ঢাকা, শুক্রবার, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২, ১০ অক্টোবর ২০২৫, ১৭ রবিউস সানি ১৪৪৭

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও জ্বালানি রূপান্তরে বৈশ্বিক সহায়তা জোরদারের আহ্বান

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২:০৫, অক্টোবর ৯, ২০২৫
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও জ্বালানি রূপান্তরে বৈশ্বিক সহায়তা জোরদারের আহ্বান বক্তব্য রাখছেন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

ঢাকা: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও জ্বালানি রূপান্তরে বাংলাদেশের প্রচেষ্টায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরও শক্তিশালী সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত ‘টিম ইউরোপ ইনিশিয়েটিভ – ক্লাইমেট অ্যান্ড এনার্জি’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

উপদেষ্টা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন বাংলাদেশের জন্য এক কঠিন বাস্তবতা। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে অভিযোজন আমাদের জীবনের অংশ হলেও এখন এর প্রভাবের তীব্রতা ও ঘনত্ব আমাদের মানুষের সীমা অতিক্রম করেছে। শুধু বাংলাদেশকে ‘সহনশীল সমাজ’ হিসেবে উপস্থাপন করা মানবাধিকারের প্রতি অবিচার।

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, অভিযোজনই যথেষ্ট নয়, যদি বৈশ্বিক নিঃসরণ কমানোর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত না হয়।  

তিনি সতর্ক করে বলেন, ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস লক্ষ্য পূরণ না হলে কেবল অভিযোজন দিয়ে বাংলাদেশ টিকে থাকতে পারবে না।

বাংলাদেশের ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি অর্জনের লক্ষ্য উল্লেখ করে তিনি জানান, সরকারি দপ্তরে বাধ্যতামূলক সৌর প্যানেল, ছাদে সৌরবিদ্যুৎ এবং বায়ু বিদ্যুতের সম্ভাবনা অনুসন্ধানসহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।  

উপদেষ্টা বলেন, জ্বালানি রূপান্তরের জন্য দৃষ্টিভঙ্গি, প্রযুক্তি, অর্থায়ন ও জবাবদিহিতা প্রয়োজন। আমরা প্রক্রিয়া শুরু করেছি, তবে ইউরোপের প্রযুক্তি হস্তান্তর ও সাশ্রয়ী অর্থায়নের সহায়তা জরুরি।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান পানি নিরাপত্তা সংকটের কথাও তুলে ধরেন, যার মধ্যে রয়েছে লবণাক্ততা বৃদ্ধি, ভূগর্ভস্থ পানির স্তর হ্রাস ও পৃষ্ঠস্থ পানির ওপর বাড়তি চাপ।  

তিনি বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ, জলাভূমি পুনরুদ্ধার ও প্রাকৃতিক সমাধানে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।

আশাবাদ ব্যক্ত করে রিজওয়ানা হাসান বলেন, ইউরোপ সবসময় বাংলাদেশের পাশে থেকেছে। আমরা বিশ্বাস করি টিম ইউরোপ ইনিশিয়েটিভের মাধ্যমে এই সহযাত্রা আরও শক্তিশালী হবে।

অনুষ্ঠানে ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার, জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লট্‌জ, ইউরোপীয় কমিশনের আন্তর্জাতিক বিষয়ক ও জলবায়ু অর্থায়ন পরিচালক ডায়ানা আক্কোনচিয়া বক্তব্য রাখেন।  

এছাড়া নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত জোরিস ভ্যান বোমেল, ইউরোপীয় বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি, জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ও তরুণ কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

পরিবেশ উপদেষ্টা ও অতিথিরা যৌথভাবে ‘টিম ইউরোপ ইনিশিয়েটিভ – ক্লাইমেট অ্যান্ড এনার্জি’ উদ্বোধন করেন।

এসকে/পিএ/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।