ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

গাছতলায় আর পড়তে হবে না, হচ্ছে দেড় হাজার ভবন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৬ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৭
গাছতলায় আর পড়তে হবে না, হচ্ছে দেড় হাজার ভবন গাছতলায় শিক্ষার্থীদের পাঠদান- ছবি: ফাইল ফটো

ঢাকা: আগামী দেড় বছরের মধ্যে সকল জরাজীর্ণ বিদ্যালয় ভবন সংষ্কার কর‍ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার। এর পাশাপাশি বিদ্যালয়বিহীন এলাকায় আরো এক হাজার বিদ্যালয় স্থাপন করা হবে।

গাছতলায় পাঠদান বন্ধ করে ভবন তৈরি করে ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার সুবিধার্তে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে মোট এক হাজার ৫৬৫টি জরাজীর্ণ বিদ্যালয় ভবন নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আর আগের দেড় হাজারের সঙ্গে বিদ্যালয়হীন এলাকায় যোগ হবে আরো এক হাজার স্কুল।

 

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান বলে আসছেন, ২০১৮ সালের মধ্যে আর কোনো শিক্ষার্থীকে গাছতলায় ক্লাস করতে হবে না।

মন্ত্রণালয় জানায়, জরাজীর্ণ হিসেবে বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে এবং গাছতলায় পাঠদান হচ্ছে এরূপ ৬৬৬টি বিদ্যালয় ভবন নির্মাণের জন্য এলজিইডিকে তালিকা দেওয়া হয়েছে। ডিপিই হতে প্রাপ্ত ৪৯৬টি এবং মন্ত্রণালয় হতে আরো ৪০০টি জরাজীর্ণ বিদ্যালয়ের তালিকা অনুমোদন হয়েছে। সে প্রেক্ষিতে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে জরাজীর্ণ মোট এক হাজার ৫৬৫টি জরাজীর্ণ বিদ্যালয় ভবন নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।


মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পিডিপি-৩ এর আওতায় বিদ্যালয় বিহীন এলাকায় দেড় হাজার বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল। চলতি বছরের মে পর্যন্ত কার্যাদেশ প্রদানকৃত এক হাজার ৪৯৫টির মধ্যে এক হাজার ৩৪৪টি বিদ্যালয় নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে এবং ১৫১টি বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজ চলমান আছে। জমি সংক্রান্ত মামলার কারণে নির্মাণকাজ সম্পন্ন করা সম্ভব না, এরূপ পাঁচটি বিদ্যালয় সময় সংকুলান না হওয়ায় নির্মাণ না করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

 

সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় বিদ্যালয় বিহীন এলাকায় আরো এক হাজার বিদ্যালয় নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় ম্যাপিং সম্পন্ন করে বিদ্যালয়ের তালিকা প্রণয়নের কার্যক্রম গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এই এক হাজার বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য স্থান নির্বাচনের বিষয়ে মন্ত্রণালয় হতে নীতিমালা সম্বলিত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে বলে জানান মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৭
এমআইএইচ/বিএস

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।