীবনের মানে খুঁজে পান না, অর্থাৎ কবি নজরুলের ভাষায়, যাহার শক্তি অপরিমাণ, গতিবেগ ঝঞ্ঝার ন্যায়, তেজ নির্মেঘ আষাঢ়-মধ্যাহ্নের মার্তণ্ড প্রায়, বিপুল যাহার আশা, ক্লন্তিহীন যাহার উৎসাহ, বিরাট যাহার ঔদার্য, অফুরন্ত যাহার প্রাণ, অটল যাহার সাধনা, মৃত্যু যাহার মুঠিতলে’-সেই সব তরুণদের জন্যে জায়গাটি অবশ্য পছন্দনীয় না হয়ে যায় কোথায়।

তবে নতুন সংস্কারের খবর শুনে অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয়রা একটু হতাশ। অনেকেই অখুশিও। কারণ নতুনভাবে কাজ করতে গিয়ে হাঁটাপথটি অনেকটা নিরাপদ ও মসৃণ করা হয়েছে। এতে খরচও হয়েছে প্রায় অর্ধকোটি ডলার।

একবারে মাত্র চারশ পর্যটককে একসঙ্গে হাঁটতে দেওয়া হয় এ পথ দিয়ে। ট্রেন কিংবা গাড়িযোগে দর্শনার্থীরা ক্যামিনিটো ডেল রেতে পৌঁছাতে পারেন। বিপদসংকুল এ পথটি হেঁটে পাড়ি দিতে সময় লাগবে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা।  

বাংলাদেম সময়: ০৮১০ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।