ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

৯০০ টাকা কিস্তিতে ঋণ দিচ্ছে বিএইচবিএফসি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৫৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৯
৯০০ টাকা কিস্তিতে ঋণ দিচ্ছে বিএইচবিএফসি বিএইচবিএফসি স্টলে ঋণ সম্পর্কে জানতে আসা দর্শনার্থীদের ভিড়

ঢাকা: আবাসন খাতে জমি বা ফ্ল্যাট কেনা ও বাড়ি নির্মাণ বা মেরামতে দীর্ঘমেয়াদী ঋণ দিচ্ছে বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশন (বিএইচবিএফসি)। ৯ শতাংশ সরল সুদে এই ঋণ পরিশোধ করা যাবে সর্বোচ্চ ২০ বছরে। আর প্রতি লাখে মাসিক কিস্তি দিতে হবে মাত্র ৯০০ টাকা।

শনিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রিহ্যাব মেলার ২০ নম্বর স্টলে গিয়ে ঋণ সম্পর্কে জানতে আসা দর্শনার্থীদের ভিড় দেখা যায়। ব্যাপক উৎসাহ নিয়ে ঋণের ব্যাপারে স্টলের কর্মকর্তাদের প্রশ্ন করতে দেখা যায় অনেককেই।

 

এমনই একজন দর্শনার্থী দেশের একটি ইংরেজি জাতীয় দৈনিকের ফটো সাংবাদিক সুমন আহমেদ। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, খবর পেলাম যে, হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশন সরল সুদে ঋণ দিচ্ছে। আর মাসিক কিস্তিও কম। তাই ভাবলাম একটু খোঁজ নিয়ে আসি। কিছু ঋণ নিয়ে ঢাকায় একটা ফ্ল্যাট কেনা যায় কি না দেখি।  

বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশনের এমন ঋণ কার্যক্রম নিয়ে বাংলানিউজের সঙ্গে কথা বলেন কর্পোরশনের ডিজিএম মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম। তিনি জানান, পাঁচটি ক্যাটাগরিতে ঋণ দেওয়া হয়ে থাকে। নগর এলাকায় যারা জমি বা প্লট কিনতে চান তাদের জন্য ‘নগর বন্ধু’, জেলা পর্যায়ে যারা ঋণ নিতে চান তাদের জন্য ‘পল্লীমা’, দেশের বাইরে থাকা যেসব প্রবাসীরা ঋণ নিতে চান তাদের জন্য ‘প্রবাস বন্ধু’, যারা নিজেদের স্থাপনা আরো ভালো করতে চান তাদের জন্য ‘আবাসন উন্নয়ন’ আর সবশেষে যারা নিজেদের স্থাপনা মেরামত করতে চান তাদের জন্য ‘আবাসন মেরামত’ নামের পাঁচটি প্যাকেজ রয়েছে।

৫ বছর মেয়াদী ঋণের জন্য প্রতি মাসে দুই হাজার ৭৬ টাকা, ১০ বছরে মাসিক ১ হাজার ২৬৮ টাকা, ১৫ বছরের জন্য মাসিক ১ হাজার ১৪ টাকা আর ২০ বছরের জন্য প্রতি মাসে কিস্তি আসবে সর্বনিম্ন ৯০০ টাকা।

খায়রুল ইসলাম বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠান দেশের একমাত্র রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান যেটি আর্থিক খাতে ঋণ দেয়। আমরা এক সংখ্যার অংকে সরল সুদে ঋণ দিয়ে থাকি। মোট পাঁচটি ক্যাটাগরিতে ফ্ল্যাটের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৮০ লাখ আর জমির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১ কোটি টাকা পর্যন্ত আমরা ঋণ দিয়ে থাকি। বাংলাদেশি নাগরিকরা এটি সর্বোচ্চ ২০ বছরে এবং যারা প্রবাসে আছেন তারা সর্বোচ্চ ২৫ বছরে মাসিক কিস্তিতে এই ঋণ পরিশোধ করতে পারবেন। ১৮ থেকে ৬৫ বছর বয়সী বাংলাদেশের যেকোন নাগরিক শর্ত সাপেক্ষে এই ঋণ সুবিধা নিতে পারবেন।  

ব্যাংকের তুলনায় কর্পোরেশন থেকে ঋণ নেওয়া সুবিধা ও লাভজনক উল্লেখ করে প্রতিষ্ঠানটির এই কর্মকর্তা বলেন, যেহেতু এটা একটি রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান তাই এটির সুধ সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হয়। গ্রাহক প্রতি মাসে যে কিস্তি পরিশোধ করবেন সেটি থেকে আমরা আসলের অংকও নিয়ে থাকি। এছাড়াও ব্যাংক সাধারণত দুই অঙ্কের সংখ্যার সুদে ঋণ দেয়। তাই ব্যাংকের তুলনায় আমাদের থেকে ঋণ নেওয়া লাভজনক। অন্যদিকে ব্যাংকে সাধারণত তিন মাস কিস্তি বকেয়া পড়লেই কর্তৃপক্ষ মামলা-মোকদ্দমা বা অন্যান্য আইনানুগ পদক্ষেপে চলে যায়। কিন্তু আমাদের এখানে সর্বোচ্চ ২৪ কিস্তি পর্যন্ত বকেয়ার সুবিধা দেওয়া হয় গ্রাহকদের। তাই তুলনামূলকভাবে বিচার করলে হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশন থেকে ঋণ নেওয়া সুবিধার ও লাভজনক।

খায়রুল ইসলাম আরো বলেন, অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যারা ঋণ দেয় কিন্তু প্রপার্টি কিনতে হবে তাদের পছন্দনীয় জায়গা থেকে। আমাদের এখানে এ ধরনের বাধ্যবাধকতা নেই, আমরা শুধু অর্থ ঋণ দিয়ে থাকি। গ্রাহকের যেখানে সুবিধা মনে হবে তিনি এই অর্থ দিয়ে সেখানেই প্রপার্টি কিনতে পারবেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৯
এসএইচএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।