শিল্প-সাহিত্যকে নোংরা রাজনীতি থেকে বাইরে রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বেবী নাজনীন।
তার কথায়, শিল্প-সাহিত্যকে নোংরা রাজনীতি থেকে বাইরে রাখতে হবে।
সংস্কৃতি অঙ্গনের সাংবাদিকদের সংগঠন কালচারাল জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ সিজেএফবি অ্যাওয়ার্ড-এর ২৪তম আসরে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেবী নাজনীন। সংগীতে বিশেষ অবদানের জন্য তাকে ‘বিশেষ সম্মাননা’ দেওয়া হয়।
এদিন বেবী নাজনীন আরও বলেন, রাজনীতিতে আমি সক্রিয়। ভবিষ্যতে আমার শিল্পীদের এবং নতুন প্রজন্মকে যাতে সুন্দর একটা ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে পারে সেই লক্ষ্যে কাজ করছি।
সমাজ সেবার উদ্দেশ্যে রাজনীতি করা- উল্লেখ করে জনপ্রিয় এই গায়িকা বলেন, আমার উদ্দেশ্য সমাজ সেবা করা, কালচারকে লালন করা ও ধারণ করা এবং শিল্পীদের নিরাপত্তা দেওয়া। দেশের কালচারকে যদি সমৃদ্ধ না করি তাহলে এ দেশ সমৃদ্ধ হবে না। এই উদ্দেশ্যে আমি রাজনীতিতে সক্রিয়।
বেবী নাজনীন বলেন, আমি নিজেও একজন শিল্পী। এ জন্য আমি চাইব, নিজের দেশে আমি যেন ভুক্তভোগী না হই। আমার মতো অন্য শিল্পীরাও যেন ভুক্তভোগী না হন।
শিল্পীদের মধ্যে বিভাজন দেখা যায়- এ বিষয়ে বেবী নাজনীন বলেন, এই বিভাজন আসে অন্য জায়গা থেকে। যারা কালচারকে লালন করে না তারাই এই বিভাজন তৈরি করে। শিল্পীরা দেশের সম্পদ। তাদের নিরাপত্তা দিতে হবে। শিল্পীর ফ্রিডম অব স্পিচ থাকতে হবে। সে যেকোনো ভালো গান গাইতে পারে। তারা ভালো লাগার যে কোনো মানুষকে নিয়ে গাইতে পারে। এ জন্য সে কেন অপরাধী হবে বা কালো তালিকাভুক্ত হবে?
অনেক দিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন বেবী নাজনীন। বিএনপির রাজনীতিতে সম্পৃক্ততার কারণে বিগত সরকারের আমলে পেশাগত কর্মকাণ্ড প্রায় থেমে যায় এই শিল্পীর। গেল বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকার পতনের পর নভেম্বরে বেবী নাজনীন দেশে ফেরেন। তখন তিনি বলেছিলেন, বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার কারণেই আমার গানের কার্যক্রমে প্রতিনিয়ত বাধা এসেছে।
এনএটি