ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

ধানের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে সারাদেশে ৩০ সাইলো

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫০ ঘণ্টা, জুন ৭, ২০২১
ধানের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে সারাদেশে ৩০ সাইলো

ঢাকা: দেশব্যাপী কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান কেনার মাধ্যমে উৎপাদিত ধান শুকানো ও সংরক্ষণের লক্ষ্য সামনে রেখে ৩০টি আধুনিক সাইলো নির্মাণ করতে যাচ্ছে সরকার। প্রকল্পের মোট ব্যয় ১ হাজার ৪শ কোটি টাকা।

সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে চলতি সময় থেকে ২০২৩ সালের জুন মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।  

দেশের বিভিন্ন স্থানে ধান শুকানো, সংরক্ষণ ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক সুবিধাদিসহ আধুনিক ধানের সাইলো নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় এ উদ্যোগ।

মঙ্গলবার (৮ জুন) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলনকক্ষে একনেক সভায় চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য এ প্রকল্পটি উপস্থাপন করা হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।

কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান কেনার মাধ্যমে উৎপাদিত ধানের ন্যায্যমূল্য দেওয়া প্রকল্পের উদ্দেশ্য। সরকারি খাদ্য ব্যবস্থাপনায় দেড় লাখ মেট্রিক টন ধারণক্ষমতা বাড়ানো, সরকারি খাদ্য ব্যবস্থাপনায় আধুনিক প্রযুক্তির অভিযোজন, কীটনাশকবিহীন মজুদ ব্যবস্থার মাধ্যমে দুই থেকে তিন বছর শস্যের পুষ্টিমান বজায় রাখা হবে। আর্দ্রতা ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে মজুদ শস্যের মান নিয়ন্ত্রণ করা এবং  নিরাপদ ও পুষ্টিগুণসম্পন্ন খাদ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য।

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদি, টাঙ্গাইলের মির্জাপুর, টাঙ্গাইল সদর, ফরিদপুর সদর, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট জামালপুরের মেলান্দহ, শেরপুরের শ্রীবর্দী উপজেলায় বাস্তবায়িত হবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, নোয়াখালী সদর,  কুমিল্লা সদর, দিনাজপুর সদর, বিরল, ঠাকুরগাঁও সদর, পঞ্চগড়ের বোদা, লালমনিরহাটের হাতিবান্দা, নওগার শিবপুর, রানীনগর, পাবনার ঈশ্বরদী, বগুড়ার শেরপুর, নন্দীগ্রামে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।  

জয়পুরহাচের ক্ষেতলাল, সিলেটের কানাইঘাট, হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ,  সুনামগঞ্জ সদর, নড়াইল সদর, কুষ্টিয়ার কুমারখালী, পটুয়াখালী সদর, কলাপাড়া, ভোলার চরফ্যাশন প্রকল্প এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।  

ধান ঝাড়াই, বাছাই, শুকানো, আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ও আনুষঙ্গিক সুবিধাদিসহ প্রতিটি ৫ হাজার মে. টন  ধারণক্ষমতার ৩ টি ধানের সাইলো নির্মাণ করা হবে, সাইলোতে ট্রাক ও বাল্ক ওজন যন্ত্র, কনভেয়িং, বাকেট এলিভেটর সিস্টেম সংযোজন থাকবে। সাইলোর সিভিল ফাউন্ডেশন, মাল্টিপারপাস ভবন নির্মাণ, বৈদ্যুতিক সাব-স্টেশন স্থাপন, ৩০টি কেন্দ্রে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করা হবে।

পরিকল্পনা কমিশনের মতামত তুলে ধরে জানায়, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দেশের বিভিন্ন স্থানে ৩০টি ধানের সাইলো নির্মাণ করা হবে এবং আগামী ৩ বছরের মধ্যে দেড় লাখ মে. টন ধান সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে। এসব সাইলো নির্মাণ করা হলে সারা বছর কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান কেনার সুযোগ সৃষ্টি হবে। কৃষক সহজেই সরকারি খাদ্য গুদামে ধান বিক্রি করতে উৎসাহিত হবে এবং উৎপাদিত ধানের ন্যায্যমূল্য পাবে।  কীটনাশকবিহীন মজুদ ব্যবস্থার মাধ্যমে ২-৩ বছর শস্যের পুষ্টিমান বজায় রেখে খাদ্য মজুদ ব্যবস্থা দৃঢ় করা সম্ভব হবে। এ বিবেচনায় প্রকল্পটি একনেক সভায় উপস্থান করা হবে।

পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের প্রধান (অতিরিক্ত সচিব) মো. মতিউর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, প্রকল্পটি মঙ্গলবার একনেক সভায় উপস্থাপন করা হবে। প্রকল্পটি সঠিকভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে কৃষক ধানের ন্যায্যমূল্য পাবেন। এছাড়াও যে কোনো দুর্যোগ মুহূর্তে খাদ্য নিরাপত্তা আরো নিশ্চিত হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৮ ঘণ্টা, জুন ০৭, ২০২১
এমআইএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।