ঢাকা, সোমবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ মে ২০২৪, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

শিক্ষা

টাকা জমা দিয়েও এসএসসি পরীক্ষা দিতে পারেনি জহুরা জাবিন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৫ ঘণ্টা, মে ৫, ২০২৩
টাকা জমা দিয়েও এসএসসি পরীক্ষা দিতে পারেনি জহুরা জাবিন এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পা পারা জহুরা জাবিন ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে তার ভাইয়ের লিখিত অভিযোগ

নওগাঁ: নওগাঁর ধামইরহাটে চলমান এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি জহুরা জাবিন নামের এক শিক্ষার্থী।  

উপজেলার ভাতকুণ্ডু খাতেমন নেসা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সে।

 

পরিবারের অভিযোগ, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলামের গাফিলতির কারণে চলতি এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি জাবিন।

এদিকে পরীক্ষা দিতে না পারার ঘটনায় জাবিনের বড় ভাই আবু সাঈদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর গত বুধবার (৩ এপ্রিল) লিখিত অভিযোগ দেন।

অভিযোগপত্রে আবু সাঈদ লিখেছেন, গত ২৭ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্র নিতে যায় আমার বোন জাবিন। কিন্তু জাবিনকে প্রধান শিক্ষক জানান, তার প্রবেশপত্রটি বোর্ড থেকে আসেনি। এই কথা শুনে সে কান্নাকাটি করে বাড়িতে এসে ঘটনাটি পরিবারকে জানায়। এরপর পরিবারের সদস্যরা জাবিনের প্রবেশপত্র নেওয়ার জন্য আবারও বিদ্যালয়ে গেলেও প্রধান শিক্ষক দেখা করেননি।

তিনি আরও লিখেছেন, প্রধান শিক্ষক জাবিনের কাছ থেকে ফরম ফিলআপ বাবদ ৮ হাজার ৭০০ টাকা নিয়েছেন। টাকা জমা দেওয়ার পরেও আমার বোন এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না পারল না। যে কারণে মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত সে। অশান্তিতে ভুগছে আমার বোন। প্রধান শিক্ষকের অবহেলার কারণে আমার বোন পরীক্ষা দিতে পারেনি। প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ এবং তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।

এ অভিযোগের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ওই শিক্ষার্থী নির্বাচনী পরীক্ষায় আটটি বিষয়ে ফেল করে। তার লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার জন্য আমি অতিরিক্ত ক্লাসে আসার অনুমতি দিয়েছিলাম। তার কাছে থেকে কোনো টাকা নিইনি। তারা এখন আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছে।

অভিযোগের সত্যতার প্রমাণ পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জুলফিকার আলী শাহ।  

তিনি বলেন, এঘটনায় উপজেলা নিবার্হী অফিসার বরাবর অভিযোগ দিলে তার তদন্তভার আমার ওপর আসে। গত বৃহস্পতিবার সরেজমিনে তদন্তে গেলে অভিযোগের সত্যতার প্রমাণ পাওয়া যায়। বিষয়টি আমি লিখিতভাবে উপজেলা নিবার্হী অফিসার বরাবর জমা দিয়েছি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার গনপতি রায় জানান, বিষয়টি আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা পেলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, মে ৫, ২০২৩
ইএসএস/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।