ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

ফিচার

সেলফি ম্যানিয়াকদের জন্য দুঃসংবাদ!

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৫
সেলফি ম্যানিয়াকদের জন্য দুঃসংবাদ! ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: সেলফি তোলাটাকে অনেকেই নির্দোষ মজার বিষয় ভাবেন। যার ফলে কারও কারও ক্ষেত্রে এটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।

কিন্তু এবার সেলফি ম্যানিয়াকদের জন্য দুঃসংবাদ দিয়েছে অহিও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক করা একটি গবেষণা।
 
গবেষণাটিতে বলা হয়, সেলফি তোলায় যারা সামনের দিকে আছেন তারা অতি আত্মপ্রেম (নার্সিসিজম) ও মানসিক অস্থিরতার ব্যাধিতে (সাইকোপ্যাথ) ভোগেন।

১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সের মধ্যে ৮শ’ ব্যক্তিকে নিয়ে করা এ অনলাইন গবেষণায় বলা হয়, সেলফি হয়ত ব্যক্তিত্বের অনেক কিছু বলে দিতে পারে, কিন্তু সেজন্য এটা অত ভালো মাধ্যম নয়।   

গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের অনলাইনে একটি প্রশ্নপত্র দেয়া হয়। যাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের ছবি দেয়ার অভ্যাস বিষয়ে বেশকিছু প্রশ্ন জানতে চাওয়া হয়।

সেসব প্রশ্নের মধ্যে রয়েছে, তারা কতক্ষণ পরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি পোস্ট করেন, পোস্ট করার আগে তারা ছবি এডিট করেন কিনা, করলে কত সময় নিয়ে কিংবা কিভাবে এডিট করেন।

একইসঙ্গে তাদের অসামাজিক ও নিজের কাছে নিজের আপত্তিকর আচরণ পরিমাপক কিছু প্রশ্নের উত্তর পূরণ করতে বলা হয়।

গবেষণায় দেখা যায়, যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘন ঘন ছবি পোস্ট করেন, তারা একইসঙ্গে অতি আত্মপ্রেম ও মানসিক অস্থিরতার ব্যধিতে ভোগেন।

ছবি এডিটিংয়ের বিষয়টি অতি আত্মপ্রেমের সঙ্গে জড়িত। অতি আত্মপ্রেম মূলত নিজের সম্পর্কে একটু বেশি বেশি করে ভাবা। যা প্রায়শই অন্তর্নিহিত নিরাপত্তাহীনতায় ভোগার কারণে মনে আসতে পারে।  

আর অস্বাভাবিক মানসিক অস্থিরতার ব্যাধি মূলত নিজের প্রতি সহানুভূতির অভাব ও অতিরিক্ত আবেগ প্রবণতার কারণে হয়ে থাকে বলে এ গবেষণার ফলাফলে বলা হয়।

জেসে ফক্সের মতানুয়ায়ী, অতি অস্থিরতা মূলত অস্বাভাবিক আবেগপ্রবণতার সঙ্গে জড়িত।   যার ফলে এ ধরনের লোক নিজেকে বিভিন্নভাবে দেখতে চায়। তাই তারা ছবি তুলেই পোস্ট করে দেন। ছবি এডিটের জন্য সময় নষ্ট করেন না।

তবে গবেষণায় এও বলা হয়, সেলফি তোলা ব্যক্তি মানেই অতি আত্মপ্রেম ও অস্থিরতার রোগে আক্রান্ত নন। সমীক্ষায় যারা সেলফি তোলায় প্রথম দিকে, তাদের আচরণগত  অস্বাভাবিকতার কথা বলা হয়েছে। তবে তাদের আচরণগত তারতম্য স্বাভাবিকতার থেকে খুব বেশি নয়।

এর আগে এক সমীক্ষায় অতিরিক্ত ফেসবুক ব্যবহারের সঙ্গে কম আত্মমর্যাদা ও অতি আত্মপ্রেমের সম্পর্কের কথা বলা হয়। তবে দীর্ঘসময় ফেসবুক ব্যবহারে নয়, যারা অপরিচিত ও অযথা বন্ধুত্ব করে বন্ধুতালিকা দীর্ঘ করেন, তারা অতি আত্মপ্রেমী ব্যক্তিত্বের অধিকারী বলে সেখানে বলা হয়।

ওহিও গবেষণায় আরও বলা হয়, যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্টের আগে নিজের ছবি নিজেই এডিট করেন তারা নিজের প্রতি অতি অসস্তুষ্টিতে ভোগেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ক্রমবর্ধমান ব্যবহার ব্যক্তির নিজের প্রতি উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলছে উল্লেখ করে গবেষণায় বলা হয়, অতিরিক্ত আত্মঅসন্তুষ্টি নারী-পুরুষ নির্বিশেষে একটি বড় ধরনের সমস্যা।

‘পারসোনালিটি অ্যান্ড ইনডিভিজুয়াল ডিফারেন্সেস’ নামে একটি জার্নালে এ গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ০০২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।