ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

সড়ক নিরাপত্তায় বাংলাদেশকে মডেল দেখতে চায় বিশ্বব্যাংক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৫, ২০১৯
সড়ক নিরাপত্তায় বাংলাদেশকে মডেল দেখতে চায় বিশ্বব্যাংক

ঢাকা: ‘গত এপ্রিলে ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত বসন্তকালীন বৈঠকের সময় বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে অনেক সম্মান দেখিয়েছে। এমনকি বাংলাদেশকে পূর্ণ সময়ের জন্য একটি অফিসও দিতে চেয়েছে সংস্থাটি। বিষয়টি অনেকটা একবারে ব্ল্যাঙ্ক চেক দিয়ে দেওয়ার মতো। তাদের অ্যাটিটুড ছিলো এমন যে, ফ্যাসিলিটি অনুযায়ী তোমাদের যা দরকার লিখে নাও। সংস্থাটির মনোভাব এমন ছিলো যে, তোমাদের প্রয়োজন মতো টাকা লিখে নাও। বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকল্পে অর্থায়নের ক্ষেত্রে আর কোনো লুকোচুরি থাকবে না’।

বৃহস্পতিবার (০৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শেরে বাংলানগরে অর্থমন্ত্রীর নিজ কার্যালয়ে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর (বাংলাদেশ-ভূটান) মার্সি মিয়াঙ টেমবনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এসব কথা বলেন।
 
তিনি বলেন, ‘বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশে প্রকল্প তৈরি ও অর্থায়নে প্রস্তুত।

যত অর্থের প্রয়োজন হোক না কেন, তারা তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে। সম্ভাবনাময় খাতগুলোকে কাজে লাগানোর জন্য বিশ্বব্যাংকের পরমর্শও নেবো। আমাদের ৮৮ শতাংশ  ব্লু -ইকোনোমিকে কাজে লাগানোর সুযোগ রয়েছে। এখাতে কাজ করতে ইচ্ছা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। ’
  
ডেল্টা প্ল্যান প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল বলেন, আমাদের ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়নে নেদারল্যান্ডসের পাশাপাশি বিশ্বব্যাংকও এগিয়ে আসবে। এ খাতে অর্থ ও প্রকল্প বাস্তবায়নে সহায়তা দেবে। ফলে ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত হবে। ডেল্টাপ্ল্যানে যদি ভারতও আসতে চায়, তবে স্বাগত জানাবো।
 
সড়ক ব্যবস্থাপনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের সড়ক ব্যবস্থাপনায় সব ধরনের কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা দেবে। বাংলাদেশের সড়ক উন্নয়নে যত টাকার প্রয়োজন তত দিতে আগ্রহী। সড়কে বাস-বে, সড়কের পাশে চালকদের জন্য বিশ্রামাগারসহ নানা উন্নয়নে সরকার কাজ করছে। এসব দেখে প্রশংসা করেছে বিশ্বব্যাংক।  
 
নতুন আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, চলতি বছরের ১৪ অক্টোবর ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংকের বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হবে। এই সভায় নতুন প্যাকেজ ঘোষণা করবে সংস্থাটি। বাংলাদেশের বিষয়ে সংস্থাটির ইতিবাচক ধারণা হয়েছে। আমাদের প্রয়োজন অনুযায়ী সংস্থাটি অর্থায়ন করতে উন্মুখ।
 
বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি মিয়াঙ টেমবন বলেন, আমি বাংলাদেশ নিজেই চিনে নিয়েছি। সুন্দরবন ছাড়া বাংলাদেশের সব জায়গায় ঘুরেছি। বাংলাদেশের অবকাঠামোগত সুবিধাসহ আর্থিক বিষয়ে ব্যাপক উন্নত হয়েছে।  নদী, পানি ও ব্লু-ইকোনোমিতে বাংলাদেশকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।  

‘মূলত আমি বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে ব্র্যান্ডিং করতে এসেছি। ব্লু-ইকোনোমির ৮৮ শতাংশ কাজে লাগানোর সুযোগ রয়েছে এই দেশটির,’ যোগ করেন তিনি।  
 
এ সময় অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মনোয়ার আহমেদসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৯
এমআইএস/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।