ঢাকা: রাজহাঁস সত্যি রাজার মতো সুন্দর, দাপুটে। চলাফেরা, চেহারার মধ্যে এক ধরনের রাজকীয় ভাব আছে তাদের।
ইংল্যান্ডের ক্যামব্রিজের এক নদীতে রাজহাঁসটির বসবাস। নদীতে ভ্রমণের জন্য কেও নামলেই হলো, সামনে গিয়ে চিৎকার-চেঁচামেচি করে পানিতে ডানা ঝাপটিয়ে হামলা চালানোই ‘অ্যাসবয়’ নামের এ হাঁসটির কাজ।
যখন-ই কোনো নৌকা হাঁসটির সামনে যায়, তখন-ই সে রাগান্বিত আচরণ করে।

আরও মজার কথা হলো রাজহাঁসটির বাবা ‘মি. অ্যাসবো’ একই কাজ করতো এ নদীতে। যে কারণে ২০১২ সালে তাকে এ নদী থেকে সরিয়ে ফেলা হয়।
স্থানীয়রা অ্যাসবয়কে সবচেয়ে বদমেজাজি রাজহাঁস হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। এর কারণে যে কেউ আহত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন তারা।

স্থানীয়রা এ বিষয়ে ইতোমধ্যে নদী সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনাও করেছেন।
৪৫ বছর বয়সী জন গেল নামের ক্যামব্রিজের এক বাসিন্দা জানান, আমার দেখা রাজহাঁসগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বদমেজাজি এটি। আমি আমার পরিবার নিয়ে নদীতে ঘুরতে বেরিয়েছিলাম। এমন সময় হাঁসটি এসে ক্রমাগত চিৎকার করতে থাকে এবং আমাদের নৌকায় ঠোঁকরাতে থাকে। আমরা দ্রুত ওই জায়গা ছেড়ে চলে আসি।

নদীটির পাশে বাস করেন মেরি স্যামুয়েলস (৬৭)। তিনি জানান, এস বয়ের পূর্বপুরুষরাও অতিমাত্রায় খারাপ ছিলো। এখন অ্যাসবয়ের সামনে দিয়ে কেউ গেলেই সে পানিতে ঘনঘন ডুব দিতে থাকে, পাখা ঝাপটাতে থাকে, চিৎকার করতে থাকে।

নদীটির একজন নৌকা চালক জানান, অনেকেই হাঁসটির ব্যবহার দেখে আগ্রহ সহকারে তার ছবি তোলেন।
তিনি জানান, নদীটির সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষ অ্যাসবয়ের বাবাকে একই কারণে এখান থেকে ৬০ মাইল দূরে একটি গোপন স্থানে রেখে আসেন।

অ্যাসবয় শুধু মানুষকে হামলা করেই ক্ষান্ত থাকে নি। বদমেজাজি এ হাঁসটি একটি বড় ষাঁড়ের সঙ্গেও মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিলো।
গত বছর অ্যাসবয় তার স্বজাতি আরেকটি রাজহাঁসের গলা ঠোঁট দিয়ে চেপে ধরেছিলো এবং ১৫ সেকেণ্ড তাকে পানির নিচে ডুবিয়ে রেখেছিলো বলেও জানান এক স্থানীয়।
একদিন তো নদীর পাশে একটি বাছুরের উপর হামলা করে বসে অ্যাসবয়! এমনকী বাছুরটির কাঁধে চেপে বসে তাকে পানিতে নামিয়ে নিয়ে আসে সে।
তবে বুঝুন এবার!
বাংলাদেশ সময়: ০৬০১ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৪