ঢাকা, মঙ্গলবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩২, ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ১৪ রবিউস সানি ১৪৪৭

বিনোদন

দর্শকদের অভিযোগের জবাব দিলেন দীপা খন্দকার

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:৫৫, অক্টোবর ৬, ২০২৫
দর্শকদের অভিযোগের জবাব দিলেন দীপা খন্দকার দীপা খন্দকার

দীপা খন্দকার একজন গুণী অভিনেত্রী। প্রায় দুই দশকেরও বেশি সময়ে অভিনয় ক্যারিয়ারে দীপার।

বাংলাদেশ টেলিভিশনের বিভিন্ন নাটকে অভিনয় করে তিনি দর্শকের হৃদয় জয় করে নিয়েছেন।  

সিনেমাও করেছেন ওই অভিনেত্রী। তার সমসাময়িক অধিকাংশ অভিনেত্রী পর্দায় অনিয়মিত হলেও দীপা শুরু থেকে আজ পর্যন্ত নাটক ও বিজ্ঞাপন এবং চলচ্চিত্রে সক্রিয়।

দীপা খন্দকার অভিনীত সর্বশেষ আলোচিত নাটক ছিল কেএম সোহাগ রানা পরিচালিত পারিবারিক গল্পের নাটক ‘অনুতপ্ত’, যা দর্শকের মধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছিল।  

সম্প্রতি তিনি যুক্ত হয়েছেন জনপ্রিয় নির্মাতা মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের নতুন ফ্যামিলি সিরিজ ‘এটা আমাদেরই গল্প’-তে। এই সিরিজের সেট থেকেই সম্প্রতি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন দীপা।

সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পরিবার বা পারিবারিক গল্প ফের নাটকের কেন্দ্রে আনার আহ্বান জানান অভিনেত্রী। বর্তমানে টেলিভিশনে প্রচারিত নাটকের ধরন নিয়ে দীর্ঘদিনের দর্শকদের একটি অভিযোগের কথা তুলে ধরেন।  

তিনি বলেন, বছরের পর বছর ধরে একটা কমপ্লেইন সব সময় শুনতাম, যে এখন খুব ছোট ছোট নাটক হয়, দুই-তিনজন আর্টিস্ট, কিছুই ফ্যামিলি-ট্যামিলি কিছু থাকে না, দেখতে কেমন যেন লাগে। একটু দেখি, দেখার পরে নাটকটা শেষ হয়, তারপর ভুলে যাই, যে গল্পটা এই ছিল। পরিবার নিয়ে নাটক হয় না কেন?

এরপর দীপা খন্দকারের সংযোজন, মোস্তফা কামাল রাজের নতুন সিরিজ ‘এটা আমাদেরই গল্প’ সেই পারিবারিক গল্পের অভাবই পূরণ করতে চলেছে।  

অভিনেত্রী বলেন, আমি স্পেশালি মোস্তফা কামাল রাজকে ধন্যবাদ দেবো, এজন্য, যে উনি চিন্তা করেছেন যে আসলে এই ট্রেন্ডটা ভাঙা উচিত। পরিবার ভাঙতে ভাঙতে আসলে আমরা পরিবারের ভ্যালুটাই ভুলে যাচ্ছিলাম। নাটক কিন্তু জীবন বদলের হাতিয়ার বলি আমরা। সো নাটকে আমরা যেটা দেখি, ওইটার অনেক কিছুই কিন্তু মানুষের ওপরে এফেক্ট করে। ’ 

ওই অভিনেত্রী মনে করেন, যখন দর্শকরা নাটকে একটি পরিবার দেখবেন, যেখানে বড়দের প্রতি সম্মান দেখানো হচ্ছে, তখন তরুণ প্রজন্ম সেই শিক্ষা নেবে। বড়দের সাথে কুশল বিনিময় করা, বাইরে যাওয়ার সময় বলে যাওয়া বা ফিরে এসে সালাম দেওয়ার মতো পারিবারিক মূল্যবোধগুলো দেখে দেখে শেখার সুযোগ তৈরি হবে।

এই সিরিজটিকে একটি বড় প্রোজেক্ট হিসেবেও অভিহিত করেন দীপা খন্দকার। বলেন, ‘বড় প্রোজেক্ট বলতে আমি বলছি না যে এটা অনেক লেন্দি, অনেক লম্বা নাটক হবে, সেরকম না। যতটুকু হবে, খুব সুন্দর করে অনেক বড়সড় আয়োজনে আমরা অনেক আর্টিস্ট মিলে কাজটা করছি। ’

তিনি আশা প্রকাশ করেন, এই নাটকটি দেখে দর্শক যদি একটুখানি মূল্যবোধও শিখতে পারেন, এই কাজটি সার্থক হবে এবং এর সাথে যুক্ত সব শিল্পী সার্থক হবেন।

এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।