ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

প্রতীক পেয়েই প্রচারণায় খুলনার প্রার্থীরা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩২৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০১৯
প্রতীক পেয়েই প্রচারণায় খুলনার প্রার্থীরা ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. মোস্তফা সরোয়ারের নৌকা প্রতীক গ্রহণ।

খুলনা: চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ পেয়েই প্রচারণায় নেমেছেন খুলনার প্রার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) জেলার ৯টি উপজেলায় প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা।

খুলনার ৯টি উপজেলার মধ্যে দুই চেয়ারম্যান ও এক ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

তারা হলেন-ফুলতলা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান শেখ আকরাম হোসেন এবং বটিয়াঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম খান। আর ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন দাকোপ উপজেলার বর্তমান ভাইস-চেয়ারম্যান গৌরপদ বাছাড়।
  
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এম মাজহারুল ইসলাম এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও রিটার্নিং কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
  
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানা গেছে, ফুলতলা উপজেলায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন বুধবার (১৩ মার্চ) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। যে কারণে চেয়ারম্যান পদে একমাত্র প্রার্থী হিসেবে শেখ আকরাম হোসেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। এছাড়া ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছেন তিনজন এবং মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী আছেন তিনজন।

একইভাবে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বি না থাকায় বটিয়াঘাটায় উপজেলায়ও আশরাফুল আলম খান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এ উপজেলায় ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৬ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী আছেন ৫ জন।

রূপসা উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছেন ৫ প্রার্থী। তারা হলেন- বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি কামাল উদ্দিন বাদশা, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলী আকবর শেখ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য অলিয়ার রহমান ও জাতীয় পার্টির ফিরোজ মামুন। ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৬জন ও মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী আছেন ৪ জন।

ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন ৫ প্রার্থী। তারা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. মোস্তফা সরোয়ার, সাহস ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মাহবুবুর রহমান, ওয়ার্কার্স পার্টির উপজেলা সভাপতি শেখ সেলিম আকতার স্বপন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য গাজী এজাজ আহমেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহনওয়াজ হোসেন জোয়াদ্দার। এছাড়া ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৮ জন ও মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী আছেন।

দাকোপ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী রয়েছেন ২জন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান এস এম আবুল হোসেন ও ওয়ার্কার্স পার্টির উপজেলা সাধারণ সম্পাদক গৌরাঙ্গ প্রসাদ রায়। মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী আছেন ৩জন। তবে, ভাইস-চেয়ারম্যান পদে গৌরপদ বাছাড়বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় এ পদে ভোট হচ্ছে না।

তেরখাদা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৩জন প্রার্থী রয়েছেন। তারা হলেন-আ’লীগ মনোনীত শরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু, জেলা আ’লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক মোঃ শহিদুল ইসলাম ও জেলা আ’লীগের সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান কালু। এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪জন প্রার্থী রয়েছেন।

দিঘলিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনজন। তারা হলেন-আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান খান নজরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক শেখ মারুফুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মল্লিক মহিউদ্দিন। ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৪জন ও মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ২জন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন।

পাইকগাছা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন চারজন। তারা হলেন-আওয়ামী লীগ প্রার্থী গাজী মোহাম্মদ আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শেখ মনিরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সচিব রশীদুজ্জামান মোড়ল ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ। এছাড়া ভাইস-চেয়ারম্যান পদে চারজন ও মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ছয়জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

কয়রা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত জি এম মহসীন রেজা ও বিদ্রোহী প্রার্থী জিএম শফিকুল ইসলাম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া ভাইস-চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন আটজন এবং মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী আছেন পাঁচজন।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এম মাজহারুল ইসলাম বলেন, খুলনার ৯টি উপজেলার সব প্রার্থীর মধ্যেই প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রার্থীরা প্রচারণায় নেমেছেন। শুক্রবার (১৫ মার্চ) থেকে জেলার পোলিং, প্রিজাইডিং ও সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ শুরু হবে, চলবে ২৮ মার্চ পর্যন্ত।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে প্রার্থীদের আচরণবিধি প্রতিপালনে প্রতিটি উপজেলায় ২জন করে ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও নির্বাচন সুষ্ঠু করতে নির্বাচনের দু’দিন আগে থেকে ভোটগ্রহণের দু’দিন পর পর্যন্ত জুডিসিয়াল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা দায়িত্ব পালন করবেন।

বাংলাদেশসময়: ১৯১৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০১৯
এমআরএম/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।