ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে।
ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এ গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।
১৭ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার। ০৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
ঘটনা
১৯২৫- জেনেভায় জীবাণু ও রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার নিষিদ্ধকরণ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
১৯৯৬- দক্ষিণ এশিয়া উন্নয়ন তহবিল প্রতিষ্ঠা করা হয়।
জন্ম
১৮৮২- রুশ সংগীতজ্ঞ ইগর স্ট্রাভিনস্কি।
১৮৯৮- ওলন্দাজ চিত্রলেখ শিল্পী এম সি অ্যাশ্যর।
১৯৪৫- মার্কিন সেনাপতি টমি ফ্র্যাংক্স।
১৯৭৩- ভারতীয় টেনিস খেলোয়াড় লিয়েন্ডার পেজ।
১৯৮১- মডেল এবং হিন্দি চলচ্চিত্রের নায়িকা অমৃতা রাও।
মৃত্যু
৬৫৬ সালে খলিফা হজরত উসমান (রা.) বিদ্রোহী ঘাতকের হাতে নিহত হন।
১৬৩১- মোঘল সম্রাট শাহজাহানের স্ত্রী মমতাজ মহল। তার স্মরণে শাহজাহান তাজমহল নির্মাণ করেছিলেন।
১৮৫৮- ঝাঁসির রানি ও ১৮৫৭ সালের ভারতীয় বিদ্রোহের পথিকৃৎ লক্ষ্মী বাঈ।
১৯৭৬- বাঙালি কবি, শিশুসাহিত্যিক ও সাংবাদিক হাবীবুর রহমান।
১৯২৩ সালের ১ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার। আগডুম বাগডুম, লেজ দিয়ে যায় চেনা, বনে-বাদাড়ে, পুতুলের মিউজিয়াম, সপ্তডিঙা, চীনা প্রেমের গল্প ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য রচনা। শিশুসাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি ১৯৬৪ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। হাবীবুর রহমান স্মৃতি পরিষদ থেকে তার স্মরণে ‘কবি হাবীবুর রহমান শিশুসাহিত্য পুরস্কার’ প্রদান করা হয়। ১৯৭৬ সালের ১৭ জুন ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।
১৯৮৫- মার্কিন নির্বাক চলচ্চিত্র অভিনেত্রী জর্জিয়া হেল।
১৯৯৬- মার্কিন বুদ্ধিজীবী টমাস স্যামুয়েল কুন।
২০০৬- ১৭ জুন মৃত্যুবরণ করেন। বাংলাদেশি সুরকার, সংগীত পরিচালক ও সংগীতজ্ঞ আনোয়ার পারভেজের ১৯৪৪ সালে জন্ম। তার সুরারোপিত ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’ গানটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত বিভিন্ন দেশাত্মবোধক গানের মধ্যে অনেক জনপ্রিয় একটি গান৷ সংগীতে অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ২০০৭ সালে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত করে।
২০০৯ - বাঙালি লেখক, বুদ্ধিজীবী ও ভাষাসৈনিক গাজীউল হক। ভাষাসৈনিক গাজীউল হক ১৯৫২ সালে বাংলা ভাষা আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা জারি ভঙ্গকারীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন গাজীউল হক। ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত তার লেখা ‘ভুলব না ভুলব না ভুলব না, এই একুশে ফেব্রুয়ারি ভুলব না’ গানটি গেয়ে প্রভাতফেরি করা হতো। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সাবেক এ সদস্য রাষ্ট্রভাষা পদক ও সম্মাননা স্মারক, শেরেবাংলা জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেন।
এসআইএস