ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

মুন্সিগঞ্জে পুরনো প্রশ্নে পরীক্ষা দিলো ৭৯ পরীক্ষার্থী

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০১৯
মুন্সিগঞ্জে পুরনো প্রশ্নে পরীক্ষা দিলো ৭৯ পরীক্ষার্থী

মুন্সিগঞ্জ: মুন্সিগঞ্জে এ ভি জে এম সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ২০১৮ সালের প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কে কে গভ. ইন্সটিটিউশন, উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় ও রামপাল এন বি এম উচ্চ বিদ্যালয়ের উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ৭৯ জন পরীক্ষার্থী বাংলা প্রথম পত্রে পুরনো প্রশ্নপত্র দিয়ে পরীক্ষা দিয়েছে।

শনিবার (২ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত প্রথমদিন মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষা শেষে এ তথ্য জানা যায়।

** পুরনো প্রশ্ন দেয়ায় কেন্দ্র সচিবসহ ৩ জনকে অব্যাহতি

জানা যায়, পরীক্ষা শেষে ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জেলা প্রশাসকের বাসভবন ঘেরাও করে।

পরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এইচ এম রকিব হায়দার ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।  

কেন্দ্র সচিব ও এ ভি জে এম সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক শিউলি আক্তার বাংলানিউজকে বলেন, দু’টি কক্ষে এরকম সমস্যা হয়েছে। কে কে গভ. ইন্সটিটিউশনের ৪০ জন, উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ২০ জন ও রামপাল এন বি এম উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৯ জন পরীক্ষার্থী পুরনো প্রশ্নে পরীক্ষা দেয়। এটি কক্ষ পরিদর্শকের ভুল। ঘটনার পর জেলা প্রশাসক পরীক্ষায় তাদের আর ডিউটি দিতে নিষেধ করেছেন।

কেন্দ্র সচিব ও কে কে গভ, ইন্সটিটিউশনের প্রধান শিক্ষক মো. মনসুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ‘সাংঘাতিক ও মারাত্মক একটি ভুল। যার কারণে ছেলেরা খুবই ক্ষতিগ্রস্ত। প্রায় ৮০ জন পরীক্ষার্থীকে পুরনো প্রশ্নে পরীক্ষা দিতে দেয়। কেন্দ্র সচিব ও কক্ষ পরিদর্শকের গাফিলতির কারণে এটা হয়েছে। ’

‘আমি পরীক্ষার্থীদের কাছে বিষয়টি শুনেছি। আমার স্কুলের ৪০ জন শিক্ষার্থী এরকম হয়েছে। দুই রুমে এ সমস্যা হয়েছে। দুই রুমে ৪০ জন করে ৮০ জন পরীক্ষার্থী। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে আমি বিষয়টি অবগত করেছি। ’

তিনি আরও বলেন, ‘২০১৭ সালের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ২০১৯ সালের প্রশ্নে পরীক্ষা দিবে। ২০১৬ সালে বই পরিবর্তন হয়েছে। ২০১৬ সালের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ২০১৮ সালের। যারা কারণে যেই পরীক্ষায় প্রশ্ন এসেছে তার অনেকাংশেই মিল নেই। শিক্ষার্থীরা মন খারাপ করে পরীক্ষা দিয়ে মিছিল করেছে। যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমার স্কুলের এ প্লাস পাওয়া শিক্ষার্থীরা ছিল। ’

মুন্সিগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আসমা শাহীন বাংলানিউজকে বলেন, ‘বিষয়টি কেন্দ্র কন্ট্রোলারকে জানিয়েছি। এটি কক্ষ পরিদর্শকের ভুল, তারা হল সুপার বা কেন্দ্র সচিবকে জানানোর কথা থাকলেও তারা জানায়নি। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’

তিনি বলেন, ‘পরীক্ষার্থীদের যাতে কোনো সমস্যা না হয় সেজন্য বোর্ড এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে। জেলা প্রশাসকও এ বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলছেন। ’

শিক্ষার্থীরা জানায়, সৃজনশীল অংশের প্রশ্নটি ২০১৮ সালের দেওয়ায় পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই কয়েকজন বিষয়টি জানালেও সংশ্লিষ্টরা আমলে নেন নি।  

ক্ষোভ প্রকাশ করে অভিভাবকরা বলেন, পুরনো প্রশ্ন দিয়ে পরীক্ষা দিয়েছে। প্রথম পরীক্ষাতেই এরকম গণ্ডগোল। এ বিষয় নিয়ে ছেলে-মেয়েরাও অনেক চিন্তিত।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৯
জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।