ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

রমজানের আগে রাজশাহীতে সবজি বাজারে আগুন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ৬, ২০১৯
রমজানের আগে রাজশাহীতে সবজি বাজারে আগুন রমজানের আগেই বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। ছবি: বাংলানিউজ

রাজশাহী: রাজশাহীর বাজারে নতুন উঠছে বলে গ্রীষ্মকালীন ও শেষ হয়ে যাচ্ছে বলে শীতকালীন সবজির দাম বাড়তে শুরু করেছে। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালীন সবজির দাম এতোটাই বেড়েছে যে নিম্নবিত্তদের নাগালের বাইরে চলে গেছে। ফলে রমজানের আগেই বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে।

শীতের প্রকোপ কমে হঠাৎ গরম পড়ায় কাঁচা বাজারে পেঁপে, সজনে এবং করলার মতো গ্রীষ্মকালীন সবজির চাহিদা অনেক বেড়েছে। সঙ্গে বেড়েছে দামও।

তুলনামূলক বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে এসব সবজি। এছাড়া ঢেঁড়স, বরবটি, পটল, লাউসহ এসব সবজির দামও চলে গেছে নিম্নবিত্তের নাগালের বাইরে। আর মাছের দাম বর্তমানে কিছুটা স্থিতিশীল থাকলেও হঠাৎ করেই বেড়েছে গরুর মাংসের দাম।

মহানগরীর সবচেয়ে বড় কাঁচাবাজার হচ্ছে সাহেববাজার। শনিবার (৬ এপ্রিল) এসব বাজার ঘুরে দেখা যায়, শীতমৌসুম চলে গেলেও এখনও রয়েছে শীতের সবজি। আর শীতের শেষে গ্রীষ্মকালীন সবজিতেও ভরে উঠেছে বাজার। তবে এসব সবজি কিনতে  বেশি গুনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। এতে ক্রেতাদের নাভিশ্বাস উঠেছে।

সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি করলা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ও বরবটি ৫০ আর পটল বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা, সজনে ডাটা ৬০ থেকে ৭০টাকা, পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা দরে।

মানভেদে প্রতি হালি কাঁচাকলা ১৫ থেকে ২০ টাকা, আলু বিক্রি হচ্ছে ১২ থেকে ১৫ টাকা, ফুলকপি ৫০টাকা, টমেটো ৩০টাকা, গাজর ৪০ টাকা, বেগুন ৩০ টাকা, বাঁধাকপি ১৫-২০ টাকা, শসা ৩০ টাকা, লাউ (একটি) ৩৫-৪০, ব্রকলি (একটি) ৫০ টাকা, পুঁইশাক ৩০ টাকা, লাল শাক (কেজি)৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২০ টাকা, শিম ৪০ টাকা ও কাঁচামরিচ ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

সবজি বিক্রেতা শহিদুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, শীতকালীন সবজির সরবরাহ কমে গেছে। শীতের প্রকোপ কমে যাওয়ার কারণে বাজারে গ্রীষ্মকালীন সবজির চাহিদা বাড়ছে। আর গ্রীষ্মকালীন সবজির চাহিদা বেশি থাকলেও বাজারে সরবরাহ কম। তাই নতুন সবজির দাম অন্যগুলোর চেয়ে তুলনামূলক বেশি।

মাছ বিক্রেতা সেলিম হোসেন জানান, বাজারে মাছের দাম বাড়ার পর না কমলেও স্থিতিশীল। রুই মাছ কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ৩২০ টাকায়, তেলাপিয়া ১২০ থেকে ১৮০ টাকায়, মৃগেল ১৫০ থেকে ২০০ টাকায়, বোয়াল মাছ ৫০০ থেকে ৭০০ টাকায়, সিলভার কার্প ১৫০ থেকে ২০০ টাকায়, নদীর চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা, ইলিশ ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা, পবদা ৬০০ টাকা, বাটা ১০০ টাকা, দেশি মাগুর ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, বাঁশপাতা ৮০০ টাকা কাটা বাতাসি ৭০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে, বাজারে হঠাৎ করেই বেড়েছে গরুর মাংসের দাম। ক’দিন আগেও ৪৫০ থেকে ৪৮০ টাকা দরে মাংস বিক্রি হচ্ছিল। বর্তমানে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৫২০ টাকা, খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, ব্রয়লার মুরগির দামও ১৩০টাকা থেকে বেড়ে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কক ১৯০ টাকা, সোনালি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা দরে।

বাজারে আসা আইনুল হক বলেন, ‘এখন গ্রীষ্মকালীন সবজির যা দাম তাতে কেনাই মুশকিল। আর গত মাসের শেষে হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে গরুর মাংসের দাম। মাছের দাম বেড়েছে তারও আগে। রমজানের এক মাস আগেই যদি এ অবস্থা হয়। তবে রমজানের কী অবস্থা দাঁড়াব তা আল্লাহই জানেন’।

এ সময় সরকার যাতে দ্রুত বাজার মনিটরিংয়ের দাবি জানান বাজার করতে আসা সাধারণ ক্রেতা।

বাংলাদেশ সময়: ১০১৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০১৯
এসএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।